পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR.。 tॐददाम्लों★ ՀՖՀ)8S ছিল না । তখন যে-কেহ সমুদ্র স্নান করিবার জন্ত ইচ্ছা- ট্রেন হইতে নামিয়া সমবেত জনতার সম্মুখে এক বক্তৃত মত ময়দানে নিৰ্ব্বস্তু হইলে কেহ দেখিবার বা কিছু বলিবার ছিল না । এখন সেই বসতিবিহীন ভূভাগ লোকালয়ে, হোটেলে ও কফিথানীয় ভৰ্ত্তি, তীর ধরিয়া স্নানের জন্য সমুদ্রতীরবর্তী রাজপথ-অস্তিয় শত শত ক্যাবিন ও তাৰু বালুকার উপর সকল বয়সের শত শত লোক সুর্য্যালোকে শায়িত, শত শত লোক সমুদ্র-তরঙ্গের সহিত স্বাস্থ্যপ্রদ লড়াইয়ে মত্ত । এ সমস্তই মুসোলিনীর কাজ । তিনি যে বৎসর দেশের শাসন-বল্প হাতে নেন, সেই বৎসরই তার মনে রোমানদিগকে তাহাদর সমুদ্রতীর ফিরাইয়া দেওয়ার সঙ্কল্প জাগে ও কালক্ষেপ না করিয়া রোম হইতে অস্তিয়া পৰ্য্যন্ত রেলপথনিৰ্ম্মাণের আদেশ দেন, পর বৎসর ১৯২৪ সালের ১০ই আগষ্ট এই রেলপথ খোলা হয় । ইতিপূর্বে ১৯১৮ সালে জোসেফ এলমি নামে রোমের এক বিনয়ী ও সাহসী বাসিন্দা অস্তিয়ার “রোম” নামে স্নানের ঘাট নিৰ্ম্মাণ করিতে আরম্ভ করেন । ১৯২০ সালে “ব্যক্তিস্তিনা” নামে ঘাট তৈয়ার হয় । ১৯২২ সালে তৈয়ার হয় “গ্রিন্সিপে” নামীয় ঘাট । ১৯২৪ সালের ১০ই আগষ্ট সকালবেলা রোম-অস্তিয়া রেলপথ প্রতিষ্ঠ উপলক্ষ্যে সেন্ট পলস ষ্টেশন নিশানে নিশানে সাজানো হয়। বেলা ১০টার সময় মুসোলিনী সদলবলে ষ্টেশনে হাজির হন ও সর্বপ্রথম গাড়ীতে আরোহণ করেন । এই প্রথম ট্রেনে সৰ্ব্বসমেত পাঁচখন গাড়ী ছিল । ঠার অনুচরেরা বাকী গাড়ীগুলি দখল করিয়া বসেন। গাড়ী যখন প্রাচীন অস্তিয়াতে পৌছে তখন মুসোলিনী দেন ও জনতার নিকট হইতে তাহীদের কৃতজ্ঞতার অর্ঘ্য গ্রহণ করেন। বক্তৃতাশেযে ট্রেন আবার চলিতে আরম্ভ করে ও বেলা সাড়ে দশটার সময় লিদো ষ্টেশনে পৌছে । এখানে পূৰ্ব্ব হইতেই রোম হইতে আগত বহুলোক অস্থির ভাবে মুসোলিনীর আগমনের প্রতীক্ষা করিতেছিল । মুসোলিনী ট্রেন হইতে নামা মাত্র তার উপর রীতিমত পুপ বর্ষণ হইতে থাকে । তারপর তিনি নুতন অস্তিয়ার মিউনিসিপালিটির ও স্কুলের ভিত্তি স্থাপন করেন । সেইদিন হইতে অস্তিয়ার কি দ্রুত উন্নতিই না হইয়াছে ! মানের ঘাটগুলি ও লোকালয় ছাড়া এখন আরও অনেকগুলি সুরম্য সৌধ ও পার্ক এই শহরের শোভা বাড়াইয়াছে। অনেকগুলি গৃহ ফিউচারিষ্টিক থিওরী অনুযায়ী নিৰ্ম্মিত হইয়াছে—সাদাসিধা সরলরেখায় তৈয়ারী বাহিরে ও ভিতরে সম্পূর্ণ অনাড়ম্বর । ফিউচরিষ্ট অর্টের মূলকথা বক্ররেখার কাজ যতদূর সম্ভব বাদ দেওয়া ! কোনবাকীন, হেলান-জুলান কিছুই থাকিবে না : সমস্তহ হইবে আীটের ভিতর হকতে সমুদ্রতীর-অস্তিয় সরলরেখার সৌন্দর্য । এই আর্ট যে শুধু গৃহ-নিন্মাণ আর চিত্রাঙ্কণেই আবদ্ধ তা নয় । ইটালীতে ঘরের আসবাবপত্রও আজকাল এই আদর্শ অনুসারে তৈয়ার হইতেছে । যে-ঘর এই ফিউচারিষ্টিক আসবাবে সাজান, সে ঘরের ভাড়াও বেশী । শহরের ভিতর দিয়া পায়চারি করিতে করিতে ভর