পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NළැNVH কেবল কাগজে স্বহস্তে লিথিয়া দিয়া গিয়াছে, সে স্বেচ্ছায় সাননো সজ্ঞানে এই কাজ করিয়াছে। পাশের ঘর হইতে লুষ্ঠিত মাতার অবরুদ্ধ ক্ৰন্দনধ্বনি ভাসিয়া আসিতেছে। ঘরে আপাদমস্তক গায়ের কাপড়ে ঢাকিয়া চন্দ্রকান্ত মৃতের মত নিশ্চল হইয়া পড়িয়া আছেন। মাথার কাছে বালিশের উপর মুখ গুজিয়া নিৰ্ম্মলা বসিয়া আছে । বাহিরে জুতা খুলিয়া রাখিয়া বামিনী নিঃশব্দ পদসঞ্চারে পা টিপিয়া সেই আলো-অন্ধকারময় ঘরে ঢুকিল । তথাপি যেটুকু শব্দ হইল, তাহাতেই চন্দ্রকান্ত চমকিয়া উঠিয়া কহিলেন, ‘কে কে ? সে আবার এল নাকি ৷” নিৰ্ম্মলা মুখ তুলিল। তাহার দুই চোখের নীচে নিকষকৃষ্ণ পাথরের মত কলিমা । সে বলিল, “না না, সে ত নেই। সে ত মরে গেছে ? ঘামিনী তাহার মুখের দিকে চাহিতে পারিল না । বিছানার উপর বসিয়া পড়িয়) কহিল, “নিৰ্ম্মলা, আমাকে ক্ষমা কর । ক্ষমা কর । আমাকে SS8S সেই ক্ষীণ আলোয় কাহার চক্ষু দিয়া অজস্র জল ঝরিয় পড়িতে লাগিল। যামিনী নিজের অজ্ঞাতসারে সেই রেদিন প্লাবিত বিবশ মস্তক দুই হাতে নিজের কাছে টানিয় আনিল । চন্দ্রকাস্ত ক্ষণকালের জন্ত চক্ষু মেলিয়া থামিয় থামিয়া অনেক কষ্টে কহিলেন, “তোমাদের এই মিলন স্থায়ী হোক, সত্য হোক। আর যেন না তোমাদের বিচ্ছেদ হয়। নিৰ্ম্মলা, আমি তোমাকে মুক্তি দিয়ে গেলুম। আমার সংসারকে মুক্তি দিয়ে গেলুম। আমার বঞ্চিত, বার্থ, অভিশপ্ত জীবনের ছায়ায় আর যেন না তোমাকে বিড়ম্বিত হ’তে হয় । এই মুক্তি তোমার জীবনে সার্থক হোক মা ? নিৰ্ম্মলা তাহার বুকের উপর মাথা রাখিল । চন্দ্রকাস্তের নিঃশ্বাস ধেন আরও ক্ষীণ হইয়া আসিল । ঘামিনী সস্নেহে নিৰ্ম্মলার রুক্ষ চুলের রাশির উপর হাত রাথিয় কহিল, "নিৰ্ম্মলা, কেঁদ না । ওঠ । এখনও যে উনি বেঁচে আছেন। তুমি যে আমাকে ক্ষমা করলে, আমি যে দয়া কর *ি তোমাকে পেলুম, তা ওঁকে ভাল ক’রে দেখে যেতে দাও।” (সম"প্ত। কনে-বড শ্রীফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় নরম নরম, নীলাম্বরীটি ময়ুরকষ্ঠ পড় কে জানে কে ওকে কিনে দিয়েছিল— কি যে আননা তার ! সৗরদিনটাই প’রে থাকে আর উঠানে বেড়ায় ঘুরে, ছুটি পয়ে ওর রুপার ঝাঁঝর বীজ মনটানা সুরে । বোনটি আমার, ভাইটি আমার থাকে ওর কাছে কাছে ; আমি শুধু ভাবি, ‘বাব কি যাব না, $: যেতে আছে কি না আছে" লজ্জা-সরম বুঝি কি তখনও—? তবু লজ্জাই হবে, কোন দিন আমি যেতে পারি নাই সঙ্গীর গৌরবে । মনটা কেবলই পিপাসিত হয়ে ঈর্ষা জাগতি মনে, আমি শুধু ওর থেলার সঙ্গী হই নাই কি কারণে ! চালাঘর থেকে জনলিfর ফীকে আড়চোখে চোখে দেখে ওর কথা, ওর হাসি, ওর সব নিয়েছিন্ন গায়ে মেথে,— তবুও দেখার পিপাসা মোট নি, নিরজনে পেলে কাছে, অাদরে সোহাগে দিয়েছি আমার যাকিছু দেবার আছে ।