পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q38 একরকম হাস এইরূপে শব্দ করে যে তাহ প্রায় অনেক দূর হইতে মেঘ ডাক্টার মত বোধ হয়। কেহ বা ঝুমঝুমির মত, কেহ বা অন্যরকম শব্দ ভানার পালক দ্বারা করিয়া থাকে । কোনো পার্থী আবার গীত ও বাদ্য দুই করে, হুপি" পার্থী, যাহা বাঙ্গালা দেশেও দেখা যায়, তাহারা গাছে ঠোট ঠুকিয়া ও সঙ্গে সঙ্গে কণ্ঠে একরকম শব্দ করিয়া গীতবান্তের সাধ মিটায় । বসন্তগৌরী ও কাঠঠোক্রাও শুষ্ক ভালে ঠোঁটের দ্বারা বেশ তাল দেয় । শ্ৰী ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ বসু নিদ্রা শরীর স্থস্থ রাখতে হ’লে, এমন কতকগুলি নিয়ম আছে যা পালন না করলে একেবারেই চলে না । নিদ্রা সেইসব দরকারী জিনিসের মধ্যে একটি। আহারটাকেই আমরা সবচেয়ে দরকারী বলে জানি। কিন্তু নিদ্রা যে তার চেয়েও বেশী প্রয়োজনীয় সেটা অনেকেরই মনে আসে না। হিসাবে প্রকাশ, বায়ুর অভাবে পাচ মিনিটে, জলের অভাবে সাত দিনে ও নিদ্রার অভাবে দশ দিনে মানুষ মরে যায় । খাদ্যাভাবে কতদিন মাস্থ্য বঁাচে তার সঠিক খবর এখনও পাওয়া যায়নি। অতএব দেখা যাচ্ছে, নিদ্রা শরীরের পক্ষে কম প্রয়োজনীয় বস্তু নয় ! @ সাধারণতঃ আমব কতক্ষণ মিত্র। যাই ? ৬ হইতে ৮ ঘণ্টা কাল । তা হ’লে ভেবে দেখে সারাজীবনে এক নিদ্রাতেই আমরা এক তৃতীয়াংশ সময় অতিবাহিত করি । অর্থাৎ যে ব্যক্তির বয়স ১০০ বৎসর তাহার জীবনের প্রায় ৩৩টি মূল্যবান বৎসর একমাত্র নিদ্রাতেই কেটে গেছে। এবিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ চাইলে তার বলুবেন যে কতক্ষণ যুমোতে হবে তার কোনো বাধা-ধরা নিয়ম নেই। যতক্ষণ না শরীর বেশ ঝরঝরে হয় ততক্ষণ ঘুমোনো দরকার। আর-একটি কথা, খাওয়ার উপরেই নিদ্রার পরিমাণ বেশী নির্ভর করে। যে খায় বেশী হজম করবার জন্য তার পক্ষে ঘুম একটু বেশীক্ষণ দরকার হবে। শুনা যায় এডিসন সাহেব রোজ চার-পাঁচ ঘণ্টার বেশী ঘুমোতেন না । তিনি দিনে একবার মাত্র আহার করতেন। প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড' ', তার পর দেখতে হবে নিজাকালে কিরূপভাবে শয়ন করা উচিত। ইহার উত্তর এই যে পাশ ফিরে’ শয়ন করাই প্রশস্ত। পৃথিবীতে এমন কোন জীব নেই যে চিৎ হয়ে শোয়। • একমাত্র মানুষকেই চিৎ হ’য়ে শুতে দেখা যায়। এ-বিষয়ে মানুষের উচিত পশুদের অনুকরণ করা । কারণ চিৎ হ’য়ে শুলে নিদ্রার নানারকম ব্যাঘাত হ’য়ে থাকে। অনেককে এজন্তে ঘুমোতে না ঘুমোতেই উঠে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কিন্তু পাশ ফিরে’ শুলে কোনরূপেই নিদ্রার অস্বচ্ছন্দতা উপলব্ধি হয় না । শরীরের বামদিকে হৃৎপিণ্ড ও পাকস্থলী থাকে। সেজন্য চিকিৎসকগণ ডান পাশ ফিরে শোবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ ডানপাশ ফিরে শুলে হৃৎপিণ্ডে বা পাকস্থলীতে চাপ পড়বার কি অন্য কোনপ্রকার অনিষ্ট হবার ভয় থাকে না । গুড়িম্বড়ি হ’য়ে শোয়াও এক মস্ত বদ-অভ্যাস । যতদুর পারা যায় সমান হয়ে শোয়া সকলেরই কৰ্ত্তব্য। দিবানিদ্রা অবশ্য পরিহার্ষ্য । ইহা প্রায়ই অলিস্তের জন্মদাতা। অধিকন্তু ইহার ন্যায় স্বাস্থ্যহানিকর কুঅভ্যাস আর দুটি নেই। নিদ্র ধাবার সময়ে সৰ্ব্বদাই মনকে প্রফুল্ল রাখবে। এ সময়ে কাহারও দুশ্চিন্তায় মনকে জর্জরিত করা উচিত নয়। এর কারণ বলুছি। নিদ্রা যাবার পূৰ্ব্বে যা ভাবা যায়, নিদ্রার সময়ে প্রায়ই তা স্বপ্নাকারে মানসচক্ষে উদিত হয়। কিন্তু সে-সময়ে যদি স্বপ্ন এসে মনকে ভারাক্রান্ত করে তোলে, তা হ’লে নিদ্রার সময়ে মনের বিশ্রাম লাভ হয় না । আর সেইজন্যই নানাবিধ মানসিক ব্যাধির উৎপত্তি হ’য়ে থাকে । সকালে যখন ঘুম ভাঙবে তখনই বিছানা ছেড়ে ওঠা উচিত। তা না করে? অনেকে যে অলসভাবে অনেকক্ষণ ধরে বিছানায় গড়াগড়ি দেয়, সেটা ভাল নয় । শয়ন-গৃহে যাতে ভাল করে’ বাতাস চলাচল করতে পারে তার বন্দোবস্ত করতে হবে। কারণ নিদ্রাকলে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বায়ুর প্রাচুর্ধ্য অত্যাবস্তক। নিদ্রা শরীরের একটি প্রধান ঔষধ। জাগরিত অবস্থায় যেসকল স্বায়ু কাৰ্য্য করে প্রান্ত হয়ে পড়ে, নিজা তাদের সতেজ করে তোলে। 'ত ছাড়া নিজ থেকে উঠে'