পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিদির দুঃখ ক্রীপ্রমীলা দেবী

  • াল-কঁঠালের শাখায় শাখায় বনলতার শুমসমারোহে পাহাড়ের কুত্র রুক্ষ মূৰ্ত্তি আর দেখা যায় না। তারই পাদদেশে ছোট বাড়ি, মনে হয় খেলাঘর। অদূরে ব্ৰহ্মপুত্রের ধূসর বেষ্টনী। নীলাকাশতলে বনানীর 4ামলতার সহিত গৈরিক বালুচরের মিলন-লীলায় মুগ্ধ অনিলের সেই ছোট বাড়িতে থাকিয়াও মনে হয় এ তার কানন-স্বৰ্গ, আর শচী তার বনলক্ষ্মী।

শচীর মন কিন্তু ভোলে না—এর চেয়ে মনোহর তাদের সেই আমতলার বাড়ি। নাইবা রইল সেখানে নদী, পাহাড়, তবু কেমন ছায়াশীতল—ঘন বৃক্ষচ্ছায়ায়। হোকনা ভাঙাচোরা তবুও শচীর জগতে তার চেয়ে মনোরম স্থান আৰু নাই। পাশেই সেনেদের পরিত্যক্ত বাড়ি। পাড়ার ছেলেমেয়েদের খেলার আড্ডা সেখানে। শূন্ত ভিটাগুলি তাহাদের কুমীরকে এড়াইবার উপযুক্ত ডাঙা,খেলার কুমীরের কাল্পনিক নদীটিও অতি বৃহৎ । শৈশবের যত মাধুর্য্য সেখানেই ত সঞ্চিত । ফুল তুলিতেও শচীরা দেখানে ছুটিত । অযত্নবন্ধিত অপরাজিতার লতাটিও ফুলে নীল হইয়া থাকে, শিশুমন মুগ্ধ করিতে ক্ষীণকায়া কুঞ্জলতায় লাল ফুল ফোটে। বাগানের শেষ প্রান্তে ঠিক পুকুরের ধারটিতে জলে ডুবিয়া-মরা সেনেদের ছোট মেয়েটকে ষে বেীতলে রাখা হইয়াছে—শচীরা নিত্য সেখানে ঘূরিয়া আসিত একবার। রেলিঙে-ঘেরা স্থানটিতে ছোট মেয়েটিকে স্নেহ দিতে বিরিয়া আছে শুধু চারিটি ফুলগাছ । আহা ধাত্রাকালে অসহায়া কস্তাকে স্মরণ করিয়া মেয়েটর মা'র কি কারা r মনে করিলে এখনও শূচীর চোখে জল আসে। সেই একাকিনী বালিকার জন্তই অপরায়ে মঞ্জস্র সন্ধামালতী জাগে। শচীর কাছাকেও সে স্কুল ছুইতে তি তুলিত। ঐ স্কুলের কেন শুভ্রতাই ত মহাদেৰ খুনী। শুধু মধুলোভে চঞ্চল ছোট ভাই-বোনদের ভয়ে কাঠদিয়াজোড়া বটপাতায় সঞ্চিত ফুলগুলিকে সযত্নে লুকাইতে হয়, এই যা মুস্কিল। নিঃসঙ্গ প্রবাসে মধুভরা সেই দিনগুলি শচীর স্মৃতিতে উজ্জ্বল হইয়া আছে। নিঃসঙ্গ বইকি ! অনিলের সারাদিন কাজ, মধ্যাহ্নে একবার খাইতে আসে শুধু সন্ধ্যার অবসরটুকুও তার পাশার আড্ডায় কাটে। দেহের ক্লাস্তি ঘুচাইতে সেই তার একমাত্র স্থান। বাড়ি ফিরিয়া খাইতেও তার তর সয় না। সারা দিনে শচীর তাই প্রচুর অবসর। সামান্ত কাজ-ছোট বাড়ি, দুখানি, মাত্র ঘর শচীর নিপুণ করম্পর্শে ঝকঝকে পরিষ্কার। কাজশেষে পাহাড়ের দিকে রাল্লার একচালার পাথরের সিঁড়িটিতে দাড়াইয়া শচী পাহাড়ের দৃষ্ঠ দেখে। পাহাড়ের গায়ে আরও সব বাড়ি। শচীদের বাড়ির মাথার সবচেয়ে কাছে লতাপাতা-ঘেরা বে বাড়িটি, শচীর মনে হয় হাঙ্ক বাড়াইলেই ছুইতে পরিবে যেন সেটিকে। যে ফিরিঙ্গিপরিবার সে-বাড়িতে আছে তাদের গৃহিণীর চাল-চলঙ্গ শচীর কাছে কৌতুহলজনক দৃপ্ত বলিয়া মনে হয়। কিন্তু এদিকে তার বেশীক্ষণ থাকিবার হুকুমনাই। ফিরিঙ্গিদের উপর কেনই বে অনিলের এত অশ্রদ্ধা শচী তাহা ভাবিয়া পায় নিসর সন্ধায় ওদেরই হালিগান আর নামসজিানা কোন বাজনার টু টাং শব্দ শচীর নিস্তদ্ধ গৃহে সঙ্গী হই দাঁড়ায়। নির্জন মধ্যাহেও নিজেকে তার বড়ই একাকিনী মনে হয় শোবার বর হইতে রান্নাঘরের মাধানের একঙ্কালি আঙিনায় ও ঘুরিয়া ঘুরিয়া বেড়ায়। এক কোণে জীৱ । স্নানের ঘর। একখানি কালে পাথর अक्नौंलग्न কেক্ষ সমতল হইয়াছে। তারই চারিদিকে বেড়া-দেও, gS BB BB BBB BB BBBBBB BBDD DDD DDB BB BB BB BBB DDS DDS BBB BDDD DD DDS DD BBBBDDS DDD DDDD DDDD DDD BBBu BBBS BB BBBD DBB BBB BBB u BB BBuSi BBBB BB BB DDD DD DDDDS *、