পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిఖీషి ং প্রবাসন § ఏ98S নয় দুটি । একজোড় । দম্পতি উহারা ! পাশাপাশি এ উহার গায়ে হেলন দিয়া রহিয়াছে। লোক দুটিও দেখিল—একটি সাপ নয় দুটি ! মারিতে হইলে দুটিকে একসঙ্গেই শেষ করিতে হইবে ! লোক দুটি পুনৰ্ব্বার প্রস্তুত হইয়া উঠিতে উদ্যত হইয়াছে’. হঠাৎ বনমালী তাহদের ইঙ্গিতে বসিতে বলিল । বনমালী বাশী বাজাইতে বাজাইতে আস্তে আস্তে পিছনে হটিতে লাগিল। লোকদুটিও সঙ্গে সঙ্গে পিছাইয়া আসিতে লাগিল। তার পর নৌকার কাছে আসিতেই বনমালী নৌকার উপর লাফাইয়া উঠিয়াছে ; লোকজুটিও উঠিল। নৌকাতে উঠিয়া দেখা গেল—বহুদূরে সাপটে বনর মধ্যে কোথায় অগ্রগু হইয়া গেল।--নৌকা ছাড়িয়া দিল --- নৌকায় উঠিয়া বনমালী একটাও কথা বলে নাই। চুপ করিয়া গলুইয়ের কাছে উদাস দৃষ্টিতে আকাশের দিকে চাহিয়া বসিয়া ছিল --- লোক দুটি বনমালীর অসঙ্গত আচরণ বুঝিতে পারে নাই । কাছে আসিয়া বলিল—কি হ’ল বাবু-মারলেন না নে ? বনমালী বলিল—ওদের কি মারতে আছে ? এক জোড়া এসেছিল—ওরা যে স্বামী-স্ত্রী— সত্য-সতাই প্রাণ গেলেও উহাদের বনমালী কখনও মারিতে পারিত না ! একটা যদি আসিত তবে হয়ত মারা সহজ ছিল। কিন্তু এক জোড়া—স্বামী-স্ত্রী উহারা— জন্তু হউক আর যাহাই হউক—উহাদের মারা বড় নিষ্ঠুর কাজ কৰে এক বাধ কোন এক পক্ষী-মিথুন মারিয়া ঋষির শাপে ত সারা জীবন ভবঘুরে হইয়া বেড়াইল—ম্বর পরিবার নীড় রচিবার অধিকার তাহার জীবনে হইল না—: শেষে কি বনমালীও তেমনই অভিশাপ কুড়াইবে । উহার দু-জনে মুখে থাকুক—মনুষ্য-বিবর্জিত দেশে উহারা স্বাধীন চিত্ত্বে ঘুরিয়া বেড়াক-মানুষ কেন উহাদের দেশে জাসিয়া অনধিকারপ্রবেশ করিবে ! মানুষেরই অষ্ঠীয়-- গল্প শেষ করিয়া বনমালী চুপ করিল। আশা বলিল—তার পর ? —তার পর বাণীটা নিয়ে অনেক দুর নদীর জলে ছুড়ে ফেলে দিলাম ; সেই থেকে বাঁশী আর ছুই নে—ও সৰ্ব্বমেশে স্বাণী অব স্বাক্ষীষ্ট নে ... - ইহার পর আশা আর বনমালী দু-জনেই খানিক ক্ষণ চুপ করিয়া রহিল । রাত্রি অনেক হইয়াছে । জলের শ্রোত প্রায় স্থির হইয়া আসে-আসে । আর ঘণ্টা-দুই পরেই জোয়ার আসিবে । আকাশের গায়ে শুক্লা-একাদশী চাদ সার নদীটিকে রূপালী পাতে মুড়িয়া দিয়াছে ; থমৃথমে আবহাওয়া ; মাঝিরা গল্প করিতেছে আস্তে আস্তে । এধীরে আশার একস্ত কাছাকাছি বসিয়া আছে বনমালী ! কাছাকাছি বসিয়া আছে বটে, কিন্তু মন তাহার চার বছরের উজান ঠেলিয়া বহুদুর পশ্চাতে চলিয়া আসিয়াছে --- লোকান্তরের প্রান্তসীমার একটি চঞ্চল প্রতিমতী মুখ স্মরণ করিয়া বনমালীর বুকখানা ভাঙিয়া যাইতে লাগিল। তবু আজ সে সুষমাকে ভুলিতে বসিয়াছে—আশা আসিবার পর হইতে মুষমাকে তাহার খুব কমই মনে পড়ে--- আশা হঠাৎ কথা বলিল— আচ্ছা, দিদি তোমাকে খুব ভালবাসত, না ? বনমালী fক উত্তর দিত কে জানে ! হঠাৎ ওধার হইতে এক জন মাঝি সুর করিয়া গান। ধরিল। আগেকার সেই গানটি ! কোন বিরহী যেন, বলিতেছে—ও গো রঙ্গিল নায়ের মাঝি, তুমি. ত কত, দরিয়া পাড়ি দাও—তুমি কি আমার বন্ধুর খবর রাখ ? যদি তাহার দেখা পাও ত বলিও--আমি তাহার পথের দিকে চাহিয়া এখনও বসিয়া আছি—তাঁহাকে আমি ভুলিতে পারি, নাই—আর বলিও, তাহার জন্ত আমি সারা জীবন এমনই বসিয়া থাকিব ••• গান শুনিতে শুনিতে হঠাৎ বনমালী মনে মনে গর্জন করিয়া উঠিল ; মিথ্যা কথা ! সমস্ত মিথ্যা ! কেহ কাহারও জন্ত বসিয়া থাকে না 1•••কেহ কাহাকে চিরকাল মনে রাখে না! সবাই ভুলিয়া যায়।...ভুলিয়া যায় সবাই— চোখের আড়াল হইলেই সব ভালবাসা সব প্রেম ধূলিসাৎ হইয়া যায়। সুষম যাইবার পর আশা আসিয়াছে—আশা চলিয়া গেলে আর এক জন আসিবে বিরহ মিথ্যা । --প্রেম মিথ্য-সব মিথ্যা—কেহ কাহারও নয়— সবাই একক-- অননুভূত এক বিচ্ছেদ-বেদনা আসিয়া কখন অজ্ঞাতসারে, THllu u u u L BBB S