পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐদ্বিজেন্দ্রলাল ভাতৃড়ী পাত্রের বয়স বছর ষোল এবং পত্রিীর বয়স নয় কিংবা দশ। পাত্র আমি স্বয়ং এবং পাত্রী হইতেছে আমার মামার মনিব পল্লীবাসী কোন এক ছোট-খাট জমিদারের তৃতীয় বা চতুর্থ কষ্ঠা। অতএব এখানে মাতুলই ঘটক বলা বাহুল্য। তিনি মায়ের কাছে কম্ভর বিবরণ দাখিল করিলেন, “মেয়ের বয়েস তো এখন তেমন কিছু হয়নি। তব বলতে পারি রং বেশ পরিষ্কার, মুম্ব-চোখ-মাকও মোটের ওপর ভালই। মেয়ের গড়ন খারাপ এ-কথা কাউকে বলতে শুনিনি। বয়েসকালে দেখে নিয়ো এ-মেয়ে কেমন সুন্দরী হ’য়ে দাড়ায় ।” তাহার বক্তব্যের সরলার্থ হইতেছে যে, এই আম্র-মুকুলের অনতিসৌরভের মধ্যেই তাহার ভাবী মিষ্টত্ব-সম্ভাবনার প্রাচুর্য মুস্পষ্টরূপেই ব্যক্ত । | মা মামার সহোদরা, তদুপরি একাধারে নারী ও মাতা । সুতরাং কন্সার এবম্বিধ রূপবর্ণনায় তাহার মনটা ভিজিয়া কাদীর মত নরম হইয়া ওঠাই স্বাভাবিক । তত্ৰাচ মামা রূপের সঙ্গে গুণেরও একটা আন্দাজ দিলেন এবং সে গুণাবলী রীতিমত কঁচি, অতএব গড়িয়া-পিটিয়া মনোমত ধরণে পাকা করিয়া লওয়া চলে,-ইহা জানাইতেও ক্রটি রাখিলেন না। তারপর পরিশিষ্টরূপে যোগ করিলেন, “বলেছে দেবে-থোবে মন্দ নয়। ওঁদেরও হাত খুব আছে ।” ইহার পর যে-কেহ অসংশয়ে বলিতে পারে, আমার মায়ের মনসচক্ষুর সামনে ভাবীকালের কতকগুলি সুদর্শন इदि औन् नििश् चालिङ्ग इखिङ्ग श्रॆांश्, बग्नर्ज्ञे চলচ্চিত্রের চঞ্চল চিত্ৰলেখার মত। আমি তাহার দৃষ্টাস্তও দিতে পারি, যথা-ছোট্ট একটি ফরসা রঙের মেয়ে, ভূরে-শাড়ী পর, মা’র সঙ্গে সঙ্গে ফাই-ফরমাস খাটির ঘুরিতেছে ফিরিতেছে। ছুটির জাকেন কোরীর মুখে চোখে ՀԵ-ոԳ - - ফুটয় উঠতেই মা হাসিমুখে দরখাস্ত মঞ্জুর করিতেছেন, “যাও মা, এখন একটু খেলা করে গে।” কিংবা, ছেলে-বেীয় তাদের বিবাদ-বিসম্বাদে তাহাকেই সালিসি মানিয়াছে, এবং তিনি বিচারের তুলাদণ্ড হাতে লইয়া অত্যস্ত গম্ভীর হইয়া বলিতেছেন, “তোদের জালায় আমি আর পারি না বাপু ” এমনি করিয়া ছবির পর ছৰি ইচ্ছামত আঁকিয় যাওয়া চলে কিন্তু ছবিগুলোকে সত্যকারের করিয়া তোলা নির্ভর করে ইহার আবেদনটুকু যোগ্যস্থানে সার্থকভাবে পৌছাইয়া দেওয়ার উপর। সে যোগ্যস্থান এই ক্ষুদ্র সংসারচক্রের মুলাধারে ; সেখানে বসিয়া আছেন একটি কর্ত, নিক্রিয় পুরুষ মানুষ,—স্বল্পভাষী এবং নির্বিবরোধী ব্যক্তি ; দশে-পাচে থাকেন না,—তবুও তাহার গাম্ভীর্যের ছায়া কিংবা স্মিতহাসির ছিটাফোট চক্রের গতিনির্দেশ নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দেয় । অতঃপর সময় বুঝিয়া কথাটা বাবার কানে উঠিল। বাবা বলিলেন, “ছেলে যে অত্যন্ত ছেলেমানুষ ” মাও সায় দিলেন, “ছেলেমানুষ তো বটেই। তাই ব’লে কি তোমার ছেলের আর বিয়ে হবে না ?” মাতুলও সেখানে উপস্থিত । তিনি মুর দিলেন, “তোমার ঘরও নেহাৎ খারাপ নয়। ওঁদের অবস্থা বেশ ভালই। কুটুম্বিতায় কিপটেমি করতে কখনও দেখি নি। অস্ক মেয়েদের বিয়ে তো আমার চোথের সামনেই হয়েছে, খরচ-পত্তর সবই আমার হাত দিয়েই হয়েছে।” বাবা মন দিয়া শুনিলেন, তারপর অতি সংক্ষেপে উত্তর দিলেন, “বড় ছোটঘর ।” উত্তর সংক্ষিপ্ত কিন্তু তার তাৎপৰ্য্য অস্পষ্ট নয়। মামা যুক্তি থাড়া করিলেন, “ওঁদের সব কাজই কুলীদের ঘরে

  • হয়েছে। সেদিক থেকে আজকালকার যুগে ওঁদের কুলীন .

यड क्लेरल-छीन ?” - t