পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\o খেতে ইচ্ছে যাবে, ইনডেক্স, ঘুরিয়ে দিলেই এক ফোট এসেন্স পড়বে জার তাইতেই তোমার আকাঙ্গ মিটে যাবে। চেয়ারে বসেই উপরের দিকে চেয়ে দেখলাম ছাদের সাথে দুখান লেন্স, জাট। লেন্স, দিয়ে একবার আকাশের অবস্থাটা দেখে নিলাম । হাউইএর উপরদিক্‌টী-যে-দিক্‌টাতে আমার ঘর সেটাই—ছিল সরু আর ওজনে কম । নীচের দিকটা ছিল ভারী। আমি চারদিক এটে-সেঁটে বসে’ সঙ্কেত করতেই শুনলাম বাইরে ব্যাও বেজে উঠল। আর সাথে সাথে ঘরখানা কেঁপে উঠল ; বুঝলাম আমি মঙ্গল-গ্রহের দিকে অগ্রসর হলাম। শে। শে। শব্দে ভীষণ-বেগে উদ্ধার মতন ছুটে চললাম । চলেইছি ; চলেইছি; ক্রমে বেগটা বেড়ে উঠল। বুঝলাম বাতাসের আওতা ছেড়ে গেছি ; এবারে ইথারের মধ্য দিয়ে চলেছি। খেয়ে নিলাম। তার পর মাথার উপরকার লেন্স, দিয়ে চেয়ে দেখলাম চন্দ্রটা অনেক বড় দেখাচ্ছে। সেই শক্তিশালী লেন্সের সাহায্যে বুঝলাম, চজে জীব-জন্তু জন প্রাণী কিছুই নেই ; আছে কেবল পাহাড় আর পাথর। চন্দ্রের চারিদিক্‌টাই কুয়াসার মত একটা কি পদার্থে ঢাকা । জল নেই এক ফোটাও । যতক্ষণ চন্দ্রের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম ততক্ষণ হাউইয়ের বেগটা যেন একটু কমে গিয়েছিল—কারণ, চন্দ্রের আকর্ষণ। ক্রমে চন্দ্র ছাড়িয়ে যেতেই আবার ভীম-বেগে ছুটতে লাগলাম। ছুটে চলেছি ; দেখতে পেলাম মঙ্গল-গ্রহের উপর সব যেন কিসের দাগ কাটা । আর সেসব দাগগুলো উত্তরমের আর দক্ষিণ-মেরু থেকে বিষুব-রেখা পৰ্য্যন্ত। এসব দেখতে দেখতে এগিয়ে চলেছি। ক্রমে মঙ্গলের পাশে দুটাে চাদ দেখতে পেলাম। আমাদের যেমন একটা চাদ, মঙ্গলের তেমনি দুটাে চাদ । আরও খানিকট এগুতেই হঠাৎ একবার ডিগবাজী খেলাম, আর এই সময়টাতেই, হাউইয়ের আগুন নিভে গেল। বুঝলাম এবারে মঙ্গলের আকর্ষণের মধ্যে গিয়ে পড়েছি। হাউইট এমনি চুলচেরা হিসাষে তৈরী ছিল যে পৃথিবীর আকর্ষণের বাইরে গেলেই আগুন নিভে যাবে। ডিগবাজী খেয়েই কিন্তু পৃথিবীরদিকে নজর পড়ল। প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড দেখলাম পৃথিবীটাকেও এখন থেকে তেমুনিছোট দেখাচ্ছে যেমন কিনা পৃথিবী থেকে সন্ধ্যা-তারা দেখা যায়। এই ডিশ্ববাজী খাবার কারণ ঐযে কোন জিনিষের ভারী অংশটাতেই অাকর্ষণ বেশী হয়। এবার আবার পড়তে আরম্ভ করলাম। এটা ঠিক জানি যে মঙ্গল-গ্রহের উপরই পড়ব ; তবে জলের উপর পড়তেও পারি, ডাঙায় পড়তেও পারি। যেখানেই পড়ি না কেন কোন আশঙ্কা নেই, কারণ জলে পড়লে নৌকোর মতই ভাস্ব এমনিভাবেই ঘরখানা তৈরী। আর ডাঙায় পড়লেও ভয় নেই—ঘরের নীচেই এমন-সব শ্ৰীং-ক্টাটা যে হাজার বেগে পড়লেও চুরমার হবাৰ ভয় নেই। - পড়ছি, পড়তে পড়তে দেখি একজায়গায় আমার মাথার উপর দিয়ে গান-কয়েক এরোপ্লেনের মতন কি উড়ে গেল । তাতে যেন মানুষের মতও দেখলাম। আমি একটু অবাক হলাম। তার পর আর খানিকক্ষণ পড়বার পর হঠাৎ একটা ভয়ানক ধাক্কা থেলাম। আর সেই ধাক্কার চোটেই ঘরের মেঝে থেকে খানিকটা শূন্যে উঠলাম। কোন জিনিষ বেগে যেতে যেতে বাধা পেলে ঠিক ততটা বেগ সাম্লাতে হয়। দোলন থামৃতেই আমি দরজা খুলে’ বেরিয়ে পড়লাম। দেখি আমার চারিপাশে আমাদের মামুষের মতনই কতকগুলো জীব অবাক হ’য়ে চেয়ে রয়েছে। লম্বা-চোঁড়ায় তার আমাদের চাইতে অনেক বড়। তারাই প্রথমে কথা বললে। কিছুই বুঝতে পার্লাম ন। আমি হাত নেড় ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিতে বললাম। তারা আমাকে টেনে নিয়ে একটা টেলিস্কোণের কাছে গেল। তাতে চেয়ে দেখতে ইসারা করে” বোঝালে আমি পৃথিবী থেকে আসছি। আমি টেলিস্কোপের ভিতর দিয়ে চেয়ে দেখি পৃথিবীতে কি হয় না হয় সবই এর সাহায্যে দেখা যায়—এমুনি শক্তিশালী এটা। বুঝতে পারলাম এর বিজ্ঞানে আমাদের চাইতে অনেক উচ্চে। ভারা আমায় বুঝিয়ে দিলে আমি যে রওনা হয়েছি তা দেখতে পেয়ে তারা আমার আশা করছিল। তার পর খানিক আগে আমি পড়ছি দেখে এরোপ্লেন পাঠিয়েছিল দেখতে ব্যাপার কি ? দেখলাম ,সেখানটাতে মস্ত বড় তারহীন