পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నిలిచి আমার এই সাজাদপুরের দুপুর বেল গল্পের দুপুর ধেলা : দুপুরের উত্তাপ, নিস্তব্ধতা, নির্জনত, পার্থীদের, বিশেষতঃ কাকের, ডাক এবং সুন্দর সুদীর্ঘ অবসর—সবশুদ্ধ আমাকে উদাস ক’রে দেয়। এই সময়ে এই টেবিলে ব'সে আপনার মনে ভোর হয়ে "পোষ্ট-মাষ্টার’ গল্পটি লিখছিলুম। আমিও লিখছিলুম এবং আমার চারিদি কর অালে বাতাস ও তরু-শাখার কম্পন তাদের ভাষা যোগ ক'রে দিচ্ছিল। পোষ্ট-মষ্টিার বলে একটি লোক ছিল বটে, তাকে মাঝে মfuঝ রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে গল্প করতে দেখা যেত বটে, কিন্তু গল্পের পোষ্ট-মাষ্টারের সঙ্গে তার যোগমাত্র ঐটুকু ৷ তfর মধ্যে রতন’ মেয়েটি এবং মোটের উপর গল্পের করুণ ভাবটি-কবির সম্পূর্ণ নিজস্ব। এই ধরণের গল্পগুলির মধ্যে আখ্যান বলতে প্রায় কিছুই নেই, আছে শুধু চিত্র এবং সে চিত্রের মধ্যে পল্লী-দৃশ্ব না মানুষগুলি—কোনটি যে বেশী মনোযোগ আকর্ষণ করবে তা সব সময় ঠিক ক'রে ও যায় না । যেমন—ঘটের কথা’ গল্পটিতে নদীর ধরি, পুরনো ঘাট, না "কুসুম”—কোনটি সে চিত্রের আসল বস্তুভাগ তা ঠিক করা যায় না এবং তার জন্তে আনন্দের কিছু ক্রটিও হয় না । ছুটি গল্পের করুণ বেদনার চিত্রটি অপূৰ্ব্ব, কিন্তু এটিরও গোড়ায় রয়েছে একদিনকার চোখে-দেখা ছেলেদের খেলাধুলার চিত্র। গল্পটির আরস্তে দেখি ব লঞ্চ-সঙ্গর ফটিক তার সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে নদীর ধারে প’ড়ে-থাক মস্ত একটা মাস্তুল গড়ানোর খেলায় মগ্ন । খেলায় বাধা উপস্থিত করল ছোটভাই মাখন—সে গিয়ে মাস্তুলটার উপর চড়ে বসল। খেলায় বাধা পাওয়াতে ফটিক চটে গেল খুব, এবং মাখন কিছুতে নাম ত রাজী না হওয়ার ফলে তাকে যুদ্ধ গড়িয়ে দিয়ে খেলার আমেদ ঘে'ল আনা থেকে আঠারে আনায় পৌছান হ’ল। ঠিক এই রকমের একটি দৃশ্ব এর আগে রবীন্দ্রনাথের চোখে পড়েছে ( fছন্নপত্র, ৭৯ পৃ. ) এবং এই সমান্ত বাস্তব ভূমিকা থেকে মুরু ক’রে বোটে বসে আপন অবসর মিলিয়ে বে গল্পটির স্বষ্টি হয়েছে তা অপূৰ্ব্ব । ‘মুভ’ গল্পটিতেও দেখি তাই—চণ্ডীপুরের গৃহস্থঘরের মেয়টির মত ছোট নদীটিই সত্য হয়ত প্রকৃতির মেয়ে বোবা মুভার মত কেউ নজরে পড়ে থাকবে, হয় ত বা নয়। সাজাদপুরে একদিন ঘাটে অনেক মেয়েছেলের জটলা হয়েছে, কে যেন কোথায় যাবে তাদের মধ্যে একটি মেয়ের প্রতি কবির মনোযোগ বিশেষ ক’রে আকৃষ্ট হ’ল । মেয়েটির বয়স বছর বারো-ভেরো, কিন্তু স্বাস্থ্যের গুণে একটু বড়ই দেখাচ্ছে । দেথৰার বিষয় হচ্ছে তার ছেলেদের মত ক'রে চুল-ছাট, এবং বুদ্ধিমান, সপ্রতিভ, সহজ ও সরল, আধা-ছেলে আধা-মেয়ের মত ভাব। পরে এই মেয়েটিই সমাপ্তি গল্পের মুখী-রূপে প্রকাশ পেয়ে ছ। এবং গল্পের খাতিরে আর যেকটি চরিত্র কৃষ্টি করতে হয়েছে তার মধ্যে বি-এ পাস গ্রাম যুবক অপূৰ্ব্ব রায়ও অন্ত সকলের মতই এক জন । মেঘ ও রৌদ্র’ গল্পটিতে শশীভূষণ ও গিরিবালা অনেকখানি জায়গা জুড়ে আছে বটে, কিন্তু সেই যে সেদিন “আকাশে মেঘ ও রৌদ্র পরস্পরকে শিকার করিয়া ফিরিতেছিল”–এই চিত্রটি গোড়া থেকে শেষ পৰ্য্যন্ত আমি দর মনে গাঁথি থেকে যায় | এই রকমের উদাহরণ দিতে গেলে একটার পর একটা থালি বেড়েই চলে । এদের মধ্যে দিয়ে আমার বলবার কথা হচ্ছে যে, এই গল্পগুলিতেও আমরা যে চিত্র পাই তা সেই মানুযগুলির চেয়ে সেইখানের এবং সেই সময়ের বহিঃপ্রকৃতির সমস্ত ছায়া, আলোক, বর্ণ ধ্বনিকেই যেন বেশ ক’রে ফুটিয়ে তুলছে । যে-সব দৃশ্ব, লোক, ঘটনা কল্পনা করা হয়েছে তাদের চারিদিকে সেই একই নদীস্রোত, রৌদ্রবৃষ্টি, নদীতীরের শরবন, সেই বৰ্মার আকাশ, ছায়াবেষ্টিত গ্রাম, জলধারা প্রফুল্ল শস্তের ক্ষেত, সেই মেঘমুক্ত বর্ষার স্নিগ্ধ রৌদ্র রচিত ছোট নদী গাছের ছায় এবং গ্রামের অগাধ শাস্তি সৌন্দৰ্য্য ও সজীবতায় মিশে ফুট উঠেছে । - নিছক গ্রাম্য-জীবন সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের যা-কিছু অভিজ্ঞতা তা দূর থেকেই, কারণ তিনি থাক,তন গ্রাম থেকে দূরে—নদীর ওপর, কিংবা কাছারিবাড়ির দেউড়ির ভিতর ‘জ্জমিদার ব হাদুর’ রূপে । তবু সেখান থেকেই এই জীবনর যা চিত্র এ কেছেন তা এক তিনি বলেই সম্ভব হয়ে ছ। পাড়ীয়ের ব্যস্তত:হীন মন্থর জীবন-যাত্রার কথা বলতে গিয়ে এক জায়গায় লিখেছেন— এখানকার জীবন ফ্রজ এড়িমের মত ষ্ট্রাস-ক্বাস করি কিৰ ७ब्रडाब्राऊाख श्रद्राग्न श्राष्ट्रौञ्च काकाङ्गे भए फॉर्डमान कब्रिरङ कनिष्ठ कलिलश् न । श्राइव उज' रिश ७कईशनि नैौटन निशं★ cयमन ছ:রায় ছায়ায় কুল ফুল করিয়া যায়, জীবন তেমনি রুন্সিয়া যাইতেছে। ‘লোক-সাহিত্য” ও “গ্রাম্য-সাহিত্যে সংগৃহীত ছড়াগুলির