পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] সন্ধান করিতেছিল। কলিকাতায় বহু চেষ্টায় পঞ্চাশ টাকার মাষ্টারি ছাড়া যখন আর কিছু কোনোপ্রকারেই ੋ উঠিল না, তখন হঠাৎ একদিন সে মাদ্রাঙ্গে বেশী মাহিনার এক কাজ জোগাড় করিয়া কলিকাতা ছাড়িয়া চলিয়া গেল ! সে যাইবার কিছু পূৰ্ব্ব হইতেই হিমানী নিজের কাছে নিজে ধরা পড়িতে অrরস্ত করিয়াছিল । কৰ্ম্মহীন অবসর পাইলেই যে বিনয়ের চিন্তু আসিয়া তাহার মন জুড়িয়া বসে, हेश' সে আগেই লক্ষ্য করিয়াছিল । কিন্তু এখন দেখিতে লাগিল অবসর-নিরবসর সবেরই তলায় এই একটি কথা অন্তঃসলিলা ফন্তু-নদীর মত বহিয়। যাইতে আরম্ভ করিয়াছে—এ পৃথিবীটাতে বিনয় আছে। কিন্তু আছে ত তাঙ্গার কি ? তাহার যাচাই হউক, এই কথাটিই সমস্ত জগতের উপর আজকাল মায়-অঞ্জন যাথাইয়া দিয়াছিল। নিজের জীবনের দৈন্য ও কুশীতার দিক্ হইতে হঠাৎ তাহার মন কখন যেন অলক্ষ্যে ফিরিয়া গেল । এই পুথিবীর গুপ্ত সৌন্দর্য্যের ভাণ্ডারের চাবী যেন কখন কে তাহার হাতে দিয়া গেল । কোথাও যাইবার নামেই আজকাল হিমানীর সর্বাগ্রে মনে হইত, বিনয় কি সেখানে আসিবে ? যদি আসার সম্ভাবনা থাকিত, তাহা হইলে সেখানে যাইবার উৎসাহ যেন এই মেয়েটির দশগুণ বাড়িয়া যাইত। তাহারু সামান্ত পোষাক-পরিচ্ছদের মধ্যে কোনটিতে তাহাকে সৰ্ব্বাপেক্ষ ভাল দেখাইবে, ইহা সে অনেক বিবেচনা করিয়া ঠিক করিত। উৎসবক্ষেত্রে গিয়া তাহার দৃষ্টি উংস্থক হইয়া বিনয়েরই অন্বেষণ করিত । তাহার দেখা না পাইলে সমস্ত ব্যাপারটা তাহার কাছে আগাগোড়া তিক্ততা ও রিক্ততায় ভরিয়া উঠিত। দেখা পাইলে, তাহার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়িয়া যেন আনন্দেব বান ডাকিয়া যাইত। অথচ এ দেখা-পাওয়ার ভিতর কিই বা” ছিল ? একটু মুখের হাসি, नृिङख দুচালিট সাধারণ কথা, ইহার বেশী किङ्क३ नञ्च । दिऽ**डावख्:३ अब्बङादौ श्लि, श्यिांनौबe .তাহাকে দেখিলে কথার স্রোত হঠাৎ যেন বন্ধ হইয়া যাইত। তাহার অন্তর যতই আনন্দমুখর হইয়া উঠিত, কণ্ঠ ততই নে নীরব হইয়া আসিত। মণিহার ዓ8© নিজের অবস্থা দেখিয়া সে মাঝে-মাঝে নিজেকে তীব্র তিরস্কার করিতে বসিত । এ কি অচ্ছে~্য জালে সে নিজেকে দিন-দিন এমন করিয়া জড়াইতেছে ? ইহা হইতে মুক্তি পাইলার আশা বা আকাঙ্ক্ষা কিছুই তাহার নাই, বরং সেরূপ কোনো সম্ভাবনা মাত্রই তাঙ্কার বুকে আতঙ্কের শিহরণ জাগাইয়া তোলে। কিন্তু ইহার পরিণাম কি হইবে ? বিনয়ের মনের কথা সে কিছুমাত্র জানে না । তাহার হৃদয় বলে—বিনয়ব অন্তরে একই স্বর বাজিতেছে, তাছা না হইলে হিমানীকে দেখিলেই তাহার মানমুখ উজ্জল হইয় উঠে কেন ? অন্য সকলের সঙ্গ ত্যাগ করিয়া সে যতটকু সম্ভব সময় হিমানীর সঙ্গেই কাটাইতে চায় কেন ? দূরে থাকিলেও তাহার मृ8ि হিমানীকেই আলিঙ্গন করিয়া থাকে কেন ? হইতে পারে সবই হিমানীর কল্পনা । আর যদি কল্পনা নাও হয়, এই দারিদ্র্যপীড়িত জীবনের সঙ্গে তাহার জীবন মিলাইবার সাহস কি হিমানীর আছে ? দারিদ্র্যের কলঙ্ক যে তাহার তরুণ জীবনের আগাগোড়াই মসীলিপ্ত করিয়া রাখিয়াছে । সে কি সাধ করিয়া এই বিভীষিকাকে তাহার চিরজীবনের সঙ্গীরূপে বরণ করিয়া লইবে ? সে শক্তি কি তাহার আছে? দারিদ্রাকে ষে সে এতকাল অত্যন্ত বড় পাপেরই মত করিয়া দেখিথাছে । ক্ষণিকের মোহে কি সে চিরকালের জন্য এই পাপেরই পঙ্কে ডুবিয়া যাইবে ? কিন্তু যুক্তি তর্কের উপরে হঠাৎ সে দেখিতে পাইত, বিনয়ের বিষন্ন দৃষ্টি তাহাকে দেখিয় হাসিয়া উঠিতেছে! তাহার পর যুক্তি-তর্কের কোথায় যে সমাধি হইত, উহাদের আর সন্ধানই পাওয় যাইত না । বিনয়ের কথার উত্তরে সে হাসিমুখে বলিল, “এই ত এসেছি খানিক আগে । মাদ্রাজ থেকে আসবার পরে আপনার ত আর দেখাই পাওয়া যায় না। কতদিন আছেন ?” বিনয় বলিল, “আপনাদের বাড়ী যাব প্রায়ই ভাবি, তবে আপনার বাবুর সঙ্গে আলাপ নেই, তাই যেতে কেমন একটু সঙ্কোচ লাগে। আমি এবার মাছি অনেক দিন, কোম্পানীর কাজেই এসেছি । /ఢ বাড়ীর