পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«Η ο Κο প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩১ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড মেডিক্যাল কলেজে না পড়িয়াও অনেকে কোন কোন রোগের চিকিৎসায় ও অস্ত্র প্রয়োগে কৃতিত্ব প্রদর্শন করিয়াছেন ; এবং বাণিজ্য-কলেজে না পড়িয়াও অনেকে বড় সওদাগর হইয়াছেন। তাহাতে যেমন মেডিক্যাল কলেজে ও বাণিজ্য-কলেজে শিক্ষার অনাবশ্যকতা প্রমাণ হয় না, তেমনি পূৰ্ব্বোক্ত শিক্ষক ও সম্পাদকদিগের কৃতিত্বে উrহাদের বৃত্তিশিক্ষার অনাবশ্বকত। প্রমাণ হয় না। শিক্ষাদান যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ, পরীক্ষা -করিয়া সাটিফিকেট দেওয়া প্রধান কাজ নহে, ভারতবর্ষে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ই এই সত্যটি প্রথমে উপলব্ধি করিয়া তদনুসারে কাজ করিতে প্রথমে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। অতএব আরো কোন কোন বিষয়ে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বধৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিতে হইবে । ইহাতে রাষ্ট্রনীতিবিজ্ঞানের শিক্ষা দিবার বর্তমানে যে ব্যবস্থা আছে, তাহার উৎকর্ষ-সাধন ও সম্প্রসারণ আবশ্যক। আমেরিকার কোলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুষ্টান্ত-অনুসারে বিশ্বরাষ্ট্রনীতি-বিষয়ে একটি অধ্যাপকের পদ আমাদেব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থষ্ট হওয়া উচিত। তাহার জন্ত লোকের অভাব হইবে না । দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যাইতে পারে, যে, অধ্যাপক বিনয়কুমার সরকার বিদ্যবিত্তা, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য নানা দেশের অভিজ্ঞতা, এবং ভূয়োদর্শনে এই পদের উপযুক্ত । ইহার সঙ্গে সঙ্গে সাংল:দিকের বিদ্যা ও কাৰ্য্য শিক্ষা দিবার জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থা করা উচিত। বেকার সমস্তার সমাধানের নিমিত্ত বৃত্তিশিক্ষণ-বিষয়ে কলিকাত৷ বিশ্ববিদ্যালয় কনফারেন্স, ডাকিয়াছিলেন। তাহাতে অনেক প্রস্তাব ধর্যো গুইয়াছিল, এবং তদনুসারে শিক্ষা পদ্ধতি এবং শিক্ষণীয় বিষয়ের তালিকার খসড়া ও প্রস্তুত হইয়াছিল । শুনিতে পাই, গবর্ণমেণ্টের অনুমোদন না পাওয়ায় এখনও কোন কাজ হয় নাই। ঠিক খবর জানি માં কারণ বিশ্ববিদ্যালয় রুপণের ধনের মত ংবাদগুলি সঞ্চয় করিয়া রাখেন। নিজের দরকার হইলে গোপনীয় সংবাদও কোন কোন সম্পাদককে দেন, নতুবা সাধারণত: ফেলে ব্যতীত কাহাকেও কিছু না জানানটাই রীতি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় -اسپم - محس- تم সৰ্ব্বসাধারণের সহানুভূতি ও সাহায্য চান! এই অবাস্তুর কথা রাথিয়া দিয়া, আমরা যাহা বলিতেছিলাম, এখন তাহাই বলি । আমাদের দেশে খবরের কাগজের এবং মাসিক পত্রের ংখ্যা বাড়িয়া চলিয়াছে। উহার পরিচালন ও উহাতে প্রবন্ধাদি লিখন বহুদেশে যেরূপ একটি বুত্তি, আমাদের দেশেও সেইরূপ বৃত্তি হইয়া উঠিতেছে। কিন্তু ইহা শিখিবার ও শিখাইবার বন্দোবস্ত নাই । অনেক বংসর হইতে আমাদের নিকট অনেক যুবক মধ্যে মধ্যে আসিয়া জিজ্ঞাসা করেন, সংবাদপত্র পরিচালন করিতে হইলে কি শিক্ষা করা উচিত ; অনেকে আমাদের কার্য্যালয়ে শিক্ষানবীস ও থাকিতে চান। অনেক দৈনিক ও সাপ্তাহিক কাগজের সম্পাদকের নিকট নিশ্চয়ই আরও অনেক বেশী লোক যান। ইহা হইতে বুঝা যাইতেছে, যে, এই বৃত্তিটি শিখিবার লোক ও তাঁহাদের আগ্রহ আছে । এইজন্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইহা শিখাইবার বন্দোবস্ত করা উচিত। ইত পাটীগণিত বা ভূগোলের মত কোন একটি বিদ্যা নহে । অনেকগুলি বিষয় শিখিলে তবে ভাল করিয়া সংবাদপত্র চালাইতে পারা যায়। তাহার তালিক। এখানে দেওয়া অনাবশ্যক । কেবল খে বিষয়টির উল্লেখ সেই বিশ্ব রাষ্ট্রনীতি বা অন্তর্জাতিক রাষ্ট্রনীতি ভাল করিয়া জানা যে ভাবতীয় সম্পাদকদের খুব দরকার, তাঙ্গাই পুনৰ্ব্বার বলিতে চাই । আমরা সকলে মূপে বলি বা মাই বলি, সবাই স্বাধীনত চাই । কিন্তু ভারতীয় স্বাধীনতার সহিত বিশ্ব বfষ্ট্রনীতির কি সম্পর্ক, ভারতবর্ষের স্বাধীন হইতে গুইলে অন্য অনেক দেশে কিরূপ রাজনৈতিক পরিবর্তন আবশ্যক, তাহা আমরা সব সময় ভাবি না, অনেক সময় জানিতে বা বুঝিতেও পারি না। কিন্তু আসল কথা এই যে, অন্ত কতকগুলি দেশ স্বাধীন না হইলে ভারতবর্ষ স্বাধীন হইতে পারে না, এবং ভারতবর্ষ স্বাধীন না হইলে অন্য কতকগুলি দেশ স্বাধীন হইতে পারে না। এখানে এ বিষয়ে স্থল স্থল দু-একটা কথা বলিতে পারা যায়। আগে করিয়াছি,