পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ পণ্যদ্রব্য যদি মানুষের ব্যবহার ও ভোগের জন্ত তৈরি হইত এবং দেশের শাসনতন্ত্র যদি তাহা প্রত্যেক ব্যক্তির কাৰ্যকুশলতা ও প্রয়োজন অনুযায়ী বিতরণ করিবার ভার গ্রহণ করিতেন ( যেমন আজ রুশিয়ায় চলিয়াছে ), তাহ হইলে ধনীসম্প্রদায়ের ঘরে বসিয়া টাকায় তা দেওয়া বন্ধ হইত বটে, কিন্তু দুনিয়র বঞ্চিতের কিঞ্চিৎ খাইয়াপরিয়া বঁচিতে পারিত । এই ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত ধনে কাহারও অধিকার থাকিবে না । দেশের কুষি ও শিল্পবাণিজ্য গণতন্থের প্রতিনিধিগণের নির্দেশ অনুযায়ী পরিচালিত হইবে—তাহার ফলভাগী হইবে দেশের সকলে সমভাবে যোগ্যতানুসারে অর্থ থাকিবে না বটে, কিন্তু অভাবও থাকিবে না ; কারণ সকলের সকল রকম অভাব মিটনি হইবে সরকারী ধনভাণ্ডার হইতে । ব্যক্তিগত ধনাধিকার কিংবা কৰ্ম্মক্ষেত্রের স্বাধীনতা বা স্বেচ্ছাচার এ-ব্যবস্থায় স্থান পাইতে পারে না ; কিন্তু আমাদের নিজেদের গভর্ণমেণ্ট যদি আমাদিগকে খাটাইয়া লইয়া পরম যত্ন ও বিশেষ বিবেচনা সহকারে আমীদের দৈহিক মানসিক সৰ্ব্ববিধ অভাব পূরণ করিবার ব্যবস্থা করিয়া দেন, তাহ হইলে সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিকসংখ্যক মানবের সর্বাপেক্ষা অধিক পরিমাণ মঙ্গল হইবে না কি ? যে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হারাইবার ভয় আমরা করিতেছি, বৰ্ত্তমান অবস্থায় মানবজাতির সে অধিকার কি পদে পদে ক্ষুন্ন হইতেছে না ? এই নূতন পন্থী অবলম্বন করিয়া রুশিয়া আঙ্গ আশ্চৰ্য্য ফল পাইয়াছে। সেখানে বেকার-সমস্যা নাই, জিনিষ সেখানে পড়িয়া থাকিতে পায় না । দেশবাসী সকলের সকল অভাব মিটাইয়া যে জিনিষ উদ্বৃত্ত হয় যেকোন মুলো বিক্র.য়র জন্ত তাহারা তাহ বি.দশে চালান করিয়া দেয়। ব্যক্তিগত লাভের জন্ত জিনিষ তাহারা তৈরি করে নাই, লাভক্ষতি বিচার করিয়া বিদেশে জিনিষ বিক্রয় করিবার তহাদের তেমন প্রয়োজন হয় না। জিনিষের বিনিময়ে তাহারা বিদেশ হইতে যাহা পায় তাহাই তাঁহাদের লাভ। ১৯২৯ সালের পর ইউরোপ আমেরিকা সৰ্ব্বত্র যেকারের সংখ্যাবৃদ্ধি পাইয়াছে ও জিনিষের উৎপাদন হ্রাসপ্রাপ্ত হইয়াছে। একমাত্র রুশিয়ায় উৎপন্ন পণ্যের পরিমাণ বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-সঙ্গীর পরেও বাড়িয়া চলিয়াছে। এই গৰ . বর্তমান অর্থসঙ্কট Ro^ দেখিয়া শুনিয়া একদল লোক সমfজ হইতে অর্থের একাধিপত্যকে নিৰ্ব্বাসিত করিতে চাহিতেছেন এবং রুশিয়া-প্রবর্তিত সমাজ ও অর্থনীতির অত্যস্ত পক্ষপাতী হইয়া পড়িয়াছেন। বর্তমান অর্থসঙ্কটের মধ্যে ইহারা ব্যক্তিগত ধনবাদের চিরসমাধির স্বপ্ন দেখিতেছেন । ধন ও ধনী-সম্প্রদায়কে রক্ষা করিয়া যদি এ অবস্থার প্রতিকার করিতে হয় তাহা হইলে সৰ্ব্বপ্রথমেই ধন বা অর্থের থামখেয়াল ও স্বেচ্ছাচারকে বন্ধ করি.ত হইবে । অন্তথা বৰ্ত্তমান সামাজিক ব্যবস্থাকে রক্ষা করিবার আর অন্ত পন্থা নাই। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মুদ্র, বিভিন্ন মুদ্রার বিভিন্ন মুল্য, পরস্পরের মুলামধ্যে আবার অনিশ্চয়ত, পৃথিবীর মুদ্রাসমষ্টির হ্রাস-বৃদ্ধি ইত্যাদি কি করিয়া মানুষের সকল হিসাবকে পণ্ড করিয়া দিয়া ব্যবসাবাণিজ্যকে খৰ্ব্ব করে তাহার পরিচয় আমরা পূৰ্ব্বেই কিঞ্চিৎ দিয়াfছ * অর্থের এই সৰ্ব্বনেশে থেলা বন্ধ করিতে হইলে প্রথমেই আস্তর্জাতিক সহযোগিতার একান্ত আবণ্ঠক । সেইজন্তই লড়াইয়ের পর জেনেভা কনফারেন্সে স্বর্ণমান পুনগ্রহণের প্রস্তাব তাড়াতাড়ি গৃহীত হয় । ইহার ফলে স্বর্ণমান পরিহারের দরুন বিভিন্ন দেশের মুদ্রমধ্যে বাট্ট বা বিনিময়ের হার লইয়া যে অনিশ্চয়তার উদ্ভব হইয়াছিল তাহা বিদূরিত হইল বটে, কিন্তু সকল মুদ্রার সমষ্টিগত মুলোর স্থিরতা লাভ করা গেল না । কারণ বিভিন্ন মুদ্রামধ্যে পরম্পরের আপেক্ষিক মূল্য নির্দিষ্ট হইয়া গেলেও পৃথিবীর মুদ্রা বা অর্থের মোট পরিমাণ স্থির রাখিতে না পারায় মুদ্রমূলাও স্থির রহিল না। সমগ্র পৃথিবীর মোট মুদ্রার পরিমাণ একটি সংখ্যাদ্ধারা নির্দেশ করিয়া দিতে হইলে সকল দেশের গভর্ণমেণ্ট ও সেন্টাল ব্যাঙ্কের একমত হইয় একযোগে কাজ করিতে হইবে । কিন্তু বিভিন্ন দেশের মনোবৃত্তি বর্তমান সময়ে যেরূপ ঘোরতর পরস্পরবিরোধী ও ঈৰ্ষাপরায়ণ হইয়া উঠিয়াছে তাহাতে সেই সম্ভাবনা স্বপূর পরাহত । বিভিন্ন দেশ ও তাহদের ব্যাঙ্কসমূহ একমত হইলেও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থের পরিমাণ বিগত বন প্রবাসীর কক্ষসক লভিলছন্ত ब्रूज़नौठि" थक्ख जडेका ? • *