পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] @ একটা" অত বড় বৃষ্টি मेa মার বাড়ীতে বাধ্য হ’য়ে গেলাম, নইলে মা সমস্ত রাত ভাত নিয়ে বসে থাকৃবেন, ভাববেন, শুধু এই জেনে। পোলা দরজা দিয়ে ঢুকলাম-- ভিতরে গাঢ় অন্ধকার। বাতাস হেঁকে যাচ্ছিল আর দুৰ্য্যোগের রাতের অভিসারিক বর্ষা-নিশীথিনীর পায়জোর বাঙ্গুছিল অবিশ্রান্ত জলের ধারম ঝম্ ঝম্ ঝম্‌! হঠাৎ বঁপাশের দরজা খুলে গেল। লণ্ঠনের আলোক্লে জাপার কেটে গেল, দেখতে পেলাম শুধু আভরণ-হীন একটি শুভ্র বাহুর অর্থাংশ। একটা জিনিষ সেদিন লক্ষ্য করেছিলাম, কুপড়ের যে প্রান্তটুকু বাহুর সঙ্গে দেখা যাচ্ছিল তাতে কোন পাড়ের চিহ্ন মূত্র নেই। মাথা নীচু করে ঘরে গিয়ে দেখলাম ঢাকা-দেওয়া খাবারের পাশে মা ঘুমিয়ে পড়েছেন । শুধু আমায় একটুখানি পথ দেখাবাব জন্তে দুরন্তু রাত্রির প্রহর কেউ বিনিদ্র হয়ে কাটিয়েছে একথা কল্পনা করবার মত দুঃসাহস বা অহঙ্কার আমার ছিল না, তবে. অদ্ভুত এই অপরিচিত রহস্যময়ীর আচরণ : যাবার দিন মা কঁাতে লাগৃলেন, বল্লেন--“অত দুরদেশে কাজ শিখতে না গেলে কি চলত না বাব, যা তোর ভালো বুঝিস কর, কিন্তু মার মুখের দিকে চাইলিনে এই বড় দুঃখুধু । একজন ত সন্ন্যাসী হয়ে রইল, তুই কাছে থেকে বিয়ে থা করে সংসারী হবি—দেখব বুলে কত আশা ছিল, তা নয়, তুই চলুলি একেবারে একটু আধটু দূরে নয় সাগরপারে দেশান্তরে । তোদের ত আর মায়া-মমতা নেই।" “নত হয়ে মাত্ব পায়ের ধূলো নিয়ে বল্লাম—“আশীৰ্ব্বাদ গোপন-চারিণী సిసి তোরা আজকালকার ছেলে এসব মানিস নে জানি, কিন্তু আজ শুধু না-হয় আমার খাতিরেই আর আপৰি করিলনে।” তার পর আমার চাদরের খটে পূজার ফুল-ৰিৰপত্র বেঁধে দিলেন । আমি বললাম—“ঠাকুর দেবতা মানি বা ন-মানি মা, এই ফুল-বিৰপত্রের সঙ্গে তোমাদের স্নেহের যে অক্ষয় কবচ বেঁধে দিলে সেটাকে না মেনে পারি নে।” মা বললেন—“সে তোরা যা বলিস, আমরা ঠাকুর দেবতা বলে’ই মানি । আমি ত নিজে আঞ্জ ঘরের কাজ নিয়েই সকাল থেকে আছি, যেতে পারিনি। ও-বাড়ীর মেয়েটি আজ সকালে ঠাকুর-বাড়ী গিয়েছিল, যত্ন করে এই নিৰ্ম্মাল্য নিজে এনে দিয়েছে—দেখিস্ যেন পায়ে না ঠেকে। আর স্বভালাভালি পৌঁছেই একটা খবর দিতে ভুলিসনে বাবা । যতদিন না থবর পাব কেমন করে আমার দিন যাবে ভগবানই জানেন।" কান্ন আসছিল। বিমর্ষমুখে গাড়ীতে উঠে বসলাম । A 崇 驊 驊 崇 嶺 来ییر জীবনের মান গোধূলি-বেল এসেছে আজ। পাতানে ম। আর নেই, বন্ধু ও নেই, বিদেশীর দেশে স্বজন-চীন আমি নিরুদ্দেশের পারের পেয়ার প্রতীক্ষা করছি। সেদিনকার সে রহস্যময়ী মেয়েটির কোনো খবর আর কখনো পাইনি, পাবার চেষ্টাও করিনি। সে কেমন, একটু চকিত আভাসে ছাড়া ভালো করে দেখৃতেও পেলাম না। জীবনের পথধূলিতে তা’র ক'টি চিহ্ন আছে মাত্ৰ—শুকনো ফুল আর পাতা,আর রীপুকের একটা পুরোনো জাম। শুধু শুনেছিলাম করে, মহিষ হ’য়ে তোমার কোলে ফিরে আসি তাড়াতাড়ি।” সে একটি তরুণী বাল-বিধবা। আজো বিচার করতে সাংস © মা বলল্লেন—“আশীৰ্ব্বাদ ত রাতদিন করছি বাবাকিন্তু একটা কথা আজ আমার রাখতে হবেই তোকে । হয় না সেদিন যে আশাতীত মমতা যে অযাচিত কল্পণা দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম ত কিসের—স্নেহুের, না... ... শ্ৰী প্রেমেন্দ্র মিত্র