পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8>や নাম বাদ দিয়া তাহার জায়গায় “ক”, “খ”, “গ” লিথিয়৷ দিয়া, কাহাকেও জিজ্ঞাসা করা যাইত, “বল ত, কোন কথাগুলি জজের এবং কোন কথাগুলি স্তার মাইকেলের ব্যারিষ্টারের,” তাহা হইলে নিশ্চয়ই তিনি জজ, ম্যাকৃকার্ডির কোন কোন কথাকে বাদী-পক্ষের ব্যারিষ্টারের কথা মনে করিতেন। বস্তুতঃ এই বিচারে বরাবরই জজ, বাদীর পক্ষে এরূপ টান দেখাইয়াছেন, যে, ভারতীয়দের স্বার্থবিরোধী এংলো-ইণ্ডিয়ান্‌ ষ্টেটুস্ম্যান ও পাইয়োনীস্থার কাগজ দুখানাও একথা স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছে, এবং বলিয়াছে, যে, এই কারণে দেশী লোকমতের উপর জজের রায়ের যথোচিত প্রভাব অমুভূত হইবে না। জজ রায় দিয়াছেন, যে, স্যার শঙ্করন নায়ারকে • • • পাউণ্ড ( ৭৫০০ টাকা ) থেশারৎ দিতে হইবে, এবং স্যার মাইকেলের মোকদ্দমার খরচ প্রায় ২০,০০০ পাউণ্ড (৩ লক্ষ টাকা ) ও তাহাকে দিতে হইবে । তা ছাড়া তাহার নিজের খরচও বিস্তর হইয়াছে । সম্ভবতঃ তাহা তিন লক্ষ টাকা অপেক্ষা অধিক হইয়াছে । কারণ, সাক্ষ্যসংগ্রহের জন্য ও'ডোআইয়ারের পক্ষে সবুকারী লোক খাটিয়াছিল, স্যার শঙ্করন সেরূপ কোন সাহায্য পান নাই । অতএব, বলিতে গেলে স্যার শঙ্করনের প্রায় সাতলক্ষ টাক। অর্থব গু হইল ; ত। ছাড়া সময় ও শক্তি নাশ এবং উদ্বেগ-ভোগ আছে । কি ভারতে, ফুি বিলালে, ভারতীয় ও ইংরেজে এইরূপ মোকদম ইষ্টলে ভার ভায়ের জয়লা গু হওয়া দুর্ঘট অসম্ভব বলিলেও টিলক জিতিতে পারেন নাই । মিসেস বেসান্ট ভারতীয় না হইলে ও ভারতীয় পক্ষে লড়িয়ছিলেন বলিয়া একখানা স্বচ কাগজ তাহার কুৎসা করে । কি স্তু তিনিও উহার নামে মোকদ্দমা করিয়া গরিয়া যান । এই জন্য ইহা অসুমিত হইয়াছিল, যে, স্যা শঙ্কঃনগু হাবিবেন । কিন্তু তিনি মোকদমা করেন নাই, অন্যে তাহার মামে নালিশ করায় তাঙ্গকে অগ ন্যা আত্মপক্ষ সমর্থন কারতে হহয়ছিল । সুতরাং তাঁহাকে বেকুব বলা যায় না। ’ জম ম্যাক্কার্ডির যুক্তিগুলি চমৎকার। একটা চলে । প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড SS SSAS SSAS SSAS SSAAAASAASAASAASAASAASAAAS দৃষ্টান্ত দিই। জঙ্গ বলেন, “পঞ্জাবের দুইশত খবরের কাগজের কোনটাতেই সৈন্যসংগ্ৰহাৰ্থ অত্যাচার জনিত বিভীষিকা সম্বন্ধে একটি কথাও লেখা হয় নাই।...... ইহার ব্যাখ্যা কি ইহাই নহে, যে, বিরল দু-একটা অন্যায় কাজ ছাড়া, কোন অত্যাচারক্ট হয় নাই?” পঞ্জাবের কোন খবরের কাগজে, ভ্য প্রদর্শনদ্বারা সিপাহীসংগ্ৰহ সম্বন্ধে কোন কথাই বাকির হয় নাই, ইহা সত্য কি না জানি না। কিন্তু যদি সত্য হয়, তাহা হইলে জজ, যাহা মনে কলেন, তাহার বিপরীত কথাই তাহার দ্বারা প্রমাণিত হয়। ইহাই প্রমাণিত হয়, যে, অত্যাচারের ও তজ্জনিত আতঙ্কের মাত্রা এত বেশী হইয়াছিল, যে, কেহ প্রকাশ্যভাবে কিছু লিখিতে সাহস করে নাই । অত্যাচারের কথা বিলাত পৰ্য্যস্ত পৌঁছিয়াছিল, ট্র থ কাগজে তাঙ্গ বাহির হইয়াছিল । হাণ্টার কমিশনের নিকট সাক্ষ্যেও তাচ বাহির হইয়াছিল। জজ, জেনার্যাল ডায়ারের জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ সমর্থন করিয়াছেন । র্তাহাকে নির্দোষ বলিয়াছেন । বিলাতের টাইম্স কাগজ পর্য্যন্ত জজের এই মন্তব্য প্রকাশ অপ্রাসঙ্গিক বলিয়াছেন । বাস্তবিক ও ডায়ার দোষী কি নির্দোষ, তাহা মোটেই প্রধান বা অন্যতম বিচাৰ্য্য বিষয় ছিল না । সুতরাং লংকালিক ভার সচিব ডায়ার ে• অন্যায়ুরূপে জজের পক্ষে এই কথা বলা, নিয়ান্ত ভাবতসচিবের বিরুদ্ধে গায়ের ঝাল ঝাড়ার মতই দেখাইলেছে । হাণ্টার কমিশন, স্বামী কেন্সিল ও ব্রিটিশ গবৰ্ণমেণ্ট কর্তৃক বন্ধ অতুসন্ধান ও সাক্ষ্য গ্রহণের পর, তাই দেব স্বজাতীয় লোক জেনার্যাল ডায়ারকে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ অল্পপরিমাণে দোষী সাব্যস্ত করেন । মোকদম উপলক্ষ্যে কিছু সাক্ষ্য লইয়া, জজ নিজের দেশের গবর্ণমেণ্টের উপর বিচারক সাজিয়া ডায়ারকে নির্দোষ এবং গবর্ণমেণ্ট কে দোষী স্থির করিলেন, এই দৃশ্যটিতে নিশ্চয়ই গবর্ণমেণ্টের প্রতিপত্তি খুবই বাড়িবে। আমী কৌন্সিলের নিকট ডায়ারেব সাক্ষ্য হইতে কিছু উদ্ধত করিয়া জজ বলেন, ডায়ার জালিয়ানওয়ালা বাগে মনে করিয়াছিলেন, যে, তাহার সাম্নে একটা 尊 দণ্ড দিয়াছিলেন, এতদিন পরে, অন্য লোকের