পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] গোপন-চারিণী ণ - নরহরিকে উঠাইয়া একটা ঘরে লইয়া ধাওয়া হইল। প্রোফেসর ক— নিকটেই ছিলেন। তিনি আসিয়া বলিলেন বিশেষ কিছু হয় নাই- এবং আঘাতকারিণীকে মিষ্ট ভংগনা করিলেনু। মিষ্ট ভংসনার কারণ ছিল । • নরহরির তখন সবে জ্ঞান হইতেছে। সব-কিছু আবছায় ও দুৰ্ব্বোধ্য লাগিতেছে। সে শুনিল কে বলিতেছে, “মাই ডিয়ার, ইউ আর পারফেক্ট্ৰলি ডেনজারাস। ফ্যানসি স্ম্যাশিং স্যাটু পুওর ইনফ্যান্টু অন দি হের্ড ! তোমার সহধর্শ্বের - মধ্যে ডাক্তারী পাঠ চলুতে পারে, কিন্তু স্বামীকে অতিক্রম করে পরাক্রম দেখানো উচিত নয়।” নরহরি ভাবিতেছিল, কে কাহার স্বামীকে অতিক্রম করিল ? এমন সময় নিবারণ বলিয়া উঠিল, “বোঁদি, তুমি বাপু বিলেত গিয়ে উইম্বলডনে থেলে। এ প্লীহাগ্ৰস্ত দেশে তোমার স্থান নেই।” নরহরি একটা ভয়ঙ্কর সন্দেন্থের বশীভূত मञ्जुश्बिन्न भूलक्ष्। ७ পতন হইয়| উঠিয় বসিতে গেল। প্রোফেসর ক—বলিলেন, “আপনি উঠবেন না। কিছুক্ষণ বিশ্রাম করুন। আমার স্ত্রী আপনার কাছে বসে অতু তাপ করুন।” সুবদন তাহার নিকটে আসিয়া বসিলেন। নরহরি সম্ভবত মাথার যন্ত্রণাতেই বিকৃত মুখ করিয়া চক্ষু বুজিল । “শুভগ্রহ” গোপন-চারিণী শুধু মনে মাছে সেটা আকাশ-প্রদীপ দেওয়ার মাস। মাহ্য মাটির প্রস্থলে বাধা হয়ে বদ্ধ কারায় অন্ধের মত অন্ধকারে হাতৃড়ে মৰ্বছে বটে, কিন্তু সে নক্ষত্র-লোকের কথা একেবারে ত ভুলতে পারেনি, তাই তার গৃহ-শিখর থেকে সে দীপ জেলে রাখে তারকাদের অভিনন্দন করতে, শুধু জানাতে “তুলিনি, আজো একেবারে ভূলিনি।” ছলনা, বঞ্চনা, কাড়াকড়ি, মারামারি, দুৰ্ব্বল আশা o আর বিবর্ণ মুখের মাটির খেলাঘর থেকে আকাশের প্রতি তার ঐইটুকু সম্ভাষণ ! বিদেশে এসে আস্তানা গৈড়েছিলাম একজায়গায আর দুবেল খেতে যেতাম আমার পাতানো মার বাড়ী, একটা বাড়ীরই মাঝখান দিয়ে ভাগ করে’ ছুদিকে দুই গরীব গৃহস্থ থাকতেন। একদিকে আমার পাতানো মী আর তার ছেলে আমার বন্ধু সহদেব,আর এক দিকে আরএকটি পরিবার। প্রথম দিনই এসে ভুল করে অনধিকার প্রবেশ করতে যাচ্ছিলাম। চকিতে একটি মৃণাল-শুভ্র মুখের আভাস আর সঙ্গে সঙ্গে একটি তুষার-ধবল বসনে অবগুষ্ঠিত মূৰ্ত্তি সরে যেতে দেখে চমকে দাড়ালাম। ওদিক থেকে মী ডেকে বললেন—“তুদিকে কোপায় যাচ্ছিস রে । এদিকে