পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sy সংখ্যা ] কিনা সুন্দেহ। মোগল-সম্রাট. আকবরের মেহেরউল্লিস। o নামে কোন কন্যা থাকুক বা না থাকুক তাহাতে কিছু আসে যায় না ; কিন্তু আকবরের কন্যা যে গোপনে প্রতাপসিংহের শিবিরে গিয়াছিলেন এ-কথা বলিবার অধিকার-কাহারও * নাই। আমার যতদূর স্মরণ হয় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের পূর্কে কোন নাটককার এরূপভাবে ইতিহাসকে লঙ্ঘন করিতে সাহস করেন নাই । . ● দ্বিজেন্দ্রলাল ও গিরীশচন্দ্র বহুদিন আমাদিগকে পরি: গিয়াছেন ; স্বতরাং তাহাদিগের নাটক লইয় . বৰ্ত্তমানকালে আলোচনা করা বৃথা । কিন্তু দ্বিজেন্দ্রলাল র্তাহার খুঁfতহাসিক নাটকগুলিতে যে অসত্যের ধারা প্ৰবৰ্ত্তন করিয়া গিয়াছেন দশ পনের বংসর পরেই তাহার ফলে বাঙ্গাল সাহুিতো ঐতিহাসিক নাটকের কি পরিণাম হইয়াছে তাহ প্রদর্শন করাই বৰ্ত্তমান প্রবন্ধের উদ্দেশ্য । বৰ্ত্তমান বংসরে কলিকাতার সাধারণ বা বৈতনিক রঙ্গমঞ্চে তিনখানি নূতন . ঐতিহাসিক নাটক অভিনীত হইয়াছে— ( ১ ) মনোমোহন রঙ্গমঞ্চে আলেকজাণ্ডার, পঞ্চাঙ্ক ঐতিহাসিক নাটক, শ্ৰী স্বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত । ( ২ ) ষ্টার রঙ্গমঞ্চে ইরাণের রাণী, শ্ৰী অপরেশচন্দ্র মুপোপাধ্যায় প্রণীত। এই নাটকখানির মুখপত্রে ঐতিহাসিক ছাপ মারা নাই, তথাপি ইহা কেন ঐতিহাসিকনাটক-পৰ্য্যায়ভুক্ত করা হইল তাহার কারণ যথাস্থানে বিবৃতবুরিব। e o (৩) মনোমোহন থিয়েটারে অভিনীত ললিতাদিতা, ঐতিহাসিক নাটক, শ্ৰী নিশিকান্ত বস্থ রায় বি-এল প্রণীত । পৰ্য্যায়ক্রমে ধরিতে গেলে আলেকজাণ্ডার নাটক পানিকেই প্রথম ধরিতে হয়, কারণ বৰ্ত্তমান বর্ষে ইহাই, প্রথম নাটক । আলেকজাণ্ডার নাটকখানি অভিনয় দেখিবার সৌভাগ্য আমার হয় নাই, মুদ্রিত গ্রন্থ পাঠ করিয়া অভিনয় দর্শনের ইচ্ছ। উড়িয়া গিয়াছিল।. নাট্যকার ঐযুক্ত ঐতিহাসিক নাটক లిసి ও বিদেশী নানা ভাষায় বহু প্রবন্ধ ও গ্রন্থ রচিত হইয়াছে। আমাদের বাঙ্গাল ভাষাতেও যে এসম্বন্ধে দুই-একথানি গ্রন্থ নাই তাহা নহে, কিন্তু গ্রন্থকার পারস্য-রাজ দারা ও আলেকজাণ্ডারের যে চিত্র আঁকিয়াছেন তাহ সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক। শ্ৰীযুক্ত স্বরেক্সনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত আলেক্জাণ্ডার নাটকে দেপিতে পাওয়া যায় যে পারস্তরাজ দারা যপন মাতাল অবস্থায় প্রাসাদে দাড়াইয়া আছেন তখন তিনি নেপথ্যে আলেক্‌জাণ্ডারের জয়ধ্বনি শুনিতেছেন—“তৃতীয় দৃপ্ত। রাজপ্রাসাদ। মাতাল অবস্থায় দারায়ুস টলিতেছে, বেসাস তাহার হাত ধরিয়া টানিয়া আনিতেছে।” “দার । আরে যা ও বেসাস । আমি যাব না । আজ তার আমোদ করছে আর তুমি বল কিনা গ্রীকের আক্রমণ করছে ? তুমি মাতাল হযেছ বেসাস । “বেসাস। সম্রাটু! আর একটু, এখনি প্রাসাদ আমরা অতিক্রম করতে পারব। চলে’ আহন সম্রাট্‌ ! আপনি বঁচিলে পারস্তের আবার সব হবে।” দার বা দারায়ুসের এই যে চিত্র বাঙ্গালী নাট্যকার জাকিয়াছেন ইহা সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক। দারা বা দারযুসের প্রকৃত নাম দরিয়ালুস। মাকেদন-রাজ অ্যালেক্‌জাণ্ডার যখন পারস্তদেশ আক্রমণ করিয়াছিলেন তখন যে-রাজ বিশাল পারসিক সাম্রাজ্যের অধিপতি ছিলেন তিনি দরিয়াবুস নামের তৃতীয় রাজা। তিনি কাপুরুষ ছিলেন না এবং অ্যালেক্জাওlর তাহার পিতৃরাজ্য । পরিত্যাগ করিয়াই বিনা বিবাদে পারসিক সাম্রাজ্যের রাজধানীতে প্রবেশ করেন নাই। এসম্বন্ধে নাট্যকার' শ্ৰীযুক্ত স্বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় যে চিত্র জাকিয়াছেন তাহ সম্পূর্ণরূপে অলীক। র্তাহার অ্যালেকজাণ্ডার নাটকে দেখিতে পাওয়া যায় যে দ্বিতীয় অঙ্কের পঞ্চম দৃষ্ঠে, ফিলিপের মৃত্যুর পরে তৃতীয় অঙ্কের দ্বিতীয় দৃশ্বে অ্যালেক্‌জাণ্ডার একেবারে পারস্তের"রাজধানীতে আসিয়া উপস্থিত স্বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এই নাটকে মাকূেদন-রাঙ্গ হইয়াছেন। ইতিহাসে প্লেতে পাওয়া যায় যে ৩৩৪ আলেকজাণ্ডার বা সেকেন্দরের ভারত- ও পারস্ত-জয়ের বৃত্তান্ত অবলম্বন করিয়া এই নাটকখানি রচনা করিয়াছেন। আলেকজাণ্ডারের পারস্য- ও ভারত-বিজয় সম্বন্ধে দেশী খৃষ্ট পূৰ্ব্বাদে আন্দাজ পয়ত্রিশ হাজার সৈন্য লইয়া, অ্যালেকজাণ্ডার ঐসিয়াদেশে পদার্পণ করিয়াছিলেন। এসিয়া-মাইনরের মধ্যভাগে • ফ্রিজিয়ার শাসনকৰ্ত্তা বা ক্ষত্রপ