পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ লেজৰ্ণ-সুইজারল্যাণ্ড ২৩৫ চামড়ার রংও বদলাইয়ছে এবং দৈহিক শক্তিও বাড়িয়াছে । এই সিদ্ধান্তের সঙ্গ সঙ্গে তিনি নিজের শরীরেও রোদ লাগাইতে শুরু করেন । ইহাই তাহার সূর্যোপসনরি ভিত্তি । আব একটা ( সাধারণের দৃষ্টিতে সীমান্ত ) ঘটনায় সূর্যরশ্নির উপকারিত সম্বন্ধে তাহীর ধারণ হালকটিক ট্রেন যাইতেছে দঢতর হয় । তাহার কুকুরের পিঠে একটা গুল্ম । tumour ) তাহার ছাত্রাবস্থা হইতেহ অস্তুবিদার প্রতি আস্থা ছিল। কাজেই কুকুরের পিঠে ছুরি চালাইলেন এবং অস্ত্রোপচারের পর যত্নসহকারে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাণ্ডেজ বাধিয়া দিলেন । কিন্তু তাহার রোগটি কিছুতেই ডাক্তারের বা ডাক্তারের বাণ্ডেজের মর্যাদা রাখিল না । সে বিনা দ্বিধায় বিনা সঙ্কোচে দতি এবং নখের সাহায্যে ব্যাণ্ডেজ ছড়িয়া নিশ্চিস্ত হইল। ডাক্তারও ছাড়িবার পাত্র নহেন । পুনরায় রোগীর পিঠে ব্যাণ্ডেঞ্জ চাপিল । রোগীও কম বেহায়া নয় । এমন সুন্দর ব্যাণ্ডেজ অল্পক্ষণের ভিতরেই টুকরা টুকরা হইয়া ধুলিবিলুষ্ঠিত হইল। প্রত্যহই এই ব্যাপার চলিতে লাগিল । তার পর এক দিন রোলিয়া হঠাৎ লক্ষ্য করিলেন, রোগী নিৰ্ব্বিকীরচিত্তে তাহার পিঠে রোদ লাগাইতেছে-ক্ষতস্থান সম্পূর্ণ অনাবৃত । এই ভাবে রোদ হয় | লাগাইয়া কয়েক দিনের ভিতরেই কুকুরের ক্ষত সম্পূর্ণ শুকাইয়া গেল । বিখ্যাত অস্ত্রচিকিৎসক কোচার ( Kocher ) ছিলেন ডাক্তার রোলিয়ার গুরু । এই কোচারঈ সৰ্ব্বপ্রথম অস্ত্রেপচার দ্বারা আংশিকভাবে থাইরয়েড, গ্রাণ্ডের অপসারণ করেন। ইহার হাতঘশ অদ্ভূত এবং অসীম ছিল। কিন্তু গুরুর শিষ্যত্বকালেই রোলিয়া উপলব্ধি করিলেন যে কোচীরের ছুরি ব্যাধি-মুক্ত করে বটে, কিন্তু পঙ্গুত্ব নিবারণ করিতে পারে না, এমন কি অস্ত্রেপচারের ফলে মৃত্যুও ঘটি ত পারে। এই উপলব্ধি ঠাহীর মনে প্রবল ড়েয়ারী—ণের্জা আঘাত করে । পঙ্গুত্ব আর মৃত্যু রোধ করিতে পারে না এই অস্ত্রোপচার—তবে ? অগাষ্টের এক বন্ধু সিড়ির উপর পড়িয়া গিয়া আঘাত পাওয়ার ফলে কটিদেশে টিউবারকুলেসিস হয়। রোগী মনে করিলেন, বিশ্রাম লইলে আরোগ্যলাভ করিবেন । কিন্তু কোন ফল মা হওয়ায় কোচারের নিকট গমন করেন—সুইজারল্যাণ্ডের রাজধানী বেয়ান নগরে। কোচার ছুরি চালাইয়া অতি সন্তপণে বীজাণু দ্বারা আক্রাস্ত ও বিধ্বস্ত অংশসমূহ সম্পূর্ণরূপে