ইংরেজী মাসের নামরহস্য
- বাংলামাসের নাম সব সংস্কৃত। জ্যোতিষ-শাস্ত্রের নিয়ম অনুসারে বিশেষ বিশেষ নক্ষত্রের নামে তাহদের নাম হইয়াছে। প্রত্যেক মাসে দিনের সংখ্যাও সেই জ্যোতিষশাস্থের নিয়ম অনুসারে স্থির হয়। ইংরেজী মাসের নাম .কিন্তু সেরূপ নয়। উহা সেকালের রোমানদের দেওয়া ; .জ্যোতিষ শাস্ত্রের সহিত উহার কোনো সম্পর্ক নাই। এই
নামগুলি কেমন করিয়া হইল, তাহাই আজ বলিব । • ইংরেজী প্রথম মাস জানুয়ারী জেনাস নামক দেবত্বার নাম অনুসারে হইয়াছে। এই দেবতার সম্মুখ পিছন উভয় দিকে মুখ ; বাম হাতে একটি চাবি ৷ ইনি আরম্ভ ও শেষের দেবতা। বংসরে যেমন বারে মাস, ইহঁয়ে মন্দিরে তেমনি বারোটি দেবতা। এই মন্দির যুদ্ধের সময় পোল! থাকিত এবং রোমানরা কোনো কিছু সুন্দরভাবে আরম্ভ বা শেষ করিতে চাহিলে ইহার পূজা করিতেন। ইনি আবার স্বর্গের দ্বাররক্ষক ছিলেন । বখসরের প্রথম মাসে ভাবুক লোকে গত বৎসর যাহা পিছনে পড়িয়াছে এবং আগামী বৎসর যাহা সম্মুখে রহিয়াছে স্বভাবতই তাহার কথা ভাবি থাকেন। এই জন্ত রোমানরা দুইমুখে আরম্ভ ও শেষের দেবতার নাম অনুসারে বৎসরের প্রথম মাসের নাম রাখিয়াছিলেন। দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারী এক সময় রৎসরের শেষ মাস ছিল ; কিন্তু যীশুখৃষ্টের জন্মের ৪৫০ বৎসর পূৰ্ব্বে উহাকে জানুয়ারীর ওদিক হইতে আনিয়া এদিকে বসাইয় দেওয়া . হয়। ইংলণ্ডে আগে মার্চ মাস হইতে বৎসর আরম্ভ হইত ; তখন ফেব্রুয়ারী পুনরায় শেষ মাস হইয়াছিল ; . এখন আবার দ্বিতীয় মাস হইয়াছে। সেকালে লুপারকাস দেধতার সন্মানার্থে রোমানরা ‘ফেব্রুয়া' নামক একটি শুদ্ধি-উৎসব করিতেন।” এই উৎসব করিয়া তাহারা ধর্শ্বে শুদ্ধ হইতেন মনে করিতেন। অবত এই উৎসব-উপলক্ষ্যে আহারাদি এরূপু শুরুতর হইত মে, মন শুদ্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনুই ছিল না। যাহা ২৩ হউক, এই ‘ফেব্রুয়া’ উৎসবের নাম অনুসারে এই মাসের নামকরণ হইয়াছে । 釁 তৃতীয় মাস মার্চ রোমানদের রণদেবতা ‘মার্স্-এর নাম অনুসারে হইয়াছে। ‘মার্স ভয়ঙ্কর যোদ্ধ, তাছার এক হাতে দীর্ঘ বর্ষ ও অন্য হাতে অতি উজ্জল ঢাল এবং মাথায় বৃহৎ মুকুটের চারিদিকে বিদ্যুৎ থেলা করিতেছে। ‘মার্স অতি বলশালী বলিয়। রোমানরা সকল কাজের জন্যই তাহার পূজা করিতেন। ওদেশে এসময় প্রায়ই ঝড় বৃষ্টি হয় বলিয়া ‘মারস'-এর নাম অনুসারে এ মাসের নাম হইয়াছিল । দারুণ শীতে সমস্ত প্রকৃতি যেন জড়সড় ও অচেতন হইয় পড়ে। শীতের শেষে মার্চের ঝড়বৃষ্টির অন্তে বসন্তের রাণী ‘এপ্রিল’ আসিয়া আবার জগতে চেতনা সঞ্চার করে এবং তাহার মধুর স্পর্শে সমস্ত প্রকৃতি যেন খুলিয়া যায়, ডালে ডালে ফুল ফোটে, গাছে গাছে পার্থী গাহে । এ-সময় স্থপ্ত প্রকৃতি জাগিয়া উঠে, তরুণ লতাপাত জন্মলাভ করে। এই সুন্দর দৃপ্ত দেখিয়া রোমানরা আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিতেন—“ইহা সব খুলিয়া দেয়” ; এবং তাঙ্গা হক্টতে এ মাসের নাম হুইল এপ্রিল, উন্মোচনকারী। পঞ্চম মাস মে ‘মাইয়া’ নামক দেবীর নাম অনুসারে হইয়াছে। রোমান-মতে সমস্ত পৃথিবীকে “য়াটুলাস" নামক এক দেবতা কাধে করিয়া ধরিয়া রাখিয়াছেন। ‘মাইয়া এই “ অ্যাটুলাসের সাত কুন্তার একজন। ইহার পুত্র মার্কারি'-. দেবতাদের সংবাদবাহক বলিয়া বিখ্যাত। ইহঁদের সাতৃ ভগ্নীকে দেবরাজ জুপিটার আকাশে একস্থানে তারকা করিয়! রাখিয়াছেন। সাতটির একটি ‘শিশিফাস’ নামক একজন মাতুষকে বিবাহ • করেন । কোনও কারণে দেবরাজ ‘শিশিফাসকে কঠোর শাস্তি দিলে, সেই দুঃগে তিনি মুখ লুকাইয় অদৃশু ইয়াছেন। 酶 ষষ্ঠ মাস জুন সম্বন্ধে একটু গোলমাল আছে। কাহারও মতে এটি ‘জুনে।’ দেবীর মাম, কাহারও মতে এটি রোমের