পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য j অহিফেন-ব্যবসায়ে ব্রিটিশ রাজ ৬৪১ ষে টাকার খনি পড়িয়া রহিয়াছে, তাহ পকেটে পুলিতে হইলে সৰ্ব্বপ্রথমে প্রয়োজন—সস্তায় শ্রমিক। সস্তায় শ্রমিকও এশিয়াতে মেলে, কিন্তু তাহার ঔপনিবেশিক দ্বীপগুলির অস্বাস্থ্যকর আবহাওয়ায় তেমন খাটিতে রাজি নয়। তাই খৃষ্টের এই পরম ভক্তেরা সস্তায় আফিম জোগাইয়া ইহাদের মেশা-খোর করিয়া তুলিল। পরে এই-সব দ্বীপগুলিতে সহজে আফিম যাহাতে পাওয়া যায়, তাহার ব্যবস্থা করিয়া নেশাসক্ত হতভাগ্যদের ক্রীতদাসৰূপে * খাটাইয়া নিজেদের স্বার্থ-সিদ্ধি করিয়৷ চলিল। সিঙ্গাপুর হইতে স্বরু করিয়া ফেডারেটেড ষ্টেটে, জোহোর, কেড, ব্রিটিশ উত্তর বোণিয়ে, সারাওয়াক, ব্রুনে, হংকং, ওলন্দাজ উপনিবেশগুলিতে, পর্তুগীজ, উপনিবেশগুলিতে, ফরাসী ইণ্ডো-চীনে হ্যামদেশে, চীনে—সৰ্ব্বত্র ইওরোপীয় খৃষ্ট-চেলাদের এই অপূৰ্ব্ব অহিফেন-কীৰ্ত্তির, মাহাত্ম্য ফুটিয়া উঠিয়াছে । ভারতের ইংরেজ-সরকার এই পাপ-ব্যবসায়-প্রচারে অগ্রণী । পাশ্চাত্যের তথা-কথিত অপূৰ্ব্ব সভ্যতার হাতে চীন দেশের যে দুৰ্দ্দশা ঘটিয়াছে, তাহ পৃথিবীতে পাশ্চাত্য জাতিগুলির ইতিহাস মপ সিক্ত করিয়া রাখিবে । চীনে•যদিও অহিফেনের প্রচলন বহুদিন ধরিয়া আছে, তথাপি উহা অতি সামান্য পরিমাণেই তথায় ব্যবহৃত হইত। খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে ওলন্দাজেরা চীনদেশে তামাকের সঙ্গে আফিমের ধূমপান-প্রথার প্রবর্তন করে। গোয় হইতে পর্তুগীজেরাই প্রথম অহিফেন চীনে চালান দেয় । চীন-সম্রাট ইয়ুং চিং অহিফেন-প্রচারের অপকারিতা বুঝিয়া ১৭২৯ খৃষ্টাব্যে অহিফেন-বিক্রয় ও অহিফেন-ধুমপানের বিরুদ্ধে আইন জারী করেন । কিন্তু পাশ্চাত্য জাতিগুলি চীনের দুৰ্ব্বলতা বুঝিয়া ক্রমাগতই চীনের সম্রাটের আজ্ঞা তুচ্ছ করিয়া অহিফেন চালান দিতে থাকে। ১৭২৯ সাg • বাক্স অহিফেন আসিয়াছিল, জার ১৭৯৯ সালে আসিল ৪• • • বাক্স । ১৭৯৬ সনে সম্রাট আবার অটুফেন প্রচার নিষিদ্ধ করিলেন। কিন্তু ভৎসবেও পাশ্চাত্যের অর্থ-পিশাচ জাতিগুলির চেষ্টায় গ্লনে কমাগতই অহিফেন প্রচার বাড়িতে থাকে। নিয়ের Ե ծ তালিকা হইতে এই বুদ্ধির পরিমাণ অনেকটা বুঝা نس: taجut » १९**~-२ ० ० বাক্স ه ها ه و 8سسه ه۹لا م ه ه , هـسـه جمbلا عبہ ,و ه ه ه, وه د س- ه تا والا , د ه ه,ه ډ-ـــیراثتيا ډ می ه ه ه وه ۹ مسمراه براد বলা বাহুল্য ইহার সমস্তই ভারতীয় অহিফেন । রাজকীয় সকল প্রচেষ্টাকে তুচ্ছ করিয়া অহিফেনের এই প্রচার-বুদ্ধির প্রথম কারণ ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা, দ্বিতীয় কারণ ভারতের ইংরেজ-সৰ্বকার । ইংরেজ দেখিয়াছিল যে, ভারতে অপৰ্য্যাপ্ত অহিফেন উৎপন্ন হইতে পারে এবং সামান্য চেষ্টা করিলে চীনে তাহা চালান যাইতে পারে। পর্তুগীজ ও ওলন্দাজদের চেষ্টায় চীনারা অহিফেনের আস্বাদ প্রথমেই পাইয়াছিল ; এবার ইংরেজ তাহার অপ্রমেয় সৈনিক শক্তির সাহায্যে চীনে অহিফেন চালাইতে নামিল । চীন-সরকার অহিফেনের প্রসারে ভীত হইয়াবারবার ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট কে অমুনয় করিতে লাগিল— তোমরা এই বে-আইনী সৰ্ব্বনাশকর আফিমের ব্যবসা বন্ধ কর ; চীনেদের সর্বনাশ এমন করিয়া করিও না। কিন্তু কে কার কথা শোনে ? ইংরেজ দেখিল চীন-সরকারের শক্তি নাই যে তাহার বিরুদ্ধে দাড়াইতে পারে, তাই তাহার কথায় কর্ণপাত করার কোন প্রয়োজনই সে মনে করিল না। চীন-সরকার যখন দেখিল যে, ইংরেজের ধৰ্ম্ম-বুদ্ধির ও নীতি-জ্ঞানের উপর দোহাই দিয়া কোন ফল নাই, তখন তাহারা নিজেরা উহার প্রতিকারে নামিল । অহিফেনের বাক্স ধরা পড়িলেই তাহারা তাহা চুন ও লবণ মিশ্রিত করিয়া নষ্ট করিতে লাগিল । ইংরেজ দেখিল বিপদ—তাহার পাপ-ব্যবসায় ত বুঝি বন্ধ হয় ! ফলে যুদ্ধ লাগিল। ইহাই প্রথম অহিফেন-সংগ্রাম নামে ইতিহাসে পরিচিত। হৃতশক্তি চীন হারিয়া হারিয়া ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে সন্ধি করিল। হংকং ইংরেজের হইল; ইংরেজ ২১• লক্ষ ডলার খেসারৎও পাইল। ইহা ছাড়া ক্যান্টন