পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্ত্তিব্য রুশিয়ার রাজ-অলঙ্কণর

অতি সূক্ষ্ম উন্নত ধরণের কারুকার্য্য-ক্ষে:দিত স্বর্ণপাত্র ঘে গঠিত হই.ত পারে তাহা আমীর কল্পনারও অতীত। পত্রিটির ওজন সৰ্ব্বসমেত ১০৮ আউন্স ; ১৭৯১ সালে ইহা গঠিত হয়। পত্রিটির চতুর্দিক এক হাজার তিন শত পঞ্চাশটি বৃহদাকার এবং অসংখ্য ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র হীরকখণ্ড দ্বারা শোভিত । জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে পরিলাম, বহু পূৰ্ব্বে ইহা পূজাচ্চনার পাত্ৰহিসাবে ব্যবহৃত হইত। সমসাময়িক পোপ কর্তৃক একটি অঙ্গুরীও ইহাতে সন্নিবিষ্ট ছিল । হীরকখ গুগুল কিঞ্চিৎ নীল অভিাবিশিষ্ট ও শ্বেত বর্ণর। স্বর্ণময় পত্রিটি পীটারসবার্গের গীর্জ হইতে আনীত হইয়াছিল। পরবর্তী যুগে রাজকীয় *: :4-হিম:ব ইহা ব্যবহৃত হইত। বর্তমানে লগুনের স্থ প্ৰসিদ্ধ মণিকার মি: ওয়াটসকি ইহার স্বত্বাধিকারি । ইহার পর আমি যেস্থানে গমন করিলাম সেখানে এক সট চায়ের সরঞ্জাম ছিল । স্থানটি অন্ধকারাচ্ছন্ন কিন্তু এই মণিখচিত পানপত্রের ঔজ্জ্বলে চতুর্দিক আলোকিত হইয়াছিল । ইহা ‘জার’ দ্বিতীয় নিকোলা সর জগদ্বিখ্যাত স্বর্ণময় চা-পানের পত্র । সৰ্ব্বসমেত ছয়টি পাত্র ছিল । সবগুলিই স্বর্ণময়, কিন্তু ইহাদের হাতলগুলি হুদুগু হস্তিদন্তে নিৰ্ম্মিত । ইহীদের মোট ওজন ২০ পাউণ্ড এবং ক্ষেীদনকার্য অতুলনীয়। কোন স্বর্ণকার দে ইহা প্রস্তুত করিয়াছেন তাহা জানিবার উপায় নাই, কারণ পাত্রে তাহার নামের উল্লেখ ছিল না । তবে তিনি যে এক জন সমসাময়িক শ্রেষ্ঠ জহুরী ছিলেন সে-বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নই। প্রদত্ত একতলার একটি প্রকাণ্ড কক্ষে গ্রীক্ ক্যাথলিক পুরোহিতের স্বর্ণখচিত পরিচ্ছদ ছিল। এই অপূৰ্ব্ব স্বর্ণসমারোহে আমার চক্ষু ঝলসাইয়া গেল । পরে আমি যে ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠে প্রবেশ করিলাম সেখানে সোনার ফ্রেমে বাধীন কতকগুলি ছোট ছোট ছবি দেখিতে পাইলাম। চিত্রগুলির অঙ্কন এত সুন্দর ধে সাধারণ শিল্পীর পক্ষে ইহা চিত্রিত করা সম্ভবপর নহে । পাশ্বে টেবিলের উপর একটি কারুকার্য্যময় বঁাশরী শায়িত অবস্থায় ছিল, আজকাল এই প্রকারের একটি বৃহৎ হস্তিদন্ত অত্যন্ত দুলৰ্ভ । অতঃপর নানাবিধ জন্তু-জনোয়ার-ক্ষোদিত কতকগুলি মূল্যবান প্রস্তর একস্থানে সুসজ্জিত রহিয়াছে দেখিলাম । পৃথিবীর মৃত জীবজন্তুদের ইহা এক ক্ষুদ্র চিড়িয়াখানা বলিয়া আমার প্রতীয়মান হইল । ঐ কক্ষের আর একটি টেবিলে নানা প্রকারের হীরক ও অষ্ঠান্ত প্রস্তর ক্ষোদিত হাতলওয়ালা একটি তরবারি রোমানফ রাজ-বংশের পদ্মরাগমণির সমালোঙ্গ দেখিতে পাইলাম, ইহাই ‘পটার দি গ্রেটের’ ব্যবহৃত অস্ত্র । এলিজাবেথ বৰ্গনারের প্রযোজনায় যে ‘ক্যাথরিন দি গ্রেট” শীর্ষক চিত্র প্রদর্শিত হয় তাহাতে ডগলাস ফেয়ার- , ব্যাস ( জুনিয়র ) ‘পিটার দি গ্রেটর ভূমিকায় অবতীর্ণ হইয়া এই অস্ত্রের অনুকরণে রচিত একটি অস্ত্র ব্যবহার করেন । মারলিন ডিটরিকও এই অসিসংক্রাস্ত একটি ছায়াfচত্র তুলিবার আয়োজন করিয়াছেন ; তিনি এই অস্থটি ব্যবহারের জন্ত আমাকে অনুরোধ জানাইয়াছেন। বর্তমানে এই অস্ত্রটি আমার নিকট আছে । - রক্তবর্ণ ভেলভেটের উপর কোণাকুনি ভাবে স্থাপিত ছয়টি প্রকাও আসল প্রস্তর ও দুই সারি উজ্জ্বল ছোট ছোট প্রস্তর দ্বারা সমাচ্ছাদিত একটি মুকুট দেখিতে পাইলাম । ইহা সম্রাজ্ঞী ‘ক্যাথরিণ দি গ্রেট বিবাহোৎসবের সময় ব্যবহার কfরয়াছিলেন । অতঃপর একটি মহামুল্য মণিময় টায়রা দৃষ্টিগোচর হইল। ইহার সন্নিকটে একটি প্রকাও হীরক-পত্র-ক্ষোদিত ত্ৰোচ দেখিলাম ; ইহার উপরিভাগে