পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nごv・ミ

  • প্রবাসী;

ఏ08ు ইংরেজী ভাষায় প্রকাশিত হয়। ১৯২৬ সালেই মনঃসমীক্ষাবিষয়ক একটি প্রবন্ধ—মনঃসমীক্ষায় অবধি ভাবানুষঙ্গ পদ্ধতি’ (Free Association Method in Psycho.indysis— G, Bose ) প্রথম প্রকাশিত হয় এবং তখন থেকেই মনঃসমীক্ষা সম্বন্ধে বহু প্ৰবন্ধ উক্ত পত্রিকায় বেরিয়েছে ও মনঃসমীক্ষার আলোচনার ক্ষেত্রভিাবে ভারতে মনঃসমীক্ষণ আন্দোলনকে পত্রিকাখনি যথেষ্ট সাহায্য এসেছে । ভারতের দেশীয় ভাষাগুলির মধ্যে একমাত্র বাংলা ভাষাতেই মনঃসমীক্ষার প্রবন্ধ বেরিয়েছে। ১৩২৭ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসের ‘ভারতবর্ষ পত্রিকায় অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত রঙীন হালদার লিখিত ‘মনের রোগ', ১৩২৮ বঙ্গাব্দের ভাদ্র সংখ্যার ‘ভারতবর্ষে ডাঃ গিরীন্দ্রশেখর বসুর কারণতত্ত্ব’ (Causality) এবং সেই সালের পৌষ সংখ্যায় ডাঃ সরসীলাল সরকারের ‘মনের ঘাতপ্রতিঘাত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় । এর পরে ‘প্রবাসী’, ‘ভারতবর্ষ প্রভৃতি পত্রিকায় মনঃসমীক্ষা সম্বন্ধে অনেক বাংলা প্রবন্ধ বেরিয়েছে । তা ছাড়া বাংলা ভাষায় ঐ বিষয়ে দুখানি বই আছে । ডাঃ সরসীলাল সরকারের ‘মনের কথা’ ১৩৩২ সালে এবং ডাঃ গিরীন্দ্রশেখর বসুর ‘স্বপ্ন’ ১৩৩৫ সালে প্রকাশিত হয়। সরসীবাবুর ‘মনের কথা’ বাংলা ভাষায় প্রথম মনঃসমীক্ষা-বিষয়ক বই। ১৯২৪ সালে ভারতীয় বৈজ্ঞানিক সভা ( Indian Science Congress) মনোবিদ্যাকে পৃথক বিজ্ঞান বিবেচনা ক’রে সর্বপ্রথম আলোচনার সুযোগ দিলেন এবং সেই বৎসর forātāqlā ol-god o (The Theory of Opposite Wish ) নামে প্রবন্ধ পাঠ করেন। সেখানে মনোবিদ্যাশাখার অধিবেশনে মনঃসমীক্ষার আলোচনা হয়ে থাকে । ১৯৩৩ সালে মনোবিদ্যা-শাখার সভাপতির অভিভাষণে ডা: গিবীন্দ্রশেখর বহু ‘মনোব্যাপারের নূতন ব্যাখ্য' (A New Theory of Mental Life) to wators সম্বন্ধে তার মত এবং মনঃসমীক্ষার সাহায্যে মানুষের মন সম্বন্ধে তিনি যে জ্ঞান লাভ করেছেন, তা ব্যক্ত করেন। ১৯৩১ সাল থেকে ইণ্ডিয়ান মিউজিয়মের বাৎসরিক স্বাস্থ্য-প্রদর্শনীতে মানসিক স্বাস্থ্য ( Mental Hygiene) শাপ খোলা হয়ে আসছে। সেখানে মনঃসমীক্ষার জ্ঞান ক’রে মনাবিদ্যার পাশাপাশি ছবি ও বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে সৰ্ব্বসাধারণের মাঝে প্রচার করা হচ্ছে । মানসিক ব্যাধির কারণ-নির্ণয়ে এবং আরোগালাভে মনঃসমীক্ষা সাহায্য করতে পারে,—প্রতি বৎসর ডঃ বস্তু তার সহকৰ্ম্মী এবং ছাত্রগণের সহায়তায় ছবি, বিজ্ঞাপন, ও বক্তৃতার মধ্যে দিয়ে এ-কথা বুঝিয়ে থাকেন। মনঃসমীক্ষার জ্ঞান মানসিক উন্নতি ও স্বাস্থ্যরক্ষা বিষয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে এটা বোঝাবার জন্তে দুইখানি পুস্তিকা বিনামূল্যে প্রদর্শনীর দর্শকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। মানসিক স্বস্থিা সম্বন্ধে আলোচনা এবং শিক্ষাদান *Fre că nţsfiis gig; siffs (Îndian Asociation for Mental Hygiene ) ofts of efātā oftolz অধিবেশনে সমবেত ইউরোপীয় ও ভারতীয় নরনারীদের মধ্যে ডা: গিরীন্দ্রশের বসু, ডাঃ বার্কলে হিল, ডাঃ বিমলচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ পণ্ডিতগণের দ্বারা বক্তৃতার অনুষ্ঠান হয় । প্রতি মাসে এক দিন ক’রে ঐ অধিবেশন হয়। যে-কোন ব্যক্তি উক্ত সভার অধিবেশনে উপস্থিত হ’তে পারেন এবং বক্তৃতার বিষয়বস্তু সম্বন্ধে প্রশ্নাদি করতে পারেন। এ-সমিতি প্রথমে ইউরোপীয়ের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শ্ৰীযুক্ত হরিপদ মাইতি এর বর্তমান সম্পাদক । মানসিক ব্যাধি ব্যাপারে যাতে মনোবিজ্ঞানের সাহায্য নেওয়া সৰ্ব্বসাধারণের কাছে সুসাধ্য হয় সেই জন্ত ১৯৩৩ সালের ১লা মে থেকে কারমাইকেল মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে একটি মানসিক চিকিৎসাগার ( Psychological Clinic ) খোলা হয় । ডাঃ বসু এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তণ এবং তিনি নিজে উপস্থিত থেকে প্রতি মঙ্গল ও বৃহস্পতি বার সকালে আটটা থেকে দশটার মধ্যে নিয়মিত ভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসা ক’রে থাকেন। প্রয়োজন বিবেচনা করলে এবং রোগীর সামর্থ হ'লে মনঃসমীক্ষার সাহায্য দেওয়া হয় । অন্তান্ত চিকিৎসা-বিধির মত সমীক্ষণ কিন্তু ‘আউট ডোর’-এ ব্যবহৃত হতে পারে ন}, তৰু সমীক্ষণের জ্ঞানের সাহায্যে তাদের রোগের কারণ বার করা হয় এবং যত দূর সম্ভব তার সাহায্য দেওয়া হয়। এই মানসিক চিকিৎসাগার খোলবার আগে ১৯৩১ সালের মার্চ মাস থেকে কলিকতঃবিশ্ববিদ্যালয়ের