পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ? আমাদের প্রাণে একটা নবজীবনের সাড়া পড়ে যায়, বিপুল উৎসাহে ও নবীন আনন্দে আমাদের সজীব হৃদয় তন্ত্রী ঝুস্কৃত হ’য়ে ওঠে। ঐ শৈলেশ্রনাথ ভট্টাচাৰ্যা মঙ্গল গ্রন্থে সে অনেক দিন পরের কথা। বাঙালীর তখন আর জগত্ত্বে ভেতো বলে' নাম নেই। এপন তার ভেতে নাম ঘুচে গেছে। জগতের মাঝে সে একটা আসন পেয়েছে ; জগতের যে-কোন বড় কাজেই সে এখন অংশ গ্ৰহণ করে, পেছিয়ে পড়ে থাকে না। কোনো নতুন দেশ আবিষ্কার করতে হ’লে, কোনো দুল্ল উঘা পৰ্ব্বতে আরোহণ কবৃতে হ’লে বাঙালী পিছিয়ে থাকে না, সকলে আগে মাথ৷ পেতে দেয় সেইসব কাজে । এখন পুরানো ইতিহাস ঘাট্‌লে দেখা যায়, কত অসম্ভবকে সম্ভব করতে গিয়ে কত বাঙালী প্রাণ দিয়েছেন,—প্রাণ দিয়ে অমর হয়েছেন । এখন থেকে অনেক বছর আগে, এক আমেরিকান সাহেব, যে একরকমের প্রকাগু হাউই তৈরী করে চন্দ্রের দিকে ছুড়েছিলেন, আর যেটা ঠিক চন্দ্রে গিয়ে পৌছেছিল সেরকম হাউইএর এখন অনেক উন্নতি হয়েছে । আর সে উন্নতি করেছেন একজন বাঙালী বৈজ্ঞানিক । সেটা এখন এত তেজে ছোটে যে মঙ্গল গ্রহ অবধি যায় । তাই স্বদেশের বড় বড় বৈজ্ঞানিকের মিলে সেই বাঙ্গালী বৈজ্ঞানিককে ধরেছে যে, একজন কেউ সেই হাউইএ চেপে মঙ্গল গ্রহ অবধি যাক। সেখানে কে আছে, কি আছে দেখে সুস্থিক । কিন্তু যে-গে কেউ গেলে ত চলবে না। এমন একজনার ধাওয়া চাই, যে কিনা এমন তেজীয়ান হাউই তৈরীর নিয়মকানুন মালমশলা জানে, যাতে মঙ্গল-গ্রহ থেকে এমুনি করেই ফিরে আসতে পারে। কিন্তু বাঙালী ছাড়া আর কেউ ত এর নির্মাণ-প্রণালী জানে না, তাই একজন বাঙালীরই যাওয়া দরকার। তাই তিনি নিজেই যেতে চাইলেন। কিন্তু আমরা তার সহকারীর কেউই তাকে যেত্বে দিতে চাইলাম না। কারণ এ কাজটা বিপদ-সঙ্কল; এমন বিপদ ঘটতে পারে যাতে করে প্রাণটাও যেতে পারে। তা ছাড়া সেপানে স্থত হাউই-তৈরীর মালু 3. ছেলেদের পাত্তাড়ি—মঙ্গলগ্রহে \96t মশলার অভাবও ঘটতে পারে যাতে জু পৃথিবীতে ঘুরে আসা ও অসম্ভব হ’তে পারে। এ অবস্থায় তাকে° যেতে দেওয়া যায় না। কারণ তিনি থাকৃলে জগতের অনেক উপকার করতে পারবেন। তাই সহকারীদের মধ্য থেকেই আমর একজন যাব ঠিক হ’ল । সহকারীদের মধ্যে আমিই ছিলাম সব চাইতে ছোট। আর তা ছাড়া সংসারেও আমার আমার-বলতে কেউ ছিল না। আর-সকলকারক্ট বিয়ে হয়েছে ; মারা গেলে পরিবারের অনুপায় হবে। তাই আমারই যাওয়া ঠিক হ’ল । ঠিক হ’ল এভারেই থেকে হাউই ছোড়া হবে। এভারেই তখন আর দুরারোহ ছিল না। রেড়িয়ে-ফোনে জগতের সব বৈজ্ঞানিককেই এ-সংবাদ জানানো হ’ল। এক ঘণ্টার মধ্যেই অনেকেই উত্তর দিলেন আমার যাবার সময় উঠার উপস্থিত হবেন । যাবার দিন ঠিক সময়েই এভারেই চূড়ায় উপস্থিত হলাম। দেশের অনেক বড় বড় লোক ও আমার গুরদেবসবাই সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন। গুরুদেব নিজেই হাউই তৈরী থেকে আরম্ভ করে ছোড়বার বন্দোবস্ত পৰ্য্যন্ত সব ঠিক করে রেখেছিলেন । হাউইট ছোড়বার উপযোগী করে সাজানো রয়েছে। আগুন দিলেই উল্কাবেগে ছুটুতে আরম্ভ করবে। ক্রমে যাবার সময় হ’য়ে এল। দেখতে দেখতে শো শে। শব্দে এরোপ্লেনে করে বৈজ্ঞানিকেরা চারদিক্‌ থেকে সেখানে উপস্থিত হলেন । যখন কেউই বাকী রইলেন না তখন আমি তাদের কাছ থেকে বিদায় চাইলাম। তার সবাই আমার প্রশংসা করলেন আর আশ দিলেন কার্য্যেদ্ধার করে ফিরে আসতে সক্ষম হব। আমি আর কালবিলম্ব না করে’ হাউইএর মধ্যে ইস্পাতের তৈরী।" ঘরে হাসিমুথে প্রবেশ করলাম। লোহার ঘরের বাইরে এমন সব বৈজ্ঞানিক ওষুধপত্র আছে যে হাজার গরম হলেও বাইরেই সেট থেকে যাবে, ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে’ই দেখি আমার বসবাব চেয়ার আর একটা এ্যালুমিনিয়ামের টেবিল রয়েছে। " টেবিলের উপর খান-ফোন পাজানে। পানাফোনে সবরকম ঋবারেরই গেল, আছে। মা