পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৬ কোমলে এসে পৌছেছি। কবিযশঃপ্রার্থী তরুণ রবীন্দ্রনাথের এরই মধ্যে বাংলা-সাহিত্যের আসরে লক্ষীনের স্থান নিদিষ্ট হয়ে গেছে, কিন্তু এই লেখাগুলির মধ্যে বাংলার পল্লীর আস্তর ত নয়ই—বহিঃপ্রকৃতিরও বিশেষ জায়গা হয় নাই। প্রথম কারণ সাক্ষাৎ-পরিচয়ের অভাব, দ্বিতীয় কারণ গ্রন্থ-সমালোচনা, গান, কাব্য, নাটক ইত্যাদিতে প্রথম বয়সের আবেগ ও উচ্ছসি যথেষ্ট অবসর পাচ্ছিল । আমাদের পক্ষে এটা ভালই হয়েছিল, কারণ এর পর যখন রবীন্দ্রনাথ পল্লী-চিত্রের মুখোমুখি আসবার সুযোগ পেলেন তখন মনের ভিতরে, এবং বহিরে প্রকাশ-ভঙ্গিতে যথেষ্ট পরিণতি এসে গেছে, সুতরাং সেই চিত্রগুলি হয়েছে যেমন মধুর তেমনি সাবলীল । ১৮৮৪ সালের মে মাসে, অর্থাৎ বাইশ-তেইশ বছর বয়সে, কৰ্ত্তবাবু, দাদা ও বৌদি সমভিব্যহারে নিজেদের ‘সরোজিনী জাহাজে চড়ে গঙ্গা বেয়ে লম্বা পাড়ি দেবার ব্যবস্থা হয় । সেই যাত্রায় গঙ্গার দুই তীর তার চোথে যেমন ঠেকেছিল তা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই লেখা হয়, এবং আমার মনে হয় এইখনেই অfমরা প্রথম যখনকার-দেখা তখনকার-লেখা বাংলার নিভৃত দৃষ্ঠের বর্ণনা পাই। আমি আগেই বলেছি যে রবীন্দ্রনাথের লেখার সবচেয়ে বড় স্তুতি হবে সেই লেখাটি অবিকল উদ্ধৃত করা, সুতরাং এখানেও তাই করি— SDBBS BBB BBB DD eKBS BBB BBBBBB S শান্তিপুরের দক্ষিণ হইতে আরম্ভ করিয়া গঙ্গাতীরের যেমন শোভ এমন আর কোথায় আছে ! গাছপালা ছায়া কুটীয় নয়নের আনন্দ অবিরল সারি সারি দুই ধারে বরাবর চলিয়াছে—কোথাও বিরাম নাই। কোথাও বা তটভূমি সবুজ স্বাসে, আচ্ছন্ন হইয়া গঙ্গার কোলে আসিয়া গড়াইয় পড়িয়াছ, কোথাও বা একেবারে নদীর জল পৰ্য্যন্ত ঘন গাছপালা লতাজালে জড়িত হইয় ঝুকিয়া আসিয়াছ --জলির উপর তাহদের ছায় অবিশ্রাম; দুলিতেছে। কতকগুলি স্বৰ্য্যকিরণ সেই ছায়ার মাঝে ঝিকমিক করিতেছে, আর বাকী কতকগুলি, গাছপালার কম্পমান কচি মন্থণ সবুজ পাতার উপরে চিকচিক্‌ করিয় উঠতে ছ। একটা বা নৌকা তাহার কাছাকাছি গাছের গুড়ির সঙ্গে বাধা রহিয়া:ছ। সে সেই ছায়ার নীচে, অবিশ্রাম জলের কুলুকুলু শব্দে, মৃদু মৃদু দোল থাইয়া বড় আরামের ঘুম ঘুমাইতেছে। তাহার আর এক পাশে বড় বড় গাছের স্থনচ্ছায়ার মধ্য দিয়া ভাঙা ভাঙা বাকী একটি পদচিহ্নস্থ পথ জল পর্যন্ত নামিয়া আসিয়াছে। সেই পথ দিয়া গ্রামের মেয়ের কলসী ক্ষাখে BB DBBB BBBS BBBBS BDD DHHH SBBBS BBB ছোড়াছড়ি করিয়া ভারি মাতামাতি করিতেছে। L. প্রাচীন ভাঙাঘাটগুলির কি শোভ , মানুষের যে এ ঘাট বাধিয়াছে তাঁহা একরকম ভুলির বাইতে হয় ; এও যেন গাছপালার •৫ প্রবাসীস্ট ఏరి3Sa भड श्रृंक्रांडौण्ड्रग्न निऊच ! देशंद्र वफ़ राज्र क्वांछtत्लग्न भश निम्न আশখগাছ উঠিয়াছে, ধাপগুলির ইটের ফঁাক দিয়া স্বাস গজাইতেছে। বহু বৎসরের বর্ষার জলধারায় গায়ের উপর শেয়ালা পড়িয়াছে, এবং তাহার রঙ চারিদিকের খামল গাছপালার রঙের সহিত কেমন সহজে মিশিয়া গেছে। মানুষের কাজ ফুরাইলে প্রকৃতি নিজের হাতে সেট সংশোধন করিয়া দিয়াছেন ; তুলি ধরিয়া এখানে ওখানে নিজের রঙ লাগাইয়া দিয়াছেন। অত্যন্ত কঠিন সগৰ্ব্ব ধবধবে পারিপাটা নষ্ট করিয়া ভাঙাচোর। ৰিশৃঙ্খল মাধুৰ্য্য স্থাপন করিয়াছেন। * * * গঙ্গাতীরের ভগ্ন দেবালয়গুলিরও যেন বিশেষ কি মাহাত্ম্য আছে। তাহার মধ্যে আর দেবপ্রতিমা নাই । কিন্তু সে নিজেই জটাজুটবিলম্বিত অতি পুরাতন ঋষির মত অতিশয় ভক্তিভাজন ও পবিত্র হইয়া উঠিয়াছে। এক এক জায়গায় লোকালয়—সেখানে জেলেদের নৌকা সারি সারি বাধা রহিয়াছে। কতকগুলি জলে, কতকগুলি ডাঙায় তোল, কতকগুলি তীরে উপুড় করিয়া মেরামত করা হইতেছে ; তাঁহাদের পাজরা দেখা যাইতেছে । কুড়ে ঘরগুলি কিছু ঘন ঘন কাছাকাছি—-কোনো কোনোট বাকাচোরা বেড়া দেওয়া— দুষ্ট চারিটি গরু চরিতেছে ; গ্রামের দুই একটা শীর্ণ কুকুর নিষ্কৰ্ম্মার মত গঙ্গার ধারে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে ; একটা উলঙ্গ ছেলে মুখের মধ্যে আঙুল পুরিয়া বেগুন ক্ষেতের সামনে দাড়াইয়া অবাক হইয়া আমাদের জাহাজের দিকে চাহিয়া আছে। হাড়ি ভাসাইয়া লাঠি-বাঁধ ছোট ছোট জল লইয়া জেলের ছেলের ধারে ধীরে চিংডি মাছ ধরিয়া বেড়াইতেছে। - আবার আর একদিকে চড়ার উপরে বহুদূর ধতিয়া কাশবন— শরৎকালে যখন ফুল ফুটিয় উঠে তখন বায়ুর প্রত্যেক হিপ্নোলে হাসির সমুদ্র তরঙ্গ উঠতে থাকে। হ্যাস্তের নিস্তরঙ্গ গঙ্গায় নৌকা ভাসাষ্টয়া দিয়া গঙ্গার পশ্চিম পারর শোভ যে দেখে নাই সে বাংলার সৌন্দর্য দেখে নাই বলিলেও হয়। এই পবিত্র শাস্তিপূর্ণ অনুপম সৌন্দয্যচ্ছবির বর্ণনা সন্তৰে ন! --- (সরোজিন প্রয়াণ—ভারতী ) এতথানি পড়ে যেতে একবারও কোথাও আটকায় না, এবং মনেই পড়ে না যে আমরা একটা দৃশু-বর্ণনা পড়ছি । একেই যথার্থ বলা যেতে পারে চিত্র। এর কিছু দিন পরে—-কবির বয়স তখন ছব্বিশ–জীবনে যা-কিছু কাম্য তার অপ্রমিত প্রাচুর্য্য অবধি আনন্দ এবং পাশাপাশি প্রিয়বিয়োগের গভীরতম দুঃখ, দুই মিলে যখন তার মনের পরিণতির প্রায় আর কিছু স্বাকী রাখে নি, তখন একদিন গরুর গাড়ী চড়ে পেশোয়ার অভিযানের বদলে তলব এল বোটে করে জমিদারী পর্যবেক্ষণের। পেশোয়ার অভিনেট হ'লেও একটা অদ্ভুত রকমের মুম্বর কিছু আমরা পেতাম নিশ্চয়ই, কিন্তু তার বদলে শিলাইদ, সাজাদপুর অভিধানের ফলই আমাদের আজকের আলোচনার সবচেয়ে বড় পৰ্ব্ব। এখন থেকে সাত-আট বৎসরের মধ্যেই আমাদের আলোচ্য বিষয়ের চরম ফুরি। এই কয়েক বৎসর রবীন্দ্রনাথ বাংলায় পল্লী-প্রকৃতির