পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেীৰ দাদার বাতাসার কারখানা, সীতার শ্বশুর-বাড়ি, তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা, নিমৰ্চাদের বোঁ শৈলদি -- মালতীর স্বভাব কি মধুর! কি খাটুনিট থাটে আখড়ায়—এক দিন উচু কথা শুনি নি ওর মুখে—কারও ওপর রাগ দেখি নি—বাপের মেয়ে বটে ! আখড়ায় ছোট একটা অশ্বথ-চারা আছে, উদ্ধব দাস রোজ মান ক’রে এসে গাছটা প্রদক্ষিণ করে, গাছটাতে জল দেয় । এ তার রোজ করাই চাই। একদিন মালতীকে ডেকে বলি– তোমার উদ্ধব-জ্যাঠা পাগল নাকি ? ও-গাছটার চারি পাশে ঘোরার মানে কি ? মালতী বললে—কন ঘুরবে না ; সবাই ত আর আপনার মত নাস্তিক না । অশদগাছ নারায়ণ–ওর সেবা করলে নারায়ণের সেব করা হয়— জানেন কিছু ? আমি বললুম—তাহলে তুমিও সেবাটা মুরু ক’রে পুণ্য কিছু ক'রে নাও না সময় থাকতে ? মালতী শাসনের সুরে বললে— আচ্ছা, আচ্ছা থাক। আপনি ও-রকম পরের জিনিষ নিয়ে টিটকিরী দেন কেন ? ওদের ওই ভাল লাগে, করে । আপনার ভাল লাগে না, করবেন না । তা নয়, সারাদিন কেবল এর খুৎ ওঁর খুৎ—ছি, আপনার এ-স্বভাব সারবে কবে ? বললাম—তোমার মত উপদেশ দেওয়ার মানুষের দেখা পেতাম যদি তfহ’লে এত দিন কি আর স্বভাব সারে না ? তা সবই অদৃষ্ট ! কথা শেষ ক’রে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলতেই মালতী রাগ ক'রে আমার সামূলে থেকে উঠে গেল । বিকেলে কিন্তু ওকে আমার কাছেই আসতে হ’ল আবার । নিকটে নকশিপাড়া, গায়ে একটা যাত্রার দল ছিল, তাদের অধিকারী এসে উদ্ধব দাসকে বলে-বাবাঞ্জী, তিন মাস বলে মাছি, বায়ন-পত্তর একদম বন্ধ। দল ত আর চলে না । কালনা থেকে ভাল বাজিয়ে এনেছিলামঢোলকে যখন হাত দেবে, আঃ ষেন মেঘ ডাকচে, বাবাজী। তা আপনাদের আখড়ায় এক দিন খামস্থলরজীউকে শুনিয়ে দিই। কিছু খরচ দিতে হবে না, তেল তামাক জার কিছু জলখাবার- - £, -अगषाबाबुबा श्वमा भाग बने। अ हाँका আলর থাটানো ওসব কে করে ? এধর্ম খাৰু। শীগঞ্জ মালায় দৃষ্ট্রি-প্রদীপ Bの° এসে বললে—উদ্ধব-জ্যাঠাকে বলুন, যাতে যাত্রাট হয় । আমি জলখাবার দেব, জ্যাঠাকে সেজন্তে ভাবতে হবে না । আপনাকে কিন্তু আসরের ভর নিতে হবে । আমি বললাম— আমার দ্বারা ওসব হবে না। আমি পারব না । মালতী মিনতির সুরে বললে—লক্ষ্মীটি, নিতেই হবে। যাত্রা বে আমি কতকাল শুনি fন ! দেশের দলটা উৎসাহ না-পেলে নষ্ট হয়ে বাবে । আপনি আসরের ভার নিলেই আমি ওদের ব’লে পাঠাই । —না, আমি পারবে না, সোজা কথা । তুমি ওবেলা ও-রকম রাগ ক’রে চলে গেলে কেন ? –তাই রাগ হয়েছে বুঝি ? কথায় কথায় রাগ । —রাগ জিনিষটা তোমার একচেটে যে ! অার কারও কি রাগ হ’ত আছে ? —আচ্ছা, আমি আর কখনও ও-রকম করব না । আপনি বলুন ওদের—কেমন ত ? যাত্রা হয়ে গেল-মালতী ওদের ছানা খাওয়ালে পেট ভ'রে । বললে—বাব রাস্তা থেকে লোক ডেকে এনে খাওয়াতেন আর আমরা মুখ ফুটে যারা খেতে চাইছে, তাদের খাওয়াব না ? দলে ছোট ছোট ছেলেরা আছে, তারা রাত জেগে চেচিয়ে শুধু মুখে ফিরে যাবে, এ কখনও इग्न ? মালতী অনেক বৈষ্ণব-গ্ৰন্থ পড়েছে । সময় পেলেই বিকেলে আমার কাছে বই নিয়ে আসে, দু-জনে পুকুর-পড়ে গাছের ছায়ায় গিয়ে বসি । আমার হয়েছে কি, সব সময় ওকে পেতে ইচ্ছে করে, নানা কথাবাৰ্ত্তায় ছল-ছুতোয় ওকে বেশীক্ষণ কাছে রাখতে ইচ্ছে করে । কিন্তু বিকেলের দিকে ছাড়া সারাদিন ওর দেখা পাওয়া ভার। ওর কাছে বুদ্ধের কথা বলি, সেণ্ট, ফ্রান্সিসের কথা বলি। ও আমাকে ঐচৈতন্তের কথা, শ্রীকৃষ্ণের কথা শোনায় । এক দিন হঠাৎ আবিষ্কার করা গেল মালতী বই লেখে । কি কাজে পুকুরের ঘাটে গিয়েছি দুপুরের পরে, দেখি স্বাধনে-সিড়ির উপর জামগাছের ছায়ার একখান খাত পড়ে আছে—পাশেই দেয়াত কলা-খাণ্ডাখানাউন্টে দেখি । মালতীর হাতের লেখা। এখানে গৈ লিখতে লিখতে হঠাৎ উঠে গিয়েছে। অত্যন্থ কৌতুহল হ’ল—সাজৰে