পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSb~ প্রখর সাজসজ্জ, মুখর উগ্র প্রসাধন, ঠোঁটের পানের দাগ বড় বেণী স্পষ্ট হইয়া নজরে পড়িতে লাগিল । বহিরে শাস্ত নীলাকশি, কতদূর একটা চিল উড়িয়া চলিতেছে। কপোতের বিশ্রদ্ধ কলগুসন শুনা যাইতেছে । হঠাৎ যেন ভিতরের একটা ধাক্কা খইয়া যামিনী তীরের মত সবেগে উঠিয় দাড়াইল । বিতৃষ্ণায় তাহার কণ্ঠরোধ হইয়া আসিল । মাতfলর নেশা ছুটিলে যেমন কোন অপ্রত্যাশিত কদৰ্য্য স্থানে নিজে.ক দেখিয়া লজ্জায় তাহার মাথা কাটা যায়, তেমনি এই জনহীন নিস্তব্ধ মধ্যাহ্নে এই ঘরে এই জাতীয় স্ত্রীলোকের মুখামুখি বসিয়া তাহাকে চুপি চুপি প্রশ্ন করা, “তুমি কেমন আছ ?” যামিনীকে কে যেন চাবুক দিয়া মারিল । সে উঠিয়া চেয়ারের উপর হইতে চাদরধান টানিয়া লইয়। আর কোন কথা না বলিয়া, কোন কথার জবাব শুনিবার জন্ত অপেক্ষা না-করিয়া দ্রুতপদে বহির হইয়া গেল । রাস্তায় সায়ন্সি কলেজ হইতে নিখিল ফিরিয়া আসিতেছিল, যামিনী কোনদিকে না চাহিয়া হন হন করিয়া চলিতেছিল । তাহীর সহিত ধাক্কা লাগিল । লিখিল অবাক হইয়া চাহিয়া কহিল, “এত বাস্ত কেন ? হাওয়াটা বইছে মােজ কোথা দিয়ে ?” যামিনী কোন উত্তর দিল না । দুই জনে একসঙ্গে আসিয়াই ঘরে ঢুকিল । মনের অধীরতীয় ঘামিনী যাইবার সময়ে অমলর চিঠিখনি টেবিলের উপর তেমনি থেtলা অবস্থ তেই ফেলিয়া রাখিয়া বহির হইয়া গিয়ছিল । নিখিল ফিরোজ রঙের সেই খামখানার দিকে চাহিয়া সহস্তে কহিল, “অনেক দিনের প্রতীক্ষার পরে আজ বুঝি বৌদির চিঠি এসেছ ? যদি অভয় দাও তা হলে পড়ে দেখি ।” যামিনীকে কথা বলিত না দেখিয়া সে টেবিলের কাছে অগ্রসর হইয়া চিঠিখন চোখ বুলইয়া দেখিত ল গিল । কিছুক্ষণ পরে গম্ভীর হইয়া যামিনীর দিকে চাহিদ কহিল, “এই চিঠিখন পেয়েই বুঝি সেই মেয়েটার কাছে দৌড়েছিলে ?” একথারও কোন উত্তর ন৷ o যামিনী লিখিলের হাত হইতে চিঠিখন কাড়িয়া লইয় মুঞ্জর মধ্য দল পাকাইয়া জানাল দিয়া ফেলিয়া দিল । কহিল, “তোমার কাছে এখন {{ প্রধামনী ; ఎ98స్సె কৈফিয়ৎ দিতে পারব না নিখিল । আমি'র মন ভরি খারাপ। আমি একটু একলা থাকতে চাই।” নিখিল তীব্র দৃষ্টিতে একবার তহর দিকে চাহিয়া ঘর ছাড়িয়া চলিয়া গেল। নিজের ঘরে বসিয়া ভাবিতে লাগিল যামিনীকে এই বিপদ হইতে কি করিয়া উদ্ধার করা যায়। নিৰ্ম্মলকে সেই বিবাহের দিনটিতে ছড়া আর সে কখনও দেখে নাই । কিন্তু আজ তাহার উপর বিধিমত রাগ হইতে লাগিল । মন মনে সঙ্কল্প কfরল, যদি প্রয়োজন হয় তবে নিৰ্ম্মলীর সঙ্গে দেখা করিয় তাহার সহিত পরিচয় করিয়াও সে কিছু বলি ব । মেহের মৃদু ভৎসনা করিয়া কহিব, ‘তোমার মত বেকা মেয় পৃথিবীতে আর ত দুটি দেখি না । এত অতুল রূপগুণের অধীশ্বরী হষ্টয় ও তোমার কোমল কঠোর বন্ধনে এক জন-ক বধিতে পরিলে ন! I' মনের আবগ, বন্ধুর প্রতি আকৃত্রিম মেহের উদ্বেগ সে এ মাও কত কি-ই না মনে মনে বলিয়া চলিয়াছিল, কিন্তু বহিরে লাল বইকে করিয়া টেলিগ্রামের পিয়নকে দেখিয়া সশঙ্গিত হইয়া বারনা য় বহির হইয়া আসিল । পিয়ন হলদে খামখানা ব হির করিয়া কহিল, যামিনীভূষণ রায়ের নামে জরুরি তার আসিয়াছে। যামিনীর নামে সাইন করিয়া খামখানা ছিfড়য়া দেখিল তাহার পিতার শক্ত অমূখ, তাহীকে অবিলম্বে বাড়িতে যাইবার অনুরোধ । যাক, নিখিল নিশ্চিস্ত হইয়া ভবিল, এ যা হইল ভালই হ'ল । তহরি বাবর অসুখ আজ না-হয় দু-দিন পরে স.fরবেই। কিন্তু এই উ লক্ষ্যে ঠিক এই সময়েই যামিনী যে কিছুদিন অন্ততঃ কলিকাতার বহিরে গেল ইহার চেয়ে ভাল আর কিছু হইতে পারিত না। য়েই রাত্রেই সাড়ে নটর এক্সপ্রেস ঘামিনী বড়ি গেল। নিখিল তাহকে ট্রেনে তুলিয়া দিয়া কহিল, ੋ করবার কোন দরকার নেই। তোমার পরীক্ষার এখন ত প্রায় ছু-মাস দেরি । তাছাড়া লেক্চার-টেকচার সবই তে মার এটেও করা র.য়ছে, পড়াশোনাও প্রায় সব তৈরি । দিন-পনের আগে এলেই যথেষ্ট । তোমার বাবা সম্পূর্ণ সুস্থ সবল হ’ল তবে এস।” যামিনী তখন নিঃশৰো ট্রেনের জানালীয় মুখ বার