পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سیtج No • প্রবামী • ఏన98S সম্পূর্ণ আশা ও আনন্দের সহিত সম্পন্ন করে। এ-বিষয়ে মনের তৃপ্তিই তাহদের প্রধান সহায় । তাহারা যে ভারতবর্ষের কৃষকদিগের মত পুরাতন কৃষি-পদ্ধতি অনুসারে অল্প পরিমাণ জমি চাষবাস করিয়া যে যে কারণে অপেক্ষাকৃত সচ্ছল অবস্থায় আছে, তাহা ভারতের কৃষকদিগের অনুকরণের যোগ । মুক্তি শ্ৰী আশালতা দেবী Ry ঘরের মধ্যে ক্ষীণ দীপের আলো । বিছানার পায়ের কাছে একফালি জ্যোৎস্না আসিয়া পড়িয়ছে । চন্দ্রকান্ত শয্যায় গুইয়া ছিলেন । র্তাহার শরীর পূৰ্ব্বের চেয়েও ক্ষীণ । মুখ পাণ্ডুর । নিৰ্ম্মলা শিয়রের কাছে বসিয়া তাহার মাথার চুলে হাত বুলাইতেছিল । তাহার চোখের কোণে কালিমার রেখা, মুখের ভাবে ধীর গভীরতা । আগেকার নিৰ্ম্মলার সহিত এখনকার নিৰ্ম্মলার অনেক তফাৎ । তখন তাহাকে দেখিলে মনে হইত, সে যেন অনাস্ত্ৰাত পুপের মত কুসুমকুকুমার ! তখন তাহার ঘনপল্লব চক্ষুর মধ্যে ছিল কেবল স্বচ্ছ অতলতা । এখন সেই কালো চোখে বেদনার নিবিড় সজলতা এবং করুণার স্নিগ্ধতা আসিয়া নামিয়াছে। সব জড়াইয়া আগেকার নিৰ্ম্মলায় যেটুকু অপূর্ণতা ছিল এখন আর তাহা নাই। তাই তাহার মুখের কাস্তি নানা দুশ্চিন্তায়, রোগীর সেবায়, রাত্ৰিজাগরণে স্নান হইলেও রূপের প্রভা আরও পরিপূর্ণ, পরিস্ফুট হইয়াছে। চন্দ্রকাস্তের অম্বথ যে সারিবার নয়, এখন সে কথাটা তাহার পরিবারের সকলের কাছেই দিনের আলোর মত স্পষ্ট হইয়া গিয়াছে। বিশেষ করিয়া কয়েক দিন হইতে র্তাহার শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ হইয়াছে। কিছুক্ষণ বিছানায় এপাশ-ওপাশ করিয়া তিনি ডাকিলেন, "নিৰ্ম্মল!’ “কি বলছ বাবা ? ‘আমি বেশ বুঝতে পেরেছি আমি আর বেশী দিন বচিব না। কিন্তু শাস্ত হয়েই আমি যেভূম, কেবল শাস্ত হ’তে পারছি নে তোমার কথা ভেবে । সেই এতটুকুটির থেকে আর কাউকে তোমার কাছে আসতে দিই নি। নিজেই তোমাকে ঘিরে ছিলুম। আজ আমার ভুলটা বে হয়েছে কোনখানে, তা বেশ স্পষ্ট ক’রে বুঝতে পেরেছি।’ নিৰ্ম্মল! চোখের জল সংবরণ করিয়া লইয়া স্থিরকণ্ঠে কহিল, তোমার আবার ভূল হয়েছে কোনখানে বাবা ? যদি আমার জীবনে কোথাও গেলি বেধে থাকে সে আমারই দেয় । কিংবা আমীর ভাগ্যের দোষ |’ ‘না না, তা নয় । তোমার মত ভাল কারও ভাগ্য নয় মা । আমার ভুলের কথাটা কেন আজকাল প্রায়ই আমার মনে হয় জান, আমি নিজের জীবনের সমস্তটাই আগাগোড়া এখন দূর থেকে দর্শকের মত দেখতে পাই। আগে এমন বিচ্ছিন্ন হয়ে দেখতে পেতুম না । তাই অনেক কথার অর্থই অস্পষ্ট ছিল । কিন্তু মৃত্যু বত এগিয়ে আসছে, ততই এখন আমার কষ্টের সঙ্গে আমার যেন বিচ্ছেদ হয়ে আসছে। কোন জিনিষের মধ্যে জড়িয়ে থাকলে তার ভালমন্দ তেমন বোঝা যায় না । কিন্তু অনেকটা দূর থেকে দেখলে তার ভুলভ্রাস্তি বাকীচোরা সবই চোখে পড়ে, আমার অবস্থা হয়েছে এখন সেই রকম ? ‘বাবা, আজকাল তুমি এত বেশী কথা বল কেন ? *আর কারও সঙ্গে ত বলিনে মা ! তোমার সঙ্গেই বলি । আমার ভুলের কথা তোমার কাছে স্বীকার করে না গিয়ে, তার সংশোধনের উপায় ঠিক ন ক’রে আমি ত মনে শক্তি পাব না ? ‘আজ তুমি ক্রমাগত ঐ একই কথা বলছ ?