পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృoo ఏSD8) সমাজের সকল অবস্থাতেই অলঙ্কারের প্রতি ঝোঁক, সাজসজ্জার প্রতি ঝোক মামুযের রহিয়াছে। যখন মানুষে মৃৎপাত্রের ব্যবহার জানিত না, যখন তাহদের মধ্যে : কৃষিব প্রচলন হয় নাই, যখন মান্বযে জন্তুদিগকে গৃহে পালন jv 襄、 _

      • l.१भू अ७ञभू:० देख्न

করতে শেখ নই, সেই আদি প্রত্নযুগও মানুষের মনে শরীরকে অলঙ্কত, ভূমিত ও মণ্ডিত করিবার প্রবৃত্তির উন্মে হইয়ছিল । ফুজিয়'ন জাতি, অগুম’ন দ্বীপের প্রাচীন জাতি প্রভৃতি যে-সকল আদিম জাতি আজও ধাচিরা থাকিবর সৌভাগাল'ভ করিয়াছে তাহদের মধ্য শরীর-মগুনের অদিম প্রথার মিশন কিছু কিছু পাওয়া মায় আদি প্রত্নযুগের মঞ্জুষ শরীরের গ্রী ও শোভা সম্পাদনের জন্ত স্থায়িভাবে অঙ্গবিশেষের বিস্কৃতি . সাধন করিত, উল্কি-চিত্রণে অঙ্গ বিভূষিত করিত, অঙ্গে রং ফলাইত এবং রত্নীভরণ প্রভৃতি দিয়া দেহ মণ্ডিত করিত। রত্নীভরণের মধ্যে কণ্ঠে পরিহিত হারের ব্যবহারই আদিম জাতিদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ছিল। এই হার নানা আকারে, নানা উপকরণে নিৰ্ম্মিত হইত। কণ্ঠভিরণ, নাসালঙ্কার, অধরভৃঘণ, হস্তাভরণ, চরণ-মণ্ডল । ও কাট-মেখলা নানা জাতির মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায় । দেশ, কাল ও জাতিভেদে রুচির বিভিন্নত আঠান্ত ব্যাপীরের ল্পীয় অলঙ্কারবিষয়েও সুস্পষ্ট । আদিম যুগে প্রকৃতিজাত সৌন্দৰ্য-উপকরণে অঙ্গভরণের ভূরি ভূরি নিদর্শন পাওয়া যায়। পার্থীর পালকে শরীর অলঙ্গত করিববি প্রথা এখনও রহিয়াছে। প্রশান্ত-মহাসাগরের কোন কোন দ্বীপের অধিবাসীরা কীকের পলিকে দেহ শোভিত করে । তাহারা কড়ির হারও পরে । ইউরোপের মুসল্লা ইংরেজ অথবা ফরাসী জাতি উটপক্ষী ও ময়ুর প্রভৃতির চাকচিক্যময় পালকের সজ্জা এখনও ভালবাসে । অস্ট্রলিয়ার অধিবাসি গণ তাহদের পূর্বপুরুষের চিহ্নস্বরূপ জন্তু ও বৃক্ষাদি, দেবক প্রভৃতি নিজেদের শরীরে প্রচ্ছান করিয়া থাকে । এক সময়ে মধ্য প্রজাপতির ডানা, মানাপ্রকারের বীজ, অত্যুঞ্জলপ্রস্তর, বিচিত্র পত্র প্রভৃতি অঙ্গে ধারণ করিয়া তাহ'র অঙ্গশোভা বৰ্দ্ধন করিয়াছে। তারপর জ্ঞান ও সুযোগ বুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নানা ধাতুর অলঙ্কারের স্বস্ট করিয়াছে। কেমন করিয়া এই সমস্ত প্রসাধনের ব্যাপার ঘটিল তাঁহা অনুসন্ধানের বিষয়। যে করিয়া হউক অলঙ্কায়-প্রতি মানুযের মনকে অধিকার করিয়া বসিয়ছে। অলঙ্কার কোন দিন মানুষ ত্যাগ করতে পরিব বলিয়া মন হয় না। আমরা বলিয়ী থাকি কম কাঞ্চনত গী সংস’র-বিরাগী তাপসের অলঙ্কারের প্রতি বিরূপ তাহ'র কামিনী-কাঞ্চল ত্যাগের জন্ত সাধন করেন বটে, কিন্তু তঁহরাও অলঙ্কর ছড়িতে পারেন না । তঁহরা যে জটাধারণ করেন, চীর ও উৰ্দ্ধপুণ্ড ধারণ করেন, ভস্ম বিলেপন করেন এবং সাম্প্রদায়িক প্রথানু্যায়ী রুদ্রক্ষি, দণ্ড, কমণ্ডলু, সিঙ্গুর, কর্ণাঙরণ, কটি শৃঙ্খল, চিমট, ত্রিশুলাদি ধারণ করেন,