পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথের পত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Alfred Place W. South Kensington. London, S. W. কল্যাণীয়েমু, এবারকার মডার্ণ রিভিয়ুতে একটা ভুল খবর বেরিয়েছে। গিনি আমাকে দেখলেই পায়ের ধূলা নিয়ে প্রণাম কবেন তিনি ইণ্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে ছিলেন না । তিনি কি, ও কে, আমি বলব না, তাহলে তোমরা কাগজে বের ক’রে দেবে। রোটেনষ্টাইন ঠিক জানতেন না তাই আমাকে ভুল বলেছিলেন। অতএব সেটা বেন সংশোধন করা হয় । ও সংবাদটা পড়ে আমার অত্যন্ত লজ্জা বোধ হ’ল । ওটা কি প্রকাশ করবার যোগ্য ? আমি এ পৃথিবীতে প্ৰণাম বাটিয়ে চলতে চাই ; যদি পাই তবে সেটা প্রকাশ করতে ইচ্ছা করি নে—কেননা, ওটা কিছুতেই সামীর পাওনা নয় । পুথিবীতে কবির দাবির উচ্চ সীমা কোলাকুলি পৰ্য্যন্ত—প্ৰণামের দ্বারা তার জাত যায়—আমি কবি ছাড়া যে আর কিছু নই সে বিষয়ে কোনো সন্দেহমাত্র নেই । আমি তোমাদের হৃদয়ের সমভূমিতেই দাড়াতে চাই—সেইথানেই আমার যথার্থ স্থান—উচ্চভূমিতে আমি সম্পূর্ণ অনাবশ্যক । আমি তোমাদের বার-বার বলেছি আবার বলছি—আমাকে ভুল আসনে তোমরা বসিয়ে না— সেটা হয়ত সম্মানের জায়গা হতেও পারে কিন্তু তেমন অসুখের জায়গা আর কিছু নেই—যে পাগড়ি মাথায় হয় না সেই পাগড়ি পরার মত—সৰ্ব্বদা মনে হয় পড়ে যাবে এবং মাথা ধরে ও.ঠ। আমি তোমাদের বন্ধু, কিছু দেব, কিছু নেব । যদি আমার ভাগ্যক্রমে দেওয়া-বিষয়ে আমার ড়িত হয় তবু সে বন্ধুত্বেরই দান, সুতরাং তার জন্তে ফিরে আমি কিছু দাবি করব না । গুরুর পদ আমার নয়, নয়, নয়। Aি নিজে কিছু শিখি নি এবং কাউকে শেখাতেও ব না ; আমি পৃথিবীতে সব জিনিষ যেমন করে তেমনি করেই দিয়েছি অর্থাৎ নিতান্ত পড়ে-পাওয় ভাবে—তার যদি কিছু দাম থাকে সে দামের পাওনা আমার নয় । বর্গসে সম্বন্ধে একটি চটি বই তোমাকে শীঘ্ৰ পাঠাব । সেটা ভারি চমৎকার, সহজে ওঁর মতটা ব্যাখ্যা ক’রে দিয়েছে। উনি যে দিকটা দেখিয়েছেন সেটা খুব চমৎকার-কিন্তু অন্ত দিকটাকে একেবারে অস্বীকার করবার কোনো মানেই নেই। গতি-তত্ত্বও যেমন সত্য, স্থিতি-তত্ত্বও তেমনি সত্য—এবং সেইজন্তেই গতিকেও আমরা স্থিতিরূপে ছড়ি বুঝতেই পারি নে—সেট কেবল মাত্র আমাদের বুদ্ধিবৃত্তির মীয়া নয় —সেটা সত্য ব’লেই তার হােত আমরা এড়াতে পারি নে । তোমাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কল্যাণীয়েষ্ণু, আজ এখানকার একটি পাড়াগারে কিছুদিনের জন্তে যাচ্ছি। সেখানে গেলে বোধ হয় একটু সময় পাওয়া যাবে। এখানে কিছুমাত্র অবকাশ ছিল না । আজ তাড়াতাড়ি, তোমাদের চিঠি লিখে দিচ্ছি । তোমার চিঠি পেয়ে খুশি হলুম। তোমার সেই তৰ্জমীর কথা পূর্বেই লিখেছি। তুমি আমার সেই কবিতা তর্জমার কথা জিজ্ঞাসা করেছ । সেগুলো এদের সকলের বিশেষ ভাল লেগেছে সে সংবাদ এত দিনে শুনে থাকবে । তোমরা যে-কট দেখেছিলে তায় পরে জাহাজে অনেকগুলো লিখেছি, এখানে এসেও কম লেখা হয় নি। সবসুদ্ধ বোধ হয় একশোটা পেরিয়ে গেছে। সেই লেখাগুলো নিয়ে ইয়েট্স নৰ্ম্মাণ্ডি গেছেন। সেখানে বসে তিনি তার একটা introduction লিখবেন—তার পরে ইণ্ডিয়া সোসাইটি থেকে সেটা ছাপা হবে। সেদিন উপফোর্ড ক্রসের সঙ্গে দেখা হয়েছিল । তিনি মামার লেখাগুলি manuscriptএ