পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষে গ্রহায়ণ এক একটি বিশাল ধোঁথকারবারের সৃষ্টি হইয়াছে ; তাহার বিরাট আয়োজন। একই ছাদে একই জিনিষ তাহার উদর হইতে রাহির হইতেছে শতে শতে বা সহস্ৰে সহস্ৰে । নুতন ফ্যাশন, নূতন গড়ন একটি চলতি জিনিষকে বাতিল করিয়া দিলে, মূক্তন অবস্থার সহিত নিজেকে খাপ খাওয়ান এই সব বৃহৎ পাক ইমারত ও ঢালাই লৌহ-ইস্পাতের পক্ষে পুৰ্ব্বের স্তায় সহজসাধ্য হয় না । ব্যবসাক্ষেত্রে এমনি একটা অবিচ্ছেদা সম্বন্ধ দেশে দেশে, জাতিতে জাতিতে গড়িয়া উঠিয়াছে, যাহাতে একটা বড় কারখানার অবস্থা কাহিল হইলে তাহার প্রতিক্রিয়া বহু দূর বিস্তৃত হইয়া পড়ে। দৃষ্টাগু দ্বারা বুঝিবার চেষ্টা করা যাক। বাংলার চাষীর অবস্থা হীন হওয়ায় তাহারা পূর্বের স্তায় বস্ত্রাদি জয় করিতে পারিতেছে না এবং ফলে বিলাতি ও দেশী কাপড়ের কলের অবস্থা কাহিল হইয়া পড়িয়াছে। এখানেই শ্যে নহে—কলওআলাদের তুলার প্রয়োজন পুৰ্ব্বাপেক্ষা হ্রাসপ্রাপ্ত হওয়ায় ভারতের ও আমেরিকার তুলার ব্যবসায়ীর অবস্থাও সঙ্গে সঙ্গে দুৰ্ব্বল হইয়াছে। শুধু তাঁহাই নহে, কাপড়ের কলের কারিকর ও মজুরদের অবস্থা হীন হওয়ায় খরচ সম্বন্ধে বাধ্য হইয়া তাহাদিগকে হাত গুটাইতে হইয়াছে । ফলে যে-সব ব্যবসায়ী তাহীদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করিয়া লাভবান হইতেছিল তাহীদের ব্যবসায় ভাটা পড়িতে মুরু করিল। একমাত্র পাটের মুল্য হ্রাস হইতে যে অবস্থার প্রথম মুরু হইয়াছিল তাহার শেষ পরিণতি কোথায় তাহা বলা কঠিন। এক স্থানের জের আজ সারা দুনিয়ায় ছড়াইয়া পড়িতেছে। কারণ দেশকালের ব্যবধান ঘুচিয়া গিয়া সারা দুনিয়া আজ এক হাটে মিলিয়াছে। ব্যবসা-জগতে একের অন্তকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়া চলিবার উপায় আর নাই। বর্তমান অর্থসঙ্কটকে অনেকেই ট্রেড সাইকেল (trade cycle )এরই একটা সাধারণ পর্যায় মাত্র মনে করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহাজের সে ধারণা এতদিনে ঘুচিয়াছে। অবশ্য একথা কেহ অস্বীকার করেন না যে, ব্যৱসাজগতেরও একটা , ভাগ্যচক্ৰ আছে এবং ७ांश •रीब्रिक्लम खेथॉम ७ "ऊनब मषा हि पूबिद्रा চলিয়াছে। উন্নতির পর অবনতি এখানকারও স্বাভাৱিক ૨જી --~e: ఫ్నెర్సి নিয়ম। কোন সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্রুত উন্নতি ও অর্থাগম আরম্ভ হইলেই ব্যবসায়িগণ অধিক লাভের আশায় অতিরিক্ত মাল প্রস্তুত করিয়া বাজারে ছড়িতে সুরু করেন । ফলে মুল্যহ্ৰাস ও লাভের ঘরে শূন্ত পড়িতে থাকে এবং নুতন ব্যবসা-বাণিজ্য পত্তন ও অর্থব্যয়ের সব পথ রুদ্ধ হইবার উপক্রম হয়। এইরূপ অবস্থা আসিলে অবিক্রীত মাল যেকোন মুল্যে ছাড়িয়া দেওয়া ভিন্ন উপায় থাকে না । তখন আবার জিনিষের চাহিদা স্বল্পমূল্যতার দরুন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাইয়া ব্যবসাজগতে নুতন প্রাণ সঞ্চারের স্বষ্টি করে। ইহারই নাম ট্রেড সাইকেল। কতকগুলি লোকের দূরদর্শিতার অভাব, উৎপন্ন পণ্যের আধিক্য, ইত্যাদি সাধারণ কারণে মাঝে মাঝে এরূপ অবসাদ ব্যবসা-জগতে আসিয়া থাকে । কিন্তু বৰ্ত্তমান অবসাদের গুরুত্ব ও বিস্তৃতি যেমন অনম্নভূতপূৰ্ব্ব, ইহার বৈশিষ্ট্যও তেমনই অসাধারণ ; কারণ পণ্যের অভাবনীয়রূপ মুল্যহ্ৰাস সত্ত্বেও বিশ্বের হাটে মালের চাহিদা তেমন বাড়িতে পারিতেছে না । অনেকে মনে করেন অর্থনৈতিক ও বিগত যুদ্ধঘটিত কারণ ব্যতিরেকেও কৃষিজাত পণ্যের মূল্য ও কৃষকের অবস্থার অধোগতি অনিবার্য ছিল । শিল্পজাত পণ্যের প্রয়োজনীয়তার শেষ নাই সত্য ; কিন্তু কৃষিজাত পণ্য সম্পর্কে একথা প্রযোজ্য নহে ৷ মানুষের হজমশক্তির একটা সীমা আছে, ভোজনের রকমারি বৃদ্ধি পাইয়াছে, কিন্তু প্রত্যেক জিনিবের পরিমাণ কমিয়াছে । যানবাহন ও চাষাবাদের জন্ত গরু ও ঘোড়ার স্থান মোটর অধিকার করায় গরু ঘোড়ার জন্ত যে পরিমাণ খাদ্যের আবখ্যক হইত তাহারও আর প্রয়োজন হইতেছে না । কিন্তু অধুন। বিজ্ঞানের কল্যাণে ভাল সার ও উন্নত প্রণালীতে চাষ-আবাদ হইয়া প্রতি একরে উৎপন্ন ফসলের পরিমাণ বহুল পরিমাণে বুদ্ধি পাইয়াছে। এই সব কারণে অনেকে মনে করেন সৰ্ব্বক্ষেত্রে আজি যে অবসাদ দেখা যাইতেছে তাহার গোড়ায় রহিয়াছে কৃষি ও কৃষকের দুরবস্থা । সেখান হইতেই বর্তমান চুৰ্গতির স্থলপাত । তার উপর বিগত লড়াই চারিদিকে বাধানিষেধের স্থষ্টি ক্ষয়িয়া মাৰা-সরস্বরাহের সাধারণ ব্যবস্থাকে একেবারে ওলটপালট করিয়া দেয় । যুদ্ধে নিরত দেশসমূহ .বিভিন্ন দেশে খাদ্যঙ্গক বা সেই সময়কাল্প-প্রয়োজনীয় সকল জিনিষের রপ্তানি