পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোষ ভারতে মনঃসমীক্ষণ Nరికన్స్గా .sys Ato, On the History of Psycho-analytical Jforement ®* vf •* The Problem q^ Layanalysis পুস্তকে নিজের স্মৃতিকথার মধ্যে মনঃসমীক্ষার ইতিহাস সম্বন্ধে যথেষ্ট আলোচনা করেছেন । এ ছাড়া তার বহু কৃতী ছাত্র এবং সহকৰ্ম্ম উক্ত বিষয়ে বহুস্থানে যথেষ্ট বিচার করেছেন। এখানে ফ্রয়ডীয় তত্বের মূলকথা সংক্ষেপে বলা আবশ্যক । ফ্রয়ডীয় তত্ত্ব মানসিক ব্যাধিগ্রস্তদের সুস্থ করার উদ্দেশ্রে আরম্ভ হয়েছিল, কিন্তু যখন এই বিদ্যা পরিবর্তিত ও পরিবর্দ্ধিত হয়ে মনঃসমীক্ষা বিজ্ঞানে পরিণত হ’ল তথন তার প্রযোজ্যতা ও প্রয়োগের পরিধি অনেক বেড়ে গেল। আমাদের মানসিক বিকারকে সুস্থ অবস্থায় এনে জীবনযাত্রাকে সহজ করবার প্রয়াস মনঃসমীক্ষার যেমন আছে, তেমনই স্বাভাবিক মানুষের মন ও ব্যবহার সম্বন্ধে পরিপূর্ণ জ্ঞান বিতরণে সে বিজ্ঞান সমর্থ । মন ও বস্তুকে নিয়ে সমস্ত পৃথিবী গঠিত । বস্তুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিজ্ঞান গড়ে উঠেছে, সেগুলির ব্যবহারিক ও জ্ঞানবিষয়ক দুই গুণ আছে। মনঃসমীক্ষার বিষয়বস্তু মন হলেও এই বিজ্ঞান সেই প্রকার গুণাত্মক । কিন্তু প্রত্যেকে আমরা নিজ মনের ও তৎসম্বন্ধীয় গৰ্ব্বের অধিকারী ব’লে মন-সম্বন্ধে জ্ঞানকে আমরা অপরের কাছ থেকে গ্রহণে পরামুখ । ঘদিব। সে বিদ্যার জ্ঞান-বিষয়ক গুণকে আমরা স্বীকার করি, তার ব্যবহারিক উপকারিতাকে নানা কারণে উপেক্ষা করি । এই উপেক্ষার মধ্য দিয়ে মনোবিদ্যাকে বাচতে হয়েছে ও হচ্ছে। তাই এর প্রচার তত বহুল নয়। চলিস মায়ার (Meyer ) ১৯২৯ সালের মে মাসের ‘রিয়ালিষ্ট’ ( Realist ) পত্রিকায় ‘ইন্ডাষ্টিয়াল সাইকলজি’ নামক প্রবন্ধে সে-সম্বন্ধে সবিস্তার আলোচনা করেছেন । মনঃসমীক্ষাকে উপেক্ষ করার কারণ আরও গুরুতর। মনঃসমীক্ষা নিজান মন নিয়ে আলোচনা করে, তাই তার সুত্রগুলি সাধারণের কাছে প্রীতিকর নয় বরং अनििश्षांशी, dश१ निङ्गक्ष हेक्रोच्न झिछि निल्न न भएन क्ष'एल ऊांद्र छन श्रांमांtभन्न काँtझ् श्रौकांग्नह्यांभा भग्न ! कौभछ ?ींबूद्धिग्न अtण बनानभैौक छक्लिङ ब':ण ४ष* * कांग्रज्ज প্রবৃত্তি আলোচনার সম্পূর্ণ অযোগ্য বলে ধারণা সাধারণের মনে দৃঢ় থাকায় মনঃসমীক্ষা উপেক্ষার কারণ হয়েছে । মনের যে-অংশটুকুকে এতদিন মানুষ মন বলে যে অস্পষ্ট কল্পনা ক’রে এসেছে সেই সংজ্ঞান ( conscious ) মনের সঙ্গে নিজ্ঞান মনের সম্বন্ধ আলোচনা করে মনঃসমীক্ষা । লেখার ভুল, বলার ভুল, ভুলে যাওয়া প্রভৃতি নিজ্ঞান মনের প্রকাশকে তুচ্ছবোধে সভ্যতা এতদিন আলোচনার বাইরে রেখে এসেছিল। কিন্তু মনঃসমীক্ষা এই তুচ্ছ ব্যাপারকে অবলম্বন ক’রে নিক্সান মনের পরিচয় পায় । সাধারণতঃ যে-সব অভিজ্ঞতা আমাদের রূঢ় । আঘাত দেয় এবং জীবনযাত্রার পথে বাধা হয়ে পড়ে, সেগুলিকে আমরা অস্বীকার করবার চেষ্টা করি, সম্ভব হ’লে ভুলে যাই। কিন্তু সেগুলি সংজ্ঞান মনে স্থান নাপেলেও নিজ্ঞান মনে বাস ক’রে সংজ্ঞান মনে আসতে চায়, কিন্তু প্রতি পদেই বাধা পায়, তাই তাকে চাতুরী ও ছলনার সাহায্য নিয়ে অতর্কিত ভাবে সংজ্ঞান মনে উপস্থিত হ’তে হয় । নিরুদ্ধ ইচ্ছার এই অতর্কিত আক্রমণ হ’তে চেতনা বাচতে গিয়ে সেগুলিকে ভুল বিবেচনা ক’রে তার কারণ অনুসন্ধান থেকে বিরত থাকে। প্রত্যেক কাজের একটা কারণ আছে, কিন্তু সব সময়ই আমরা যে কারণকে উপলক্ষ্য ক'রে কাজের অনুসরণ ক’রে থাকি, তা নয়। অনেক কাজ ক’রে ফেলে পরে সুবিধানুযায়ী তার একটা কারণ গড়ে নিই। সেই কারণ যদিবা সম্ভাব্য হয় তবু বাস্তব নয়। সভ্যতার গুণে মানুষ নিজেকে ছোট ভাবতে চায় না এবং পারে না, তাই নিজের ব্যক্তিত্বকে অক্ষুন্ন রেখে তার অনুযায়ী একটা কারণ স্বষ্টি ক’রে নেয়। দৈনদিন ব্যাপারে forgotta; Greiz (Psycho-pathology of Everyday Life )এ ফ্রয়ড তার বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। সেদিন পর্য্যন্ত স্বপ্ন আমাদের কাছে সমস্তার এবং বিশ্ময়ের বস্তু ছিল । মনঃসমীক্ষণ স্বপ্নতত্বের আলোচনা করে। আমাদের মনের নিরুদ্ধ ইচ্ছাগুলি আমাদের সংজ্ঞান মনের অগোচরে ছদ্মবেশ নিয়ে স্বপ্নে এসে হাজির হয়ে কথঞ্চিৎ তৃপ্ত হয়। স্বপ্নকে বিশ্লেষণ ক’রে মনঃসমীক্ষক আমাদের নিক্স'ন মনের কাৰ্য্যকলাপ বুঝতে পারেন। ভাষায় যেমন আমরা বহুলোকের শনের ভাব একই রকম প্রতীকের (symbol)