পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՀ রামদীসের সব পদ সংগ্ৰহ করিতে লাগিলেন । এই কাৰ্য্যে তাহার মাতুল-সম্পৰ্কীয় ভাই গুরদাস হইলেন তাহার পরম সহায় । গুরু অঙ্গদ প্ৰবৰ্ত্তিত গুরুমুী অক্ষরে ভাই গুরদাস সব লিপিবদ্ধ করিতে লাগিলেন। কিন্তু আদিগুরুর আসল একখানি সংগ্ৰহ-গ্ৰন্থ ছিল গোইশারালে অমরদীসের পুত্র মোহনের কাছে । সেই সংগ্রহথান না পাইল আর কাজ চলে না। অথচ তাহ পাইবার উপায় কি ? গুরু অৰ্জুন ভাই গুরদীসের লিপিসৌন্দর্য্যে ও তাহার রচিত ‘ৱ’র” বা গুরু:দর মহিমাগানের রচনায় মুগ্ধ হইয়াছিলেন । গুরু অৰ্জুন প্রথমে ভাই গুরদাসকে গে’ইন্দরলে মোহনের কাছে পাঠাইলেন । মোহন র্তাহাকে একেবারে আমলই দিলেন না। অগতা গুরু অৰ্জুন নিজেই গেলেন ও নানা ভাবে চেষ্টা করিয়া মোহনকে প্রসন্ন করলেন । সেই সংগ্ৰহ গুরুর হস্তগত হইল । এখন অৰ্জ্জুনের ভাবনা হইল কেমন করিয়া তাহদের মহাগ্রন্থ রচনা সম্পূর্ণ হয় । নানা স্থান হইতে গুরু সব পদ একত্র করেন ও মুখ বলিয়া যান। ভাই গুরদাস তাঁহ লিপিবদ্ধ করেন । এই উপলক্ষে গুরু অৰ্জ্জুন, হিন্দু ও মুসলমান নানা সম্প্রদায়ের ভক্তদের নিমন্ত্ৰণ করিয়৷ প্রত্যেকের কাছে সেই মহাগ্রন্থ রচনার সহয়ত প্রার্থনা করলে । এই প্রস ঈ ভারতের নানা স্থান হই ত নানা সম্প্রদায়ের সব নিৰ্ব্বাচিত ভক্তজন আসিয়া উপস্থিত হইলেন । বাংলা দেশ হইতে জয়দেবের ভক্তগণ র্তাহীদের নির্বাচিত লোক পাঠাইলেন। ভক্ত নীমদেব, রমনন্দ, রবিদ'স, কবীর ও ফরীদ প্রভৃতি সাধক-দলের প্রতিনিধিরাও আসিলেন । ভক্ত টি লো, ভক্ত কাকু ( কৃষ্ণ ), ভক্ত ছৰ্জ্জু, সাধক শাহ হুসেন প্রভূতি বহু ভক্ত এই উপলক্ষ্যে আসেন । কিন্তু র্তাহীদের রচনা গৃণীত হয় নাই। কাশী হইতে বৃদ্ধ পণ্ডিত হরলাল ও কৃষ্ণলাল আসিয়া বলিলেন, গুরু নানকের কাছে র্তাহ রা অনেক উপদেশ পাইয়াছেন। তাহা তাহার এই সংগ্রহের অন্তভুক্ত করাইবার জন্ত আসিয়াছেন। যে সব কবির। শিখধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন র্তাহারও তাহাদেয় রচিত নানা স্তবস্তুতি এই জন্ত আনিয়া উপস্থিত করিলেন। • প্রবামী • ఏన)8S পদগুলি লেখক অনুসারে ভাগ না করিয়া ভাগ করা হই রাগ অনুসারে । গ্রন্থসাহেবের মধ্যে ৩১টি রাগ দেং যায়। এক একটি রাগের মধ্যে প্রথমে প্রথম গুরুর প৷ প্রথম মহল্লা নামে, দ্বিতীয় গুরুর পদ দ্বিতীয় মহল্ল নামে, তৃতীয় গুরুর পদ তৃতীয় মহল্লা নামে—এইরূ:ে সাজান হইল। এক এক রাগে শিখ গুরুদের পদ সাঙ্গা হইলে তাহার পর জৈদেব, রামানন্দ, কবীর, রবিদা প্রভৃতি ভক্তদের পদ হইল সাজান । গ্রন্থসাহেবের পরিশিষ্টে ‘রগিমালা’ বলিয়া এক অংশ আছে। তাহ মুসলমান কবি আলিমের কাব্য হই:ে গৃহীত। ১৫৮৩ খ্ৰীষ্টাব্দে আলিম এক কাব্য রচনা করে তাহার নাম “মাধবনাল সঙ্গীত" । এই কীবোর নয় মাধবনাল ও নায়িকা কমিকন্দলা । এই কাব্যের ৬৩-৭ পদগুলিতে যে রাগ-পরিচয় আছে গ্রন্থসাহেবের পরিশিে তাহাই গৃহীত হইয়াছে । অমৃতসরের সরোবরতীরে রমণীয় স্থানে বসি গুরু অৰ্জুন বলিতেছেন ও ভাই গুরদাস লিখিতেছেন, এম করিয়া ১৬০৪ খ্ৰীষ্টাব্দের ভদ্র শুক্ল:প্রতিপদে এই গ্রন্থ সাহেব সংগ্রহ সমাপ্ত হয়। ইহাই আদি গ্রন্থ । ইহার পে আরও দুইবার গ্রন্থসাহেবের সংগ্ৰহ হয়। এই অf গ্রন্থ সমাপ্ত হইলে এই গ্রন্থের যোগ্য স্থান অমৃতস: হরমন্দিরে ইহা রক্ষিত হইয়াছিল । পgাবের অন্তর্গত গুজরাত জেলার মঙ্গত গ্রামে ভা বম্নো নামে এক জন ভক্ত ছিলেন । গ্রন্থসাহেব রচি হই.লই তিনি গ্ৰন্থখানি একবার স্বগ্রামে লইয়া গিয়া দেখিে চাহিলেন । গুরু অৰ্জুন বলিলেন, “যাও গ্রন্থখানি লইয় কিন্তু তোমার গ্রামে গিয়া এক দিনর বেশী রাখিও না ভাই বল্লে পথে বিশ্রম করিতে করিতে অতি ধীt অগ্রসর হইতে লাগিলন। পথেই তিনি গ্ৰন্থখানি আদ্যস্ত প্রতিলিপি করিম লইলেন। গ্রমে যাইয়া গ্রী খানি এক দিন রাথিবীরও প্রয়োজন আর হইল না । প{ তাহাতে এমন অনেক পদ বল্প বলাইলন যাহা গু অৰ্জুনের আদি গ্রন্থে বাদ গিয়াছিল। গুরু তাহাকে বলিলে “তোমার সংগ্রহ তোমারই থাকুক। আমীর সংগ্রহ যেম ভাবে সমাপ্ত হইয়াছে তেমনই চলুক।” কেহ কেহ বলে