পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬৬ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড তাহার নিজের বাইসাইকেল এই কার্য্যে দান করিয়াছেন। গত দুই মাসে ১৫ জন মহিলা বেশ ভাল বাইসাইকেল চড়িতে শিখিয়াছেন। ইহাতে র্তাহাদের কার্য্যের অনেক সুবিধা হইয়াছে, সঙ্গে সঙ্গে খোলা হাওয়ায় ব্যায়ামের জন্য শরীরও ভাল হইতেছে। ভারতবর্ষের অন্য কোথাও এইরূপ ব্যবস্থা আছে কি না, জানি না। কলিকাতার মেয়ে-বিদ্যালয়গুলিতে এই ব্যবস্থা অনায়াসেই করা যাইতে পারে। বাইসাইকেল চড়িতে শিখিলে মেয়েদের অনেক সময় স্বাধীনভাবে চলা-ফেরা করিবার স্ববিধ হয়, এবং এপাড়া হইতে ওপাড়া যাইতে হইলে থার্ড, ক্লাস গাড়ী ডাকিয়া ছয় আনা পয়সা ভাড়া দিতে হয় না। আফগানিস্থানের বর্তমান আমীর আমান-উল্লা দেশের নানাপ্রকার উন্নতি করিবার সময় নারীদের ভুলিয়া যান নাই। দুই বৎসর পূৰ্ব্বে মহারাণীর নিজ কর্তৃত্বাধীনে একটি মেয়েদের বিদ্যালয় খোলা হইয়াছে। ইহার পূৰ্ব্বে এই দেশে আর কখনও নারী-বিদ্যালয় খোলা হয় নাই। বিদ্যালয়টি পদ-বিদ্যালয় হইলেও ইহাতে দেশের অনেক উপকার হইতেছে। বিদ্যালয়ের চারিদিকে কড়া পাহারার বন্দোবস্ত হইয়াছে। বিদ্যালয়টিতে ৩৫০ জন ছাত্রী আছে। সকলেই দেখিতে স্বন্দরী এবং বুদ্ধিমতী । বিদ্যালয়ে পাঁচ বৎসর পুড়িতে হয়। ছোট মেয়েদের সাত বছর প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩১ 息一 বয়স হইতে লেখা-পড়া স্বরু করিতে হয়। বিদ্যালয়ে, পড়া লেখা অঙ্ক ভূগোল ইতিহাস চিত্রাঙ্কন সেলাইশিল্প ইত্যাদি সহজভাবে শিখান হয়। শিক্ষকের ভারতবর্ষ হইতে শিক্ষিত হইয়া গিয়াছেন। এই বিদ্যালয় স্থাপিত হইবার পূৰ্ব্বে মেয়েদের শিক্ষার । বন্দোবস্ত মেয়েদের পিতার দয়া করিয়া করিলে কিছু হইত। তাহাও কোরান-পাঠেই শেষ হইত। স্বদূর চীনদেশের উচাও সহরের নারীরা একটি দৈনিক কাগজ বাহির করিবার চেষ্টা করিতেছেন। চীনদেশের পুরুষ পরিচালিত খবরের কাগজগুলিতে মহিলারা বিশেষ আমল পান না, তাই তাহাদের এই উদ্যোগ। এই কাগজে নারীদের সংক্রান্ত ব্যাপার এবং সংবাদাদি ছাড়া অন্ত কিছুই থাকিবে না। জাপানে নারী-শ্রমিকদের একটি সঙ্ঘ গঠিত হইয়াছে। বর্তমানে ইহার সভ্য সংখ্যা ১০০ । এই সংখ্যার মধ্যে সকলরকমের নারীই আছেন । এই সঙ্ঘ ক্রমশঃ তাহাদের দল বাড়াইতেছেন এবং ক্রমে র্তাহার। জাপানের সমস্ত নারী-শ্রমিকদের কেন্দ্র-সঙ্ঘ হইবেন বলিমা মনে হয়। সঙ্ঘ নারী শ্রমিকদের সকলপ্রকার উন্নতির দিকে দৃষ্টি রাখিবার চেষ্টা করিতেছেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশগুলিতে এইপ্রকার নারী-শ্রমিক-সঙ্ঘের বিশেষ প্রয়োজন আছে । নৃতন ছন্দ to শ্ৰী গোলাম মোস্তফা এই কোলাহল-মুখরিত জগতে ছন্দ ও স্বরের অবধি নাই । মেঘ-মন্দ্রে, গিরি-রন্ধে, বিহগ-সঙ্গীতে, তরঙ্গভঙ্গীতে, সৰ্ব্বত্রই ছন্দ বিরাজমান। বিশ্বের দৈনন্দিন কৰ্ম্ম-কোলাহলের মধ্যেও ছন্দ ও স্বর ধ্বনিত হইতেছে। যাহার কান আছে, সেই তাহা শুনিতে ও বুঝিতে পারে। নিম্নের ছন্দগুলি এইরূপভাবেই আমি প্রকৃতি হইতে ধরিয়া লইয়াছি । ইচ্ছা করিলে যে এইরূপ ছন্দ আরও আবিষ্কার করা যায়, তাহ বলাই বাহুল্য। ১ । ছন্দ-স্বত্র : g “মহাত্মা গান্ধী-কি জ—য় !" লোকে যে-ভাবে মহাত্মার নামে জয়ধ্বনি করিয়া থাকে, সেই সুর ও তাল সৰ্ব্বত্র বজায় রাখিতে হইবে।