পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাতিক করিয়া অন্ধকার আকাশের দিকে চাহিয়া, বাবার অনুধের কথাও চিন্তা করে নাই, পড়াশোনার কথাও ভাবে নাই । ভবি.তছিল আজই পুরবেলয় নিৰ্ম্মলাকে বে চিঠিখানা লিখিব-লিখিবে করিতেছিল সে রোমের সাগরতীরে ఫివసి কি আর কখন লেখা হইবে না ? নিয়তির অলজৰা আদেশে সে লিপি কি চিরদিনই আলিখিত হইয়া থাকিবে ? মাঝখানে আসিয়া পড়িবে একটার পর আর একটা বাধা । ক্রমশঃ রোমের স্বাগরতীরে শ্রীপ্রমথনাথ রায়, এম-এ মুসোলিনীর ইটালীতে বাস করিয়া মুখ আছে। প্রকৃতি ইটালীকে ঐ দিয়াছে। মুসোলিনী এ-দেশে বাস আরামপ্রদ করিয়াছেন । মুসোলিনী স্বজাতির চরিত্র জানেন । কি করিয়া রাজ্য শাসন করিতে হয় সে কলাও তিনি ভাল করিয়াই জানেন । তিনি জানেন ইটালীয়ানদের জাতীয় চরিত্র তীব্র দাহিকfপ্রবণ উপাদানে গঠিত ; ইটালীয়ানদের ব্যক্তিগত ও সাধারণ জীবন প্রবল ঈর্ষাতে ভরা। এ-দেশীয় লোকের ভিতর প্রাদেশিকতা অত্যন্ত প্রবল। ইটালীর ঐক্য স্থাপনের পূৰ্ব্বকাল পর্যন্ত এ-দেশের ইতিহাসে এই প্রাদেশিকতার অনুভূতি ও প্রাদেশিকতার দেমাক মুস্পষ্টরূপে বিকশিত হইয়াছে। এখন এই প্রাদেশিকতা অনেকটা সংযত হইয়াছে, কিন্তু এঞ্চেব রে নিৰ্ম্মল হয় নাই । ম্যাটুসিনি গরিবড়ী ও কাভুরের নেতৃত্বে ইটালীর যে ঐক্য স্থাপিত হইয়াছিল তাঁহা রাজনৈতিক ঘটনা মাত্র। জাতির 常 একতা সাধনের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয় নাই । যদি এই নৈতিক একতা সাধনের কাজে শৈথিল দেখা দেয় তাহা হইলে ইটালীয়ানদের ভিতর আবার ব্যক্তিগত দলাদলি ও রাজনৈতিক কলহ-বিবদ ফিরিয়া আসিবে। মুসোলিনী এ সমস্ত জানেন । জানেন বলিয়াই তিনি কড় ভাবে রাঙ্ক শাসন করেন ও কড়া শাসনের প্রয়োজন অনুভব করেন। কিন্তু তিনি এও জানেন, শাসিতের আরামের দিকে দৃষ্টি না রাৰিলে কোন শাসনই দীর্ঘকাল श्ां ौ श्छ १tंह नः । हांद्रि निर्झ.ुष्. ग्रांश्च . আদায় করিতে হইবে ? লোকে যদি ট্যাঙ্কু দিয়া তার পরিবর্তে আরম পায়, তহী হইলে ট্যাক্স দিতে আপত্তি করিবেন। আমি যদি লোকের সুখ-সুবিধার দিকে দৃষ্টি রাখি তাহা হইলে লোকেও আমার আজ্ঞাবহ হইয়া চলিব । ইহই মুসোলিনীর রাজা শাসন করিবার গুঢ় রহস্ত, তার সাফল্যের কারণ । তিনি লাকের জন্ত কি করিয়াছেন তাহারা সৰ্ব্বদা স্বচক্ষে চাহ দেখে আর চুপ করিয়া থাকে। আনন্দের সুযোগ সকল শ্রেণীর লোকের দুয়ারে পোছাইয়া দেওয়া হইয়াছে। বহু উৎসব লোপ পাইতেছিল, সেগুলির পুনরায় প্রচলন করা হইতেছে । সিনেমা ও থিয়েটারে টিকিটের দাম কমাইয়া দেওয়া হইয়াছে । লোকের ভ্রমণের সুবিধার জন্ত রেলের ভীড় সস্ত করিয়া দেওয়া হইয়াছে । একাধিপত্যের ফল যদি এরূপ সুন্দর হয় তাহ হইলে লোকে যে একাধিপতা সহ করিবে তাঁহাতে আশ্চর্য হইবার কিছু নাই । আমি সুন্দর বলিয়ছি । এই গরমের দিনে প্রতি রবিবার নামমাত্র ভাড়ায় পাহাড়ে কিংবা সাগরতীরে বেড়াইয়া আদিতে পারা কি সুন্দর নয় ? মুসোলিনী জন সাধারণের জন্ত কতকগুলি বিশেষ টেলর চলন করিয়াছেন । প্রতি রবিবার হাজার হাজার যাত্রী বোঝই হইয়া এই ট্রেনগুলি পাহাড়ে কিংবা সাগরের ধারে কিংবা পল্লীতে যায় ও শহরের কলুষিত হাওয়ায় আবদ্ধ বাসিন্ধাকে কয়েক ঘণ্ট প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটাইবার সুযোগ দেয়। ভাড়া অতি সামান্ত। একটা উদাহরণ দিই, নেপলস রোম হইতে