পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nご"8 ఎని8ఏ কথাটা ঠিক, ইন্দ্রাণীর তুলনায় শচী যেন ुनरीन । उारान् হৃদয়ের কানায় কানায় উপচাইয়া পড়িতেছে—শচীর সর্থীর দুরন্তপন তার ধাতেই আসে না । १वाज़िर পাশে এত সুন্দর জায়গা থাকিতে ইন্দ্রাণীর যখন বালুচরে পিকনিক করিতে সাধ যায়, তখন শচী বাধা না-দিয়া পারে না । কিন্তু ইন্দ্রাণীর অসীম উৎসাহ । জ্যোৎস্নালোকে জলে-ভেজা কালো বালুচরের পাশে রূপালি নদী ঝলমল করিতে থাকে, উতলা পবন কচিৎ বনফুলের মৃদ্ধ মধুর সৌরভ বহিয়া আনে। তবু সযত্নপরিস্কৃত তরকারিপাতিতে যখন বালি কিছু কিছু করিতে থাকে, তখন শচীর বিরক্তি ইন্দ্রাণীর কলহাস্তের ঋঙ্কারকে ছাপাইয় ওঠে। ইন্দ্রাণী সে-সব গ্রাহ করে না । শচীকে একপাশে সরাইয়া সে নিজে হাতে সব করে। স্বামীরাও সেখানে নিমন্ত্রিত 1 রান্নার ভার ইন্দ্রাণীর । আনাড়ি হাতে রাধিয়া খাওয়াইবে বলিয়াই না এত আয়োজন ! কিন্তু শচীকে একদণ্ড বসিতেও দেয় না সে। কখনও ডাকে-কাণ্ডু না ভাই, গেল বুঝি খিচুড়িটা ধরে, হাতা চালা না একটিবার। নদীর দিকে উপবিষ্ট অশোক হয়ত চেচাইয়া বলে,-রান্নাটা না-হয় ওঁর হাতেই ছেড়ে দাও । দিনরাত যত খুশী উপদ্রব সয়েই থাকি— রসনার উপর অত্যাচারটা না হয়— ইন্দ্রাণী ঝাঝিরা উঠে ; শচীকে বলে,—ছুস্ নে ত ভাই, দেখা যাবে পাতে কিছু প'ড়ে থাকে কি না । শচী হাসিয়া সরিয়া যায়। পরমুহূৰ্ত্তে আবার ডাক পড়ে, চাটনীতে কি-ফোড়ন দিতে হয় ভুলে গেলুম যে, ব’লে দেনা ভাই ।” হাসি কথায় ইন্দ্রাণী সবাইকে অস্থির করিয়া তোলে । বেচারা অশোককেও তাহার কাছে হার মানিল চুপ করিতে হয়। তবু ইন্দ্রাণীর ব্যবহারে লেশমাত্র তিক্ততা শচী খুজিয়া পায় না। পৃথিবীর মালিন্ত তাহার সখীর অস্তরে কোথাও যেন ঠাই পায় নাই । ঘন বর্ষণশেষে নির্মেঘ চন্দ্রলোকের মতই তাঁহা সকলের মনকে ছুইয়া যায়। বাড়ি ফিরিয়াও শচী তাই সখীর তুচ্ছতম হাসি কথাটুকু বার-বার অনিলের নিকট বর্ণনা করে। অনিল যখন বলে, তোমার সই ছাড়া জগতে আর কিছু আছে ? তখন লজ্জিত হইয়া শচী চুপ করে। নিরুপার ? শচীর জীবনে সর্থীপ্রেমের ভাগীরথীধারায় এ ষে তটপ্লাবন । প্লে-খোরস সাধ্য নাই তাঁহাকে গোপন করিয়া রাখে । এত সুখের মধ্যেও ভাইকে অনিবার কথা শচী ভোলে নাই। অনিলও চেষ্টায় ছিল। কিছুদিনের মধ্যেই নটু আসিয়া পড়িল । সে সবচেয়ে ছোটটি নয়। কোলের ছেলেকে মা ছাড়িতে পারেন নাই। তাই সেজো ভাই নটু আসিয়াছে। বছর-চৌদ্দ তার বয়স, কিন্তু মুখে অত পাকামী না থাকিলে চেহারায় বা শিক্ষায় তাহার বয়স আন্দাজ করা যাইত না । যা হোক শচীর উদেশ্ব পূর্ণ হইবে এবার । লেখা-পড়া সে বয়স-অনুপাতে কিছুই জানে না । পাঠশালায় যাইত কি না জিজ্ঞাসা করিয়া শচী উত্তর পাইল—পরনে যাদের বস্তোর জোটে না তার আবার স্তাকাপড়া । তবু শচীর খুশীর অস্ত নাই। মা'র কথা ভাইবোনদের কথা সে খুটিয়া জিজ্ঞাসা করে । গুলু আসিতে পায় নাই বলিয়া মা’র উপর অভিমানে কেমন মুখ ভার করিয়াছিল তাহ বার-বার শুনিয়াও তার তুপ্তি হয় না । কথাবাৰ্ত্তার অন্তরালে নটুর লেখাপড়ার কথা শচীর মনে সজাগ হইয়া আছে । অনিলের সঙ্গে স্কুলে দেওয়ার পরামর্শ চলিতেছে। তার আগে একটু ঘসিয়া-মজিয়া দিতে হইবে। নটুর কিন্তু লেখা-পড়ার দিকটা পছন্দ নয়। তার চেয়ে জামাই বাবুর সোঁখন জিনিষগুলি পছন্দ হয় বেণী । শচী সকরুণ চিত্তে ভাবে, আহা কখনও কিছু পায় নি ত । নটুর পড়ায় অনিচ্ছায় তাহাকে মনে মনে পীড়িত করিয়া তোলে। লেখা-পড়ার একটু মন যদি ওদের থাকিত! মেজ ভাইটি নাকি পড়ার সাশ্রব একেবারেই ছাড়িয়াছে। নটুই বলে মেজদার কিছু হবে না—এর মধ্যেই সে মাকে জিজ্ঞেস না-ক'রে কোথায় যে চলে যায়, মা শুধু কঁাদেন । মেজদা বলে, পরের বই নিয়ে কেউ আবার পড়তে পারে, লেখাপড়া শেখে—সব উপকথার গল্প । ইহাদেৱ কথাবার্তা শুনিয়া শচীর ক্ষোভ-দুঃখের সহিত বিস্ময়েরও সীমা থাকে না। তারাও অনেক কট ভাইবোন শৈশবে মীর দুঃখের অন্ন বঁাটিয়া খাইত। কিন্তু এমনি ধার কথাবার্তা তার শেখে নাই। মারই হবে, 器 बश्ष्ण cझ्णब्रो ७मनिषांश रुद्र ? भौ ८श्न गर्न भइन ।’

  • *