পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᏔᏱbrᏔ% অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা কুৎসিত অত্যাচারের অভিযোগ বিচারালয়ে উপস্থিত হওয়ায় সম্প্রতি উহ। ধ্বংসপ্রাপ্ত হইয়াছে। উক্ত আশ্রমের নিৰ্য্যাতিত কতিপয় অনাথশিশু আমাদের নিকট আশ্রয় প্রার্থন করায় আমরা কষ্ট্রব্য নিৰ্দ্ধারণের নিমিত্ত বিগত ১১ই মার্চ তারিখে মিত্র ইনষ্টিটিউশনগুহে এক জনসভার আহবান করি। উক্ত সভার নির্দেশ-অনুসারে উক্ত শিশুগণকে লইয়া "দক্ষিণ কলিকত। সেবাশ্রম" নামে এই নুতন অনাথাশ্রম প্রতিষ্ঠা করি । উক্ত আশ্রমকে স্বগঠিত ও হপরিচালিত করিতে হইলে যথেষ্ট অর্থের প্রয়োজন। সহৃদয় জনসাধারণের নিকট বিনীত নিবেদন, তাহারা যথাসাধ্য অর্থমুকুল্যে এই মহৎ অনুষ্ঠানটিকে সফল করিয়া তুলিতে অগ্রসর হউন। যথোচিত আর্থিক সাহায্য পাইলে এই আশ্রমেই বালকগণ প্রতিপালিত ও শিক্ষাপ্রাপ্ত হইয়। কালে সমাজ-সেবায় আত্ম-নিয়োগ করিতে পরিবে। তাহদের মধ্যে হয়ত এমন প্রতিভাশালী ও মহাপ্রাণ কৰ্ম্মীর সন্ধান পাওয়া যাইতে পারে, যাহার। ভবিষ্যতে স্বীয় কৰ্ম্ম ও চরিত্রগুণে দেশের ও সমাজের মুখোম্বল করিতে সক্ষম হইবে। এস্থলে আমরা জনসাধারণকে নিঃসন্দেহে জনাইতে পারি যে, বৰ্ত্তমান প্রতিষ্ঠানটি যে ত্যাগ ও সেবাপ্রবণ চিত্তের ভিত্তির উপর স্থাপিত হইয়াছে এবং সাধারণের বিশ্বাসভাজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণকর্তৃক গঠিত কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহ-সমিতি দ্বারা পরিচালিত হইতেছে, তাহাতে অর্থ বা অন্ত কৰ্ত্তব্য-সম্বন্ধে ত্রুটি-বিচূতির কোন সস্তাবনা নাই। আশ্রমকে জনসাধারণ কি কি উপায়ে সাহায্য করিতে পারেন :--- (১) মাসিক, বাধিক বা এককালীন অর্থ-সাহায্য দ্বারা ; (২) চাউল, ডাউল, লবণ, তৈল প্রভৃতি আহাৰ্য্য-বস্তু দ্বারা ; (৩) কাপড়, জাম. বিছানা প্রভৃতি সাহায্য দ্বারা : (৪) থালা, ঘটী, বাট প্রভৃতি ধাতুময় দ্রব্যাদি দ্বারা ; (৫) পুস্তক, পত্রিকা, কাগজ, কালি, প্রভৃতি শিক্ষার সরঞ্জাম দ্বারা ; (৬) দৈনিক মুষ্টিভিক্ষণ প্রদান ও সংগ্রহের দ্বারা ; (৭) ক্রীড়া ও ব্যায়ামের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ইত্যাদি দ্বারা। যিনি যাহাই দান করিতে ইচ্ছা করেন, তাহা আশ্রমের কোষ'ধ্যক্ষ শ্ৰীযুক্ত নিৰ্ম্মলচন্দ্র চন্দ্র, সভাপতি, সম্পাদক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কৰ্ম্মীর হস্তে প্রদান করিতে পারেণ । আশা করি অনাথ-নারায়ণ পূজার এই মহা আয়োজন সকলের সাহায্য ও সহানুভূতি-লাভে বঞ্চিত হইবে না। বিনীত— সভাপতি—শ্ৰীচিত্তরঞ্জন দাশ । সম্পাদক—শ্ৰীহভাষচন্দ্র বসু । ভারতের রেশম-শিল্প— ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীব আমলে রেশম ভারতের উৎপন্ন দ্রবোর মধ্যে একটি প্রধান পণ্য ছিল, এখন উহ। অপেক্ষাকৃত হীন দশায় নীত হইয়াছে। এখন দক্ষিণ মহাশূরে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গে, কাশ্মীর ও জম্মুতে এবং উত্তর পশ্চিম পঞ্জাবে ইহা উৎপন্ন হইয় থাকে। অধিকাংশ রেশমই কুটীয়-শিল্পে ব্যবই, ৩ হঠয় থাকে। ১৯২২।২৩ খৃষ্টাব্দে শুtর ন্ত হইতে বিদেশে ১২ লক্ষ পাউণ্ড ওজনের কাচা রেশমের স্থত। বিদেশে রপ্তান হইয়াছিল । ইহার পূর্ববৰ্ত্তী তিন বৎসরের হিসাব কপ্রিয় গড়ে প্রতি বৎসর যত রেশমী স্থত বিদেশে নীত হইয়াছিল, আলোচ্য বযে তাহ অপেক্ষ। উহার রপ্তানি কিছু বাড়িয়াছিল । ইহার মূল ইয় ৩৮ লক্ষ ১৭ হাজাঃ টাকা । আর রেশমের প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩১ eবস্ত্রাদি রপ্তানি হয় ২ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার। পক্ষান্তরে বিদেশ [ ২৪শ ভাগ, ১য খণ্ড হইতে ভারতে ৩ কোটি ১৫ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকার রেশমী কাপড় আমূদ্রানি হইয়াছে—ইহার প্রায় অৰ্দ্ধেক আসিয়াছে জাপান হইতে । ভারত এখন বিদেশ হইতে রেশম গ্রহণ করিতেছে,—কিন্তু উহা বিশেষভাবে উৎপন্ন কঞ্জিতেছে না । —২৪-পরগণা-বাৰ্ত্তাবহ । স্বেচ্ছায় গদী-ত্যাগ— শ্ৰীযুক্ত পাঠকের মামলা যদি না উঠত, তা হ’লে দেশের লোক এক শুভ প্রভাতে খবর পেত যে, মেবারের রাণী সন্ন্যাস-গ্রহণ-মানসে পুত্রের হাতে রাজ্যশাসন-ভার অর্পণ করেছেন। এই ত্যাগীর দেশে সবাই সে কথা বিশ্বাস করত, অনিত্য বিষয়-ভোগ-পৃহা ত্যাগ করেছেন বলে আধ্যাত্মিক এই জাতি মেবারের রাণীর জয়-গান করত। দেশের কেউ জানৃত না স্বেচ্ছায় এই গদী-ত্যাগ করবার সত্যিকার কারণ কি ! পাঠকের মামলায় আসল ব্যাপারটি বেরিয়ে পড়েছে। মেবারের রাণী গদী-ত্যাগ করতে অসম্মত, কিন্তু তাকে তা করতেই হবে, কেননা ভারতবাসীর দেশীয় রাজাদের ভাগ্য-বিধাতার তাই ইচ্ছা । অবষ্ঠ জিজ্ঞাসা করতে পারেন, মেবারের এই রীণ কি অপরাধ করেছেন ? তার প্রথম অপরাধ এই যে, তিনি রাজ্য-শাসনের সকল বিভাগগুলিই নিজের আয়ত্তে নেবার চেষ্টা করেছেন। মনে রাখবেন, দেশীয় রাজাদের পক্ষে এ একটা গুরুতর অপরাধ। সব কাজ বদি র্তারাই করবেন, তা হ’লে পলিটিক্যাল এজেন্টর আছেন কেন ? মেবারের রাণী এজেণ্টের হাতে রাজ্য-শাসনের সকল ভার স্তস্ত করে’ বসে থাকেন। নি, এ কি অপরাধ নয় ? মেবারের রাণার দ্বিতীয় অপরাধ এই যে, তিনি রাজ্যশাসন-পদ্ধতির সংস্কার করেননি যদিও বার বীর সে সংস্কারের দাবী উপস্থিত করা হয়েছিল। কিন্তু সে দাবী কে করেছিল। ব্রিটিশ ব্যুরোক্রেণী, নী প্রথার দল ? ব্রিটিশ ব্যুরোক্ৰেশী যদি সে দাবী উপস্থিত করে থাকেন, তা হ'লে তা অগ্রাহ করে মেবারের রাণ নিশ্চিতই কোন অপরাধ করেন-নি, আর প্রজার দাবি যদি তিনি অগ্রাহ করে থাকেন, তা হ’লে অবস্য তিনি অপরাধী। কিন্তু সে অপরাধের জন্ম ব্রিটিশ ব্যুরোক্রেণীর আদেশে তাকে গর্দী ত্যাগ করতে হবে কেন ? তা যদি করতে হয়, তা হ’লে সে আদেশ দেবার আগে বুরোক্রেণীর নিজেরই ত বহুদিন আগে শাসন-ভার ত্যাগ করা উচিত ছিল। ব্যুরোক্রেণীর প্রজাও ত বহুদিন থেকেই সংস্কারের দাবী করেছে। সে দাবীও ত ব্যুরোক্রেণী কখনও পূর্ণ করেননি। তাদের নিজেরই রায় অনুসারে তাদের ত রাজ্যশাসন-ভার ছেড়ে দিতে হয় । আর মেবারের রণকে যদি গীচুত করতেই হবে, ত দেশের লোকের কাছে প্রকাশ করাই কি ভালো না ? মেবারের রাণীকে বলা হয়েছে যে, তিনি যদি কোনরূপ গোল না করে রাজ্যশাসন-ভার পুত্রের উপর অর্পণ করে আজ সরে দাঁড়ানত হ’লে লোকের ননে কোনরূপ সন্দেহ জাগ বে না : সবাই মনে করবে বাৰ্দ্ধকাবশতঃ তিনি স্বেচ্ছায় পুত্রকে রাজ্যে অভিধিক্ত করে বানপ্রস্থ অবলম্বন করছেন। এ ছলনার প্রয়োজন কি ছিল ? যদি সঙ্গত কারণেই তোমরা র্তকে গদী-চুত কর, তা হ’লে জী৭বার ভয় কর কেন ? ভিতরে যে গলদ আছে, তা ত এমন করে’ ব্যাপারটাকে চাপ দেবার প্রয়াসেই প্রকাশিত হয়। 蠍 —বৈকালী