পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

يقاOج অধ্যায়ে ভরত অলঙ্কার লইয়া অনেক কথাই বলিয়াছেন। তিনি অলঙ্কারকে চারি ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন । র্তাহার মতে, অলঙ্কার আবেধা, বন্ধনীয়, ক্ষেপ্য ও আরোপ্য । শ্ৰেণীস্বত্র, অঙ্গদাদি বন্ধনীয় ; উৎকলের মস্তক ও কর্ণভরণ নূপুর, বস্ত্রাভরণ ক্ষেপা ; স্বর্ণস্বত্র ও নানাপ্রকার হার আরোপ্য । চতুবিধস্তু বিজ্ঞেয়ং দেহন্তাভরণং বুধে । আৰেখ্যং বন্ধনীয়ঞ্চ ক্ষেপ্যমারোপ্যকন্তুখ ॥ জাবেধাং কুওলানাহ ৰহস্তীচ্ছ বণভূষণ । শ্ৰেণীস্বত্রাঙ্গদৈমুক্ত বন্ধনীয় বিনির্দিশেৎ ॥ প্রক্ষেপ্যং নুপুরং বিদ্যাম্বস্ত্রাভরণমেব চ। আরোপ্যং হেমহুয়াণি হীরাশ্চ বিৰিধাশ্ৰয়াঃ । م د-د د,دچــ*ftد[af8 তারপর তিনি বিশেষভাবে নির্দেশ করিয়া বলিয়াছেন, চূড়ামণি আর মুকুট হইল শিরোভূষণ । কর্ণের অলঙ্কার-- কুণ্ডুল। মুক্তাবলী অর্থাৎ মুক্তাহার হর্ষক এবং স্বত্র কণ্ঠভূষণ । অঙ্গুলির আভরণ হইল বটিকা ও অঙ্গুলিমুদ্রা। কেয়ূর ও অঙ্গদ—কৃপরের ভূষণ। ত্রিসর ও হার গ্রীব ও স্তনমণ্ডলের ভূষণ ; তরল ও স্বত্রক এই দুইটি কটিভূষণ ছিল। তখন দেহভূষণ বলিলে বুঝাইত মুক্তহার ও মালা। এগুলি সাধারণতঃ বেশ বিলম্বিত হইত। এই সমস্ত অলঙ্কার পুরুষরা পরিত। চূড়ামশিঃ সমুকুটঃ শিরসে ভূষণ স্মৃতম্। কুগুলং কর্ণমেবৈকং কলাকরণমিষ্যতে ॥ মুক্তাবলী হর্ষকঞ্চ সম্বয়ং কণ্ঠভূষণম্। বটিকাদুলিমুদ্র চস্তাদজুলিবিভূষণম্। ক্রিসৱশ্চৈব হরিশ্চ গ্রীবাবক্ষোজভূষণম্। তরল স্বত্রকঞ্চৈৱ ভবেৎ কটিবিভূষণম্। অয়ং পুরুষনির্যোগঃ কাৰ্য্যন্ত্রাভরণাশ্ৰয় । ব্যালম্বিমুক্তিক হার মালাদ্য লেম্বভূষণ ঃ ২১,১৫-১৯ ১৫ প্রবচন, So8ు তারপর দেবতাদের ও মর্ত্যবাসিনী রমণীদের অলঙ্কারের কথা ভরত মুনি বর্ণনা করিয়াছেন । সেই অলঙ্কারগুলির নাম ভরতনাট্যশাস্ত্রে (২১১৯-২১) এইরূপ— শিখাপাশ। কুগুল । শিখাজাল । খড়গপত্র । থওপত্র ; বেণীগুচ্ছ। চূড়ামণি। দারক। মকরিকা। ললাটতিলক। মুক্তাজাল। গুচ্ছ (ক্র এবং কক্ষের উপরিভাগে ধারণ করা হইত ) ৷ গৰাক্ষি। কুসুম (নানা রকম ফুলের অনুকরণে স্বর্ণভিরশ) । এ ছাড়া, কানের গহনার নাম (২১/২২-২৪)—কণিকা, কর্ণবলয়, পত্ৰকণিকা, আপেশ্রীক, কর্ণমুদ্রা, কর্ণোৎপল, নানরত্নখচিত দস্তপত্র। গগুস্থলেরও গহনার নাম--- তিলক ও পত্ৰলেখা । যাস্কের নিরুক্তে এবং পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীতে শুধু অলঙ্কারের উল্লেখ আছে তাহা নহে, বিভিন্ন প্রকার নানা অলঙ্কারের নাম ও বর্ণনা আছে। একটা উদাহরণ দিতেছি---পাণিনি ব্যাকরণ লিখিতে গিয়া শব্দের বুৎপত্তি করিয়াছেন। এক জায়গায় ( ৪৩.৬৬) দুইটি ভূষণের নাম করিয়াছেন। কর্ণে থাকে বলিয়া একটি গহনীর নাম ‘কণিকা, ললাটে থাকে যলিয়া আর একটি অলঙ্কারের নাম “ললাটিকা’ । তাহার স্বত্র হইল— “কলিলাটাৎকনলঙ্কারে” । ইহার বৃত্তি এই— “কৰ্ণললাটশব্যাভ্যাং কন্‌ প্রত্যয়ো ভবতি তত্র ভব ইত্যতস্মিন বিষয়েহুলঙ্কারেহভিধেয়ে ” “বৎ’ প্রত্যয় ( ৪৩,৫৫ ) না হইয়া সেইখানে আছে এই অর্থে ‘কন প্রত্যয় হইবে। রামায়ণে ( সুন্দর ২.৬ ) লিখিত আছে, লঙ্কাপুরযোষিদগণের কর্ণে বঞ্জ অর্থাৎ হীরকখচিত বৈদূর্যমণিখচিত কুণ্ডল ছিল। মহাভারতেও (বন প-৫৭) মণিকুণ্ডলের উল্লেখ আছে। ভাগবতেও (১০.২৯৪) গোপাঙ্গনীদের কৃষ্ণভিসার বর্ণায় তাহদের বলা হইয়াছে—আজগুন্তোন্তমলক্ষিতোদ্যমা: সবত্র কাস্তে জবলোলকুণ্ডল । ভুবনেশ্বরের ' মন্দিরের একটি স্ত্রীমূৰ্ত্তির কর্ণে"ভালপত্র নামক কর্ণভরণের নিদর্শন আছে । অমরকোষের বর্ণনার সহিত ইহার মিল আছে । ভুবনেশ্বরের ( রাজেন্দ্রলাল মিত্রের Indo-Aryans) ৬৪ সংখ্যক চিত্রের কর্ণাভরণ বাঙ্গালা দেশের ঝুমকার অনুরূপ । ৬৫ সংখ্যক মুৰ্ত্তি—মণিকর্শিক ৬৬ নং চিত্র পুরীর কাষ্ঠশিল্প হইতে গৃহীত। এই মুর্তির অনুরূপ কর্ণাভরণ বঙ্গালা দেশের ‘চেড়ী’ নামে পরিচিত ৬৩, ৬৪, ৬৫ নং চিত্রের !