পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ Зоо ভূতের ৰেখা হইয়া চাপিয়া বসিয়াছে—মানুষের ভোগে তাহা আসিতে পারিতেছে না। ভোজ্যও প্রচুর, বুভুকুও সংখ্যাতীত বুঝিতে পারা যাইতেছে কোন কারণে দুইয়ের ষোগস্থত্রের বিচ্ছেদেই এই প্রাণাস্তকর নাটকের সৃষ্টি হইয়ছে । যে ববস্থা ক্রেতা ও বিক্রেতার শক্তি ও স্বার্থ মধ্যে সামঞ্জস্ত রক্ষা করিয়া উভয়ের যোগাযোগ রক্ষা করিয়া আসি তছিল, তাহার ভিতরে কোন ছিদ্রপথে আজি ঘুণ ধরিয়াছে । সাধারণ বুদ্ধিতে মনে হইতে পারে উৎপন্ন পণ্যের পরিমাণ বৰ্ত্তমান সময়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় এই অবস্থার স্বাক্ট হইয়াছে । কিন্তু হিসাব লইলে দেখা যাইবে ১৯২৯ সালের পর এই দুদিনের যুরু হইতে, পণ্য ও শিল্পের উৎপাদন পূৰ্ব্বাপেক্ষ অনেক হ্রাসপ্রাপ্ত হইয়ছে । উহাদের মুল্যও অত্যধিক হ্রাস পাইয়াছে ; অথচ পৃথিবীর লোকসংখ্যা ও বিবিধ জিনিষের প্রয়োজন বৃদ্ধি পাইয়াছে ছড়া হ্রাসপ্রাপ্ত হয় নাই । ইহা বদি সত্য হয়, তাহা হইলে উৎপন্ন পণ্যের আধিক্য হেতু এই অবস্থার স্বষ্টি হইয়াছে, আমাদের এই অনুমান ঠিক নহে বুঝিতে হইবে । কঁচা মাল বা তৈরি জিনিব, কাহারও আজ আর যথেষ্ট চাহিদা নাই, ইহাই হইল বর্তমান দুৰ্গতির গোড়ার কথা । ইহার মুলে রহিয়াছে, যে-মুলো ক্রেতাগণ ক্রয় করিতে সমর্থ এবং যে-মুল্যে বিক্রেতা ক্ষতি স্বীকার না করিয়া বিক্রয় করিতে সমর্থ এই দুই ক্ষমতার তারতম্য । কোন জিনিষের প্রয়োজন থাকা ও বাজারে তাহার চাহিদা থাকা এক জিনিষ নহে । প্রয়োজন বা সখ আমাদের বহু জিনিয়েরই আছে, কিন্তু তাই বলিয়) সব প্রয়োজন বা সখ মিটাইবার শক্তি আমাদের সকলের আছে কি ? প্রয়োজন তখনই চাহিদায় পরিণত হয় যখন মূল্যদ্বারা প্রয়োজনীয় জিনিষ ক্রয় করিবার শক্তি আমরা অর্জন করি । তাহা হইলে আমরা দেথি ত পাই:তছি যে, জিনিষের চাহিদা নির্ভর করে দুইটি জিনিষের উপর-প্রথমতঃ, তাহার প্রয়োজনীয়তা ; দ্বিতীয়তঃ, তাহার মুল্য। মানুষের প্রয়োজন ও পছন্দ সম্বন্ধে কারখানার মালিক যদি ঠিক অনুমান করিতে না পারেন, তাহা হইলে তঁহিীকে পণ্যদ্রব্য शङ्खे।। ८श्मन् ७ङ्गडद्र खरश्च श्रफ्रेिड श्य, वर्षनौखिङ्ग יתsoם মারপ্যাচে জিনিষের মুল্যহ্ৰাস ঘটিলেও তাছাকে তেমনি বিব্রত ও ক্ষতিগ্রস্ত হইতে হইবে । অর্থনীতির সহিত মুল্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সম্বন্ধে এখানে আর একটু পরিষ্কার করিয়া বলা যাক I অর্থের পরিমাণ বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক ও অন্তান্ত নানা কারণে কমিতেছে বাড়িতেছে । কোন দেশে চলতি অর্থের পরিমাণ হ্রাসপ্রাপ্ত হইলে অর্থাৎ অর্থসমষ্টির সঙ্কোচন (deflation) ঘটি-ল, জোগান ও চাহিদার সাধারণ নিয়মানুযায়ী অর্থের মূল্য বৃদ্ধি পাইব ; অর্থাৎ ঞ্জিনিষের মূল্য হ্রাস পাইবে । পক্ষান্তরে, অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত (inflation হইলে অর্থের মূল্য কমিবে অর্থাৎ জিনিযের মূল্য বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইবে । অনেকে মনে করেন পণ্যবিনিময়ের বা বেচাকেনার ক্ষেত্রে মুদ্রার আবির্ভাব এবং একাধিপত্য এই গুরুতর সমস্তার জন্ত বিশেষ ভাবে দায়ী। সেই জন্ত এক দল নুতন পন্থী পণ্যের হাট হইত এই থামখেয়ালি মধ্যবর্তী প্রভুটিকে বাদ দিয়া পণ্যের সহিত পণ্যের সাক্ষাৎ বিনিময় পুনঃপ্রবর্তন করিয়া আদিকালের ব্যবস্থাকে ফিরাইয়া আনিতে চাহেন। বিভিন্ন দেশের মুদ্রানীতি বর্তমান সমস্তাকে কিভাবে প্রভাবান্বিত করিতেছে তাহার বিস্তারিত আলোচনা করিবার পূৰ্ব্বে আমরা অন্তান্ত কারণগুলির অনুসন্ধান করিতে চাই । দেহরক্ষা ও প্রাণধারণের উপযোগী নিতান্ত প্রয়োজনীয় কয়টি জিনিষ বাদ দিলে মুখস্বচ্ছন্দতা বা আরামের জন্ত আজ মামযের যে অসংখ্য প্রকার বিলাস-সামগ্রীর প্রয়োজন হইয়াছে, তাহ নিত্য পরিবর্তনশীল । বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী শক্তির দ্রুত উন্নতির ফলে একই শ্রেণীর জিনিষ নিত্যমূক্তন রূপে আত্মপ্রকাশ করিয়া ক্রেতাদিগকে বিভ্রাস্ত ও বহুবিভক্ত করিয়া তুলিয়াছে মানুষের পছন্দ বা সখের আজ জার অস্ত নাই। হালফ্যাশনরূপে আজ যাহা সাগ্রহে গৃহীত হইতেছে, কাল তাহা পুরাতন ও সেকেলে হিসাবে পরিত্যক্ত হইতেছে। অস্থিরমতি ক্রেতার এই দৌরাত্ম্য বর্তমান যুগের কারখানার মালিকগণের পক্ষে মারাত্মক হইয়া উঠিয়াছে । পূৰ্ব্বে কারিকরের সংখ্যা ছিল বহু ও বিস্তৃত এবং শক্তি झिल कम । दांखांtग्नब्र ऊदश् चूकिब्र भिख निका क्रूञ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা তাহার সহজেই সময়োপযোগী কষ্ক্রিয়ী লইতে পারিত। এক্ষণে এক একটি জিনিষ প্রতের জঞ্জ