পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৭ ‘লেষ্ট্রেশিদ হোটেল ভবিতব্য । থ্যাতি ফুরু করেন । ইহাই গ্ৰাম লেজা চিকিৎসা-জগতে অনন্ত কৰিবে ইহাই নিশ্চয় বিশ্বনিয়স্তার বিধান নতুবা ঘটনা-পরম্পরায় রোলিয়ার এই ক্ষুদ্র গ্রামে গ্ৰাম্য চিকিৎসকরূপে চিকিৎসা আরম্ভ কোন হেতুই ছিল না । তিনি এই সামান্ত গ্রামে আড়ম্বরশ্বন্ত চিকিৎসা আরম্ভ করিলেন । সীমান্ত গ্রাম, তার নিজের যন্ত্রীfদও সীমান্ত এবং উপযুক্ত ঔষধপত্র এবং অন্তান্ত উপকরণেরও যথেষ্ট সম্ভব । তবুও চিকিৎসা চলিল— অস্ত্রোপচার, ধাত্রীবিশ্ববিযয়ক । ( Obstetrician ), প্রস্থতিবিদ্যাবিষয়ক iynaecologist ) সকল প্রকার চিকিৎসাই তাঁহাকে করিতে হইত। কিন্তু শহরের সংস্কার তখনও সম্পূর্ণ দূর হয় নাই ; তাই তিনি দেখিয়া আশ্চর্য হইলেন যে, এত অপরিচ্ছন্নতার ভিতরেও রোগীরা বেশ সহজেই আরোগ্যলাভ করিতে লাগিল। অস্ত্রোপচারে ক্ষত বেশ শুকাইতে লাগিল, প্রস্থতিরাও সহজেই সুস্থ হইয়া উঠতে লাগিলেন । অথচ শহরের অভিজ্ঞতায় তিনি দেখিয়াছেন সৰ্ব্বপ্রকার সাবধানতা সত্বেও সৰ্ব্বত্র পতনক্রিয়া (Repsis ) প্রতিরোধ করা যায় না" কেন এমন হয়,—রোলিয়া দিনরাত ভাবিতে লাগিলেম । ভাবিতে ভাবিতে এই মর্মীয় চোখেয় সামনে ভাসিয়া উঠিল চিকিৎসা-বালসা ক্ষুদ্র লভি ছিল, স"ধরণ কধর ছেলেবেলার খেলার সার্থীদের ছবি— তাহারা সব ছিল রোদে-পোড়া, কোনদিন আহ্লখ করে নাই। ভাসিয়া উঠিল সেই কুকুরের স্বৰ্য্যচিকিৎসার দৃশু, আর সেই আত্মঘাতী হতভাগ্য বন্ধুর ছবি কোচারের মত অস্ত্রচিকিৎসকও তাঁহাকে নীরোগ করিতে পারিলেন না— তাহাকে মৃত্যুর হাত হইতে রক্ষা করিতে পারিলেন ন! ! তবে উপর কিরূপে ভরসা আবার অন্তদিকে লেজার রোগীদের প্রভাবে এত ঘশস্বী অস্ট্রোপচারের করা যায় ? চোখের সমনে দৃষ্ঠ । কি এ অদ্ভুত শক্তি যাহার দারুণ অপরিচ্ছন্নতার ভিতরও এত সহজে রোগীরা নিরাময় হইয় উঠে ? ভাবিতে লাগিলেন আর ক্রমশঃ যেন সব পরিষ্কার হইতে লাগিল । এদিকে তার প্রেয়সীও ক্রমশঃ লেজ"ার আবহাওয়া ও সূর্যরশ্মির গুণে সুস্থ সবল হইয়া উঠিলেন । এই মহিলাকে এখন দেখিয়া কেহ বলিতে পারিবে না ত্রিশ-পয়ত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিতে মরণাপন্ন হইয়াছিলেন । রোলিয়ার মনে কোন দ্বিধা রহিল না, বুঝিলেন স্বর্যরশ্মির অদ্ভূত এবং অনন্ত ক্ষমতা, তাই তিনি এই শক্তিকে মানুষের হিতার্থ নিয়োজিত করিতে বর্তী হইলেন । আজ ত্রিশ বৎসরের উপর হইল রোলিয়া তাহার এই ব্ৰতে ব্ৰতী আছেন । এই সুদীর্ঘ ক’লের ভিতর কত মৃতপ্রায় রোগীকে এই সঞ্জীবনী শক্তিদ্বারা পুনর্জীবিত করিয়াছেন, কত রোগীকে পঙ্গুত্ব হইতে রক্ষা করিয়াছেন তাহার ইয়ত্তা নাই। মানবসমাজ এই মহাপুরুষের কাছে চিরঋণী থাকিবে । রোলিয়ার প্রশস্ত বক্ষ, সুদীর্ঘ শক্তিমান দেহ দেখিয়া কেহ ধারণাও করিতে পারিবে না ইহার বয়স আটিযটি বৎসর। চলনভঙ্গী দেখিলে মনে হয় শক্তিশালী যুবক । শরীরের চামড়া রোদে পুড়িয়া অনেকটা আমাদের চামড়ার রং ধারণ করিয়াছে। রোদের সময় তিনি ছাতা ব টুপী ব্যবহার করেন না। সদাপ্রফুল্ল মুখ, মিষ্ট ছাড়া কখনও কটু কথা ক।