১ম সংখ্যা ] যাজ্ঞবল্যের ব্রহ্মবাদ অর্থাৎ বিনাশ বা পরিবর্তন নাই.. তাহারই নাম “অক্ষর” । সাতটি পুরুষকে সমুদায় আত্মার পরমাশ্রয় বলিয়া বর্ণনা এই অক্ষরকে যেভাবে বর্ণনা করা হইয়াছে এবং যখন উহাকে দ্রষ্ট শ্রোভ মস্ত এবং বিজ্ঞাত বল হইয়াছে, তথম বলিতেই হইবে, আত্মাই এই অক্ষর । ‘আত্মা’ বলিলে কেহ হয়ত ইহাকে দেহ বা জড় বলিয়। মনে করিতে পারে, সেইজন্য বলা হইয়াছে, ষ্টঙ্গ স্থল অণু হ্রস্ব দীর্ঘানি নহে। কেষ্ট হয়ত মনে করিতে পারে ईश দুেইৱিশিষ্ট । এইজন্য বলা হইয়াছে ইঙ্গ আচক্ষ ক্রুশ্রোত্ৰ ইত্যাদি। এই আত্মা ছায়া বা অন্ধকারের স্যায় কোন বস্তু ( বা অবস্তু ) নহে। লোকে মানবাত্মাকে সীবিশিষ্ট বলিয়া মনে করে, এইজন্য বল। তষ্টল-৮ছ। “অপরিমেয়”। সাধারণতঃ মনে হয় মানবাত্মার অন্তর এবং রাহ উভয়ই আছে, সেইজন্য বল হইল এই অক্ষর অন্তর্বাহ-ভেদ-রহিত । এই আত্ম সৰ্ব্বশক্তিশালী ইহা বুঝাষ্টরার জন্য বলা হইয়াছে ইহার প্রশাসনে চন্দ্ৰস্থৰ্য্যাদি বিপুঁত হক্টস রহিয়াছে এবং স্ব স্ব কাষ সম্পন্ন করিতেছে । এই আত্মাকে জ্ঞানের বিষয়ীভূত করা যায় না, ইনি বিষয় নহেন, ইনি বিষয়ী ৷ ইত। दृढाडेनाद्र জন্য বল৷ হুইয়াছে ইনি দর্শন শ্রবণাদি করিধ। পাকেন, কিন্তু ঈষ্ঠাকে দর্শন শ্রবণাদি করা যায় না। ৫। শাকলা-ব্রাহ্মণ (বৃহ:"৩৯ )। বিদগ্ধ-শাকল্য নামক একজন ব্রাহ্মণ যাজ্ঞবল্ক্যকে অলেৱ, বিষয়ে প্রশ্ন করিয়াছিলেন । • তাহার প্রশ্নের মূল বিষয় –“কোন পুরুম সমুদায় আত্মার পরমাপ্রয় ?” প্রায়সমৃত্যু মানবই বহু পুরুষ ও বহু আত্মার অস্তিত্ব• স্বীকার করে ; শীকলা ও তাহাই করিতেন । ধাজ্ঞবন্ধ্যের সহিত বিচারে তিনি আটজন পুরুষের কথা উল্লেখ করিয়াছেন। এই পুরুষগণের নাম—(১) শারীর পুরুষ, (২) কামময় পুরুষ, (৩) আদিত্যস্ত পুরুষ, (৪) শ্রোত্রসম্বন্ধী পুরুষ, (৫) ছায়াময় পুরুষ, (৬) আদর্শস্থিত (a) জলস্থিত পুরুষ এবং (৮) পুত্রময় পুরুষ। যাজ্ঞবল্কোর সহিত আলোচনায় শাকল্য প্রথমে বলিলে, শারীর পুরুষই সমুদায় আত্মার আশ্রয় ; ইতার পরে সাতবার অবশিষ্ট করিয়াছেন । পুরুষ আটটি ; ঈঙ্গাদিগের প্রকৃতি ভিন্ন, বাসস্থান ভিন্ন, এবং কাম্যবস্থা ভিন্ন । মৃfজ্ঞবল্কা এষ্টসমৃদ্ধ পুরুষকে সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ করেন নাই। কিন্তু তিনি বলিয়াছেন —যিনি এইসমূদায় পুরুষকে কার্য্যে প্রেরণ করেন, এবং কাৰ্য্য তইতে প্রতিনিবৃত্ত করেন, এবং এইসমূদায় পুরুসকে অতিক্রম করেন, তিনিষ্ট ঔপনিষদ ব্রহ্ম। শকিল্য যে সমুদায় পুরুষের কথা বলিয়াছেন তাঙ্গাদিগের কাচারণ সন্তাই নিরপেক্ষ নতে, সকলেই ত্রহ্মের অধীন, ত্রঙ্গে প্রতিষ্ঠিত এবং ব্রহ্ম কর্তৃক পরিচালিত । আস্থাই এষ্ট ব্ৰহ্ম । সাঙ্গবন্ধা বলেন –এই আত্মার বিষয়ে কিছুষ্ট বলা মায় না । কেবল বলা যায় :– “এই আত্মা ‘নেতি নেতি’—ঈহ! নয়, টঙ্গ নয়। ষ্টনি অগ্ৰাহ, ইতাকে গ্রহণ করা যায় না ; ইনি অশীৰ্য্য, ইনি শীর্ণ হয়েন না ; ইনি অসঙ্গ, ইনি কোন বস্থতে আসক্ত নতেন ; ইনি আবদ্ধ, ইনি বাথ প্রাপ্ত হন না এবং হিংসিত ! ( 9 כןsוס\ ) Il- }: 5 সিদ্ধান্ত জনক-সভায় যে তত্ত্ব প্রকাশিত হইয়াছে তাহা এই – ১। আত্মা এক এবং এই আত্মাই ব্ৰহ্ম । ২ । কোন কোন স্থলে বলা হইয়াছে এই আত্মা তান্তর্বাহ-ভেদরহিত । ৩। ইহা ইষ্টতে কেহ কেহ সিদ্ধান্ত করেন যে এই জগতের বাস্তব সন্তা নাই । সে আত্মার অন্তর বাহির* নাই, যাহার নিকটু কোনপ্রকার ভেদ মাষ্ট, তাতার অন্তৰুে বা বান্তিরে এই বিচিত্রতা-পূর্ণ জগৎ থাকিতে পারে না। সুতরাং এই জগং অস্তিত্ববিহীন । এপ্রকার সিদ্ধান্ত করা তাসম্ভব যাজ্ঞবল্ক্যও কোন কোন স্থলে এইরূপ সিদ্ধান্ত করিয়াছেন " ৪ । কিন্তু এ জগতের যে বাস্তব সত্তা আছে, তাহাও কোন কোন স্থলে উক্ত হইয়াছে। অন্তর্যামি-ব্রাহ্মণে, বলা হইয়াছে যে এই জগং ব্রহ্মের অঙ্গ কিন্তু ব্ৰহ্ম ইষ্টতে পৃথক । নহে !
পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।