পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nこb-B এবং চিন্তা লিখতে উপদেশ দেন । এখন মনঃসমীক্ষার উপায় সম্বন্ধে কিছু বলব । সমীক্ষকাজী এবং সমীক্ষক কোন নির্জন স্বল্পালোকিত ঘরে বসেন। সমীক্ষকের দিকে মাথা ক’রে সমীক্ষার্থী সোজা এবং সহজভাবে শুয়ে চোখ বন্ধ ক’রে যা মনে আসে সব ব’লে যেতে থাকেন। এখানে সমীক্ষার্থীকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ক’রে নিতে হয় যে অযৌক্তিক, রহস্যজনক, বা অসংবদ্ধ ঘেকোন ভাব বা চিস্তাকে তিনি নিঃসঙ্কোচে ব’লৈ যাবেন । সমীক্ষক একখানি খাতায় সেগুলি যথাসম্ভব সমীক্ষার্থীর কথায় টুকে যাবেন । সমীক্ষার্থীর ভাব-ভঙ্গী ও অন্ত ব্যবহার তিনি লক্ষ্য ক’রে যাবেন, এবং পূৰ্ব্বোল্লিখিত চিস্ত এবং এগুলির ভেতর দিয়ে সমীক্ষক নিজ্ঞান মনের যে খবর পেলেন সমীক্ষার্থীকে সব বুঝিয়ে যাবেন । দিনের পর দিন এই রকম ভাবে দু-জনে বসতে হবে যতদিন-না রোগ সারে । বিনা-পারিশ্রমিকে এই কার্য্য সম্ভবপর এবং ফলদায়ী নয় । দায়িত্বহীন ব্যাপার নিজ্ঞানের কাছে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে গৃহীত হয়। শিক্ষার্থীর পক্ষে ৫০০ শত অধিবেশন প্রয়োজন। মানসিক ব্যাধি উপশমের জন্ত ২৫০ এর কম অধিবেশন আশা করা যায় না । সময়ানুবৰ্ত্তিতা অতি কঠোর ভাবে সমীক্ষার্থীর কাছ থেকে আশা করা হয় । সমীক্ষা-কার্যে নিজ গত ং প্রবাসীষ্টা SS8S জীবনের গোপনীয় ব্যাপার প্রকাশ করতে স্বাভাবিক অনিচ্ছা ব্যতীত নিজ্ঞান থেকে গুরুতর বাধা এসে সমীক্ষণের অন্তরায় হয়ে দাড়ায়। জ্ঞাত ও অজ্ঞাত বাধা ধীরে ধীরে অপসারিত ক’রে রোগীকে সহজ ক’রে নিয়ে আসতে হয়। সমীক্ষণ খুব সাবধানে এবং বিবেচনার সঙ্গে করতে হয়। সমীক্ষণ আরম্ভের কিছুদিন পরে সময় সময় রোগীদের কাছ থেকে অত্যন্ত কঠোর নিন্দাসূচক বাক্য শুনতে হয়, সমীক্ষক এসব অবিচলিত ভাবে সহ ক’রে যাবেন, পরে দেথা গেছে এ-সব রোগী নিরাময় হয়ে সমীক্ষককে দেবতার মত ভাবেন । ভারতবর্ষে মনঃসমীক্ষার কথা বলতে গিয়ে বাংলা এবং বাঙালীর কথা বলতে হয়েছে । অন্ত দেশের কথা বলতে পারলে তুর্থী হতাম। তবে উপসংহারে একটা কথা মনে পড়ছে, সেটা আমাদের মাঝে সমীক্ষিণীর অভাব । শিশুদের মধ্যে মানসিক ব্যাধি দেখা যায় এবং এদের স্বভাববিকৃত শিশু (Problem Child) qe i gą i fĘ5 (neurotic) festKg মনঃসমীক্ষণ সমীক্ষিণীদের দ্বারা ভাল হয় । ইউরোপে আন ফ্রয়ড, মিলেইনে ক্লাইন, হেলেন ডয়েস প্রভৃতি সমীক্ষিণীর শিশুদের সমীক্ষণ ক’রে থাকেন । বাংলায় এবং ভারতবর্যের অন্তত্র স্বভাববিষ্কৃত শিশুর অভাব নেই ।

  • ooms

শিকাগো বিশ্ব-প্রদর্শনী ঐবিমলেন্দু কয়াল, এম-এ চল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বে শিকাগোয় নিখিল-বিশ্ব-প্রদর্শনীর প্রথম অধিবেশন হয়। তদবধি ইহা সভ্যতা ও সময়ের সহিত সমভাবে পদবিক্ষেপ করিয়া ক্রত ও অধিকতর উন্নতির পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতেছে । এই স্থানেই একদিন আমাদের বিবেকানন্দ বজ্রনির্ঘোষে হিন্দু ধৰ্ম্মর সাৰ্ব্বভৌমত্ব বিশ্ববাসীকে স্মরণ করাইয় দিয়াছিলেন। বিভিন্ন ধৰ্ম্মের অনুসরণ করিয়াও মানব কিরূপে এক অবিচ্ছিন্ন ভ্রাতৃত্বের মহান বন্ধনে আবদ্ধ হইতে পারে, তাহা আলোচনা করিবার

  • 이·

জন্ত এই প্রদর্শনীতে পূৰ্ব্বের স্তায় গত বৎসরও পৃথিবীর সমগ্র ধৰ্ম্মাবলম্বীদের এক মহাসম্মেলন হইয়া গিয়াছে । গত বৎসরের বিশ্ব-প্রদর্শনী দেখিয়া দর্শকগণের স্পৃহা আরও বাড়িয়া গিয়াছে ; গত অধিবেশন যেন খণ্ডিত ও অপৰ্য্যাপ্ত ছিল, সেইজন্ত বর্তমান বৎসরে অধিবেশনের অধিকতর সুব্যবস্থা করা হইয়াছে । গমনাগমন ও অন্তান্ত নানা বিষয়ে পূৰ্ব্বাপেক্ষ অনেক স্ববন্দোবস্ত হওয়ার প্রদর্শনী আরও জনপ্রিয় হইয়া উঠিয়াছে। গত বৎসর