পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] • অধিদৈৱিক, ১টি আধিভৌতিক এবং ৮টি আপ্যাত্মিক বস্তুਸੀ । ১২টি আধিদৈবিক বস্তুর নাম এই :–পৃথিবী জল অগ্নি অন্তরীক্ষ বায়ু ষ্ঠে আদিত্য দিকসমূহ চন্দ্রতারকা আকাশ তম এবং তেজ ! সৰ্ব্বভূতকে আপি'ভৌতিক বস্তু বলা হইয়াছে। ৮টি আঁধ্যাত্মিক বস্তুর নাম এই – প্রাণ বাকৃ চক্ষু শ্রোত্ৰ মন ত্বক বিজ্ঞান ও মানববীজ , , - • এই ২১টি মস্ত্রে সবই এক ; পাথক্য কেবল নামটি লঙ্কু। একটি মন্ত্রে ব্যবহৃত হইয়াছে পুথিবী, অপর একটি মন্ত্রে ব্যবহার কুর হইয়াচে জল, অপর মস্ত্রে অগ্নি, এইরূপ। আমরা এই ২১টি মন্ত্র পৃথক-পৃথক্-ভাবে উদ্ধত করিলাম না। একটি বাকা দ্বারাই এইসমূদায়ের অর্থ ব্যক্ত করা যাইতেছে । এই ২১টি মস্ত্রে বলা হইয়াছে এইরূপ :– "যিনি পৃথিব্যাদি ২১:প্রকার বস্থতে অবস্থিত, অথচ এইসমূদায় হইতে পৃথক, এইসমুদায় যাহাকে জানে না, এইসমুদায় যাহার শরীর, এইসমূদায়ের অভ্যন্তরে থাকিয় যিনি এইসমুদায়কে নিয়মিত করিতেছেন, তিনিই তোমার আত্মা, তিনি অন্তর্যামী ও অমৃত ।” মৈত্রেয়ী-ব্রাহ্মণে যাজ্ঞবল্ক্য এই জগতের বাস্তব সত্ত। স্বীকার করেন নাই। এই স্থলে তিনি বলিয়াছেন আত্ম। যখন স্বৰূপ প্রাপ্ত হয়, তখন দ্বিতীয় বা পৃথক কোন বস্তু থাকে না । অন্তর্যামি ব্রাহ্মণে স্বীকার করিয়াছেন—যে আত্ম হইতে পৃথক বস্তু আছে । সমুদায় আধিদৈবিক্ষ আধিভৌতিক এবং আধ্যাত্মিক বস্তু আত্ম। হইতে পৃথক.কিন্তু এইসমূদায় বস্তু আত্মার দেহ এবং আত্মা এইসমূদায়ের অন্তর্যামী অর্থাং নিয়ন্ত, যাজ্ঞবল্কোর মতে মানবের আত্মাই জগদীয়। জগতের নিয়ামক ! এস্থলে জীবাত্মা ও পরমাত্মার মধ্যে কোন পার্থক্য করা হয় নাই । যিনি জীবে, তিনিই সৰ্ব্বত্র ; যিনি এই মানবাত্ম-রূপে অবস্থিত থাকিয়া এষ্ট দেহকে নিয়মিত করিতেছেন, তিনিই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে অবস্থিত থাকিয়া বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডকে নিয়মিত, করিতেছেন। .কোন কোন দ্বৈতবাদী হয়ত কল্পনা করিয়া লইবেন নে যাজ্ঞবল্কা এলপ যাজ্ঞবল্ক্যের ব্রহ্মবাদ & “এই দেহে জীবাত্মা ও আছেন এবং পরমাত্মাও আছেন । পরমাত্মাই নিয়ন্ত ; তিনি দেহকেও চালিত করিতেছেন এবং জীবাত্মাকে ও চালিত করিতেছেন।” এগানে স্পষ্ট করিয়া বলা আবশ্যক ঘlঙ্গবন্ধ্য এপ্রকার মত পোষণ করেন না। র্তাহীর মতে আত্মা একই ; সেই আত্মাই দেহের থাকিয়৷ নিয়মিত করিড়েছেন। সাধারণ লোকে ইহাকে জীবাত্মা বলে, কিন্তু যাজ্ঞবল্কা বলেন ইনি “আত্ম।” । আমরা দেহ-সম্বন্ধী আত্মাকে জীবাত্মা বলি আর বিশ্ব-ভুবনের আত্মীকে পরমাত্মা বলি । কিন্তু যাজ্ঞবল্কা এপ্রকার কোন ভেদ করেন নাই । সৰ্ব্বশেষে যাজ্ঞবল্কা বলিলেন – "তিনি অদৃষ্ট, কিন্তু দ্রষ্টা ; তিনি অশ্রুত, কিন্তু শ্রোত ; র্তাঙ্গকে মনন করা যায় না, কিন্তু তিনি সকলের মননকৰ্ত্ত ; তিনি অবিজ্ঞাত কিন্তু বিজ্ঞাত। ইনি ভিন্ন কেত দ্রষ্ট মাই ; ইনি ভিন্ন কেহ শ্রোতা নাই ; ইনি ভিন্ন কেত মস্ত নাই, ইনি ভিন্ন কেহ বিজ্ঞাত। নাই । ইনিষ্ট তোমার আত্মা, ইনিষ্ট অন্তর্যামী ও অমৃত, ইনি ভিন্ন তাfর সলষ্ট আর্ক ” অভ্যন্তরে দেহকে এখানে ও আত্মাকে দ্রষ্ট শ্রোতা মন্ত ৪ বিজ্ঞাত। বলা হইল এবং ইঙ্গও বলা হইল সে এই আত্মা অদষ্ট অশ্রুত অ-মত ৪ অবিজ্ঞাত। কেন এষ্ট আত্মাকে দর্শনাদি করা যায় তাঙ্গ পূৰ্ব্বে ব্যাখ্যাত হইয়াছে । অন্তর্যামি-ব্রাহ্মণে ব্রহ্ম শব্দের উল্লেখ নাই। কিন্তু যাজ্ঞবল্কা আত্মার বিষয়ে যাহা বলিয়াছেন, তাঙ্গর সিদ্ধালু “আত্মাই ব্রহ্ম” ৷ ৪। গাগা-ব্রাহ্মণ (বৃহঃ ৩৮) গাগী বাচক্নবী যাজ্ঞবল্কাকে দুবার প্রশ্ন করিয়াছিলেন । প্রথমবারে কি আলোচনা হইয়াছিল, ভাঙ্গ আমবা এস্থলে বর্ণন করিব মা । দ্বিতীয় বারের প্রশ্ন এবং তাঙ্গর উত্তরক্ট আমাদিগের পক্ষে* বিশেষ অবিশ্বাক । -তাঙ্গষ্ট আমরা আলোচনা করিব। গাৰ্গী বলিলেন—“ধাজ্ঞবল্কা! যেমন কাশী কিংবা বিদেহ দেশের বীরপত্র পন্ততে জ্যা রোপণ করির শকদিগর দুইটি শর হস্টেলষ্টয় উপস্থিত হয়, আমিও তেমনি কুতরাং