পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سss b প্রাণে মোর শক্তিধারী, মনে হইতেছে মুথ অতি সহজ সরল— ( সুখ-চিত্র ) একটির পর একটি যতই চিত্র উণ্টে যাই, মন ক্লাস্ত বা বিমুখ হয় না, আরও নূতনতর চিত্রের জন্ত উন্মুখ হ’য়ে ওঠে । এ-পীরের সন্ধা-বর্ণনায়— cश्ङ्ग बूज नौठीएब्र সুগুপ্রায় গ্রাম। পক্ষীরা গিয়াছে লীড়ে, শিশুর খেলে না ; শূন্ত মাঠ জনহীন ; ঘরে-ফের শ্রান্ত গভী গুটি দুইতিন কুটীয় অঙ্গনে বাধা ছবির মতন শুদ্ধপ্রায় । গৃহকার্য হ’ল সমাপন— কে ওই গ্রামের বধু ধরি বেড়াখানি সম্মুখে দেখিছে চাহি, ভাবিছে কি জানি ধূসর সন্ধ্যায়। ও-পারের সন্ধ্যা আরও চমৎকার-- সমস্ত অপর মাঠের উপর একটি ছায় পড়েচে—একটি কোমল বিষাদ-ঠক অশ্রুঞ্জল নয়—একটি নিনি মেষ চোখের বড়ে বড়েী পল্লবের লীচে গভীর ছলছলে ভাবের মত । এমন মনে করা যেতে পারে—ম পৃথিবী লোকালয়ের মধ্যে আপন ছেলেপুল, কোলাহল এবং ঘরকরনার কাজ নিয়ে থাকে, যেখানে একটু ফাক, একটু নিস্তব্ধতা, একটু খোলা আকাশ, সেইখানেই তার বিশাল হৃদয়ের অম্ভনিহিত বৈরাগ্য এবং বিষাদ ফুটে ওঠে, সেইখানেই তার গভীর দীর্ঘনিঃশ্বাস শোনা যায় । ( ছিন্নপত্র—৪৬ পৃ. ) কোন জিনিষ যথার্থ উপভোগ করতে গেলে তার চার দিকে অবসরের বেড়া দিয়ে বিরে নিতে হয় । কখনও শিলাইদহে, কখনও কালিগ্রামে, কখনও সাজাদপুরে রবীন্দ্রনাথের দিনগুলি প্রায় পরিপূর্ণ অবসরের মধ্যে কাটছিল, সুতরাং শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষ, শরৎ একে একে আসত আর প্রত্যেকটিকেই তিনি পূর্ণ আনন্দের সঙ্গে ডেকে নিতেন । শীতের মধ্যাস্থের একটি চিত্র পাই কালিগ্রাম—৫ই মাহ, ১৮৯১এর চিঠিতে— বেশ কুড়েমি করবার মতো বেলটি: কেউ তাড়া দেবার লোক নেই, যেন পৃথিবীতে অত্যাবস্তক কাজ বলে কিছু নেই। এখানকার চতুর্দিকের ভাবগতিকও সেই রকম। একটা ছোট নদী আছে বটে, কিন্তু তাতে কাণাকড়ির স্রোত নেই, সে যেন আপন শৈবালদাময় মধ্যে জড়াভূত হয়ে অঙ্গ বিস্তার ক’রে দিয়ে পড়ে পড়ে ভাবচে যে যদি না চললেও চলে তবে আর চলবার দরকার কি ? জলের মাঝে মাঝে যে জলজ মাস আর উদ্ভিদ জন্মেছে, জেলের জাল ফেলতে নৃঃ এলে সেগুলো সমস্ত দিনের মধ্যে একটু নাড়া পায় না ---বারে। ঘণ্টা পড়ে পড়ে কেবল রোদ পোছায়, এবং অবশিষ্ট বায়ে খন্ট খুব গভীর অন্ধকার মুড়ি দিয়ে নি:শব্দে নিদ্রা দেয় । ঋতুর মধ্যে বর্ষা কবির চিত্তকে যেমন নাড়া দিয়েছে এমন আর কোনটি ময় । কখনও পদ্মা, কখনও ইছামতী প্রবাসী ; ఏరిES কিংবা গোরাই নদীর ওপর বাসকালে বর্ষার বে অন্তরঙ্গ মূৰ্ত্তি কবি দেখেছিলেন তার প্রচুর বর্ণনা রয়েছে, খরস্রোতা পদ্মার উপর চারিদিকে যত দূর দৃষ্টি যায় অথৈ জলের মৃত্য, ঝুপঞ্চাপ বৃষ্টির শব্দ, পাছপালা নদী সব ঝাপসা একাকার, কোথাও বা গাছের মাথা-জাগা দু-একটা গ্রাম ; ছোট নদীগুলির ভরাযৌবনে তীরের কেতকী কদম্ব গাছের তলা-ছোয়া জলের ছলছলানি, গৃহস্থ বধুদের জলে ভিজে ভিজে কাজ করা, এই সমস্ত চিত্র অজস্র পাই । সোনার তরীর— পত্নপীয়ে দেখি আঁকি তরুছায়া মসী-মাখ গ্রামখনি মেঘে ঢাক প্রভাত বেলা * ভর ভাদরে’র কদম্ব গাছের সার চিকণ পল্লবে তার গন্ধে ভর। অন্ধকার হরেছে ঘোরালে ইত্যাদি মাত্র দু-একটি দৃষ্টান্ত । বর্ষার পরে আসে মেঘমুক্ত সুন্দর শরৎ, সোনালি আলো গাঢ় সবুজ আর নিৰ্ম্মল নীলে ভরা। তখন প্রাচুর্য্যে প্রকৃতির শোভা ধরে না-- মাঠে মাঠে ধান ধরে নাক’ আর পারে না বহিতে নদী জলধার--- হয়ত ধানের ক্ষেত থর থয় ক’রে কঁপিচে—আকাশে সাদ! সাল মেখের শুপ-তারি উপর আম এবং নারিকেল গাছের মাথা উঠেচে-লারকেল গাছের পাতা বাতাসে যুর ঝুর করচে–চরের উপর দুটি একটা ক’রে কাশ ফুটে ওঠার উপক্রম করেচে। ঘরে ঘরে মিলনের আগ্রহ, এবং শরৎকালের এই আকাশ, এই পৃথিবী, সকাল বেলাকার এই ফিরবিরে বাতাস, এবং গাছপালা তৃণগুল্ম নদীর তরঙ্গ সকলের ভিতরকার একটি অবিশ্রাম সম্বন কম্পন— সমস্ত মিলিয়ে কবির চিত্তকে অপূৰ্ব্ব ভাবে অভিভূত এবং কাণায় কাণায় পূর্ণ ক’রে ফেলত। আমাদের আলোচ্য বিষয়ের প্রথম ভাগ অর্থাৎ নিছক পল্লীদৃপ্তের চিত্র সম্বন্ধে আলোচনার এইখানেই শেষ । কারণ শিলাইদ-যুগের পরে আর কোন লেখায় এরকম চিত্র পাই না । এর পরের সমস্ত লেখায় যেখানে প্রকৃতিকে আঁকতে হয়েছে সেখানে এই যুগের প্রকৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার गांश्या झवर्णश् cशो* श्tद्र ५rनरह । * ऐंठमांश्ब्रण-कार्य