পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8్స\ు পোষণ করে, ইহাতেও তাহার বিকাশ দেখিতে পায় । শিবনৃত্য-সম্পর্কে এরূপ কথিত হইয়াছে যে, আমাদের পাপ দূরীকরণার্থ আস্থায় পুর্ণজ্ঞান নৃত্য করে। ইহাতেই মায়ার অন্ধকার কাটিয়া যায়, কৰ্ম্মমালার সুত্র ভস্ম হয়, ভগবৎকৃপা বর্ষিত হয়, এবং আত্মা আনন্যসাগরে অবগাহন করে । এই নিগূঢ় রহস্তাবৃত নৃত্য দর্শনের সামর্থলাভে আত্মার আর পুনর্জন্ম হয় না । ফিক্টের মতে প্রকৃতি দ্বৈতভাবের বিকাশ—এক দিকে ইহা আমাদের অক্ষমতা, সীমাবদ্ধত প্রকাশ করে, অপর দিকে চিন্তাধারণ ও কৰ্ম্মক্ষমতার অসীমতা ও স্বাধীনতা প্রদান করে । সুতরাং স্বন্দরের অনুভূতি আমাদের মনোবৃত্তির উপরেই নির্ভর করে । এই হন্দরের প্রদর্শনই রসকলার উদেষ্ঠ ; সমগ্র মানবকে জ্ঞানদানই ইহার অভিপ্রায় । শিল্পীতে সুন্দর আত্মার অবস্থিতিতেই— বাহিরের কিছুতেই নহে-সৌন্দৰ্য্য-ধৰ্ম্ম নিহিত। হাচিনসন মনে করেন ধে সৌন্দর্য্যপ্রকাশই রসকলার উদেখা ; সাম্য ও বৈষম্যের অনুভূতি জাগ্রত করাই ইহার মূলমন্ত্র । যার্ক বলেন যে, আত্মরক্ষা ও সমাজের নির্দেশেই মহান ও সুন্দরের কল্পনা জাগে এব ইহার প্রদর্শনই রসকলীর লক্ষ্য । ইংরেজদের মত ফরাসীগণও মনে করেন যে, সৌন্দৰ্য্যজ্ঞান রুচির উপরই নির্ভর করে—এই রুচি স্বেচ্ছাচারী, কোন বিধিনিষেধ মানিয়া চলে না। পেরী অারে সৌন্দর্যের শ্ৰেণী বিভাগ করিয়াছেন—স্বৰ্গীয়, প্রাকৃতিক, কৃত্রিম । বেত্ত, বলেন যে, উপভোগই স্ট্র রসকলার উদেণ্ড এবং প্রকৃতিঅনুকরণই উপভোগ । ইটালীর মনোবৃত্তি অনুরূপ। স্পালেটি বলেন যে, আত্মরক্ষার অভিপ্রায়ে যে জায়মুরাগপ্রদশী অনুভূতি জন্মে তাহাই রসকল ।. বর্কিও প্রায় অনুরূপ মত পোষণ করেন । ** ওলন্দাজ-লেখক হেমৃস্টার লুইস বলেন যে, যাহা সুখদান করে তাছাই রসকল, সংকীর্ঘতম কালে বহুলপরিমাণে ধাহা অনুভূতি জাগ্রত করিতে পার্রোহাই স্বখানে সমর্থ। কাণ্টের মতে মানুষ নিজের বাহিরে প্রকৃতির জ্ঞান ও প্রকৃতিতে আত্মজ্ঞান লাভ করে। বহিঃপ্রকৃতিতে KA ఎని8ు সে খোজে সত্য, আপনাতে সে চায় মঙ্গল । এই বাস্তব যুক্তি ব্যতীতও একটা বিচার-ক্ষমতা আছে, ইহা যুক্তির অপেক্ষ রাখে না, ইহা প্রবৃত্তি ব্যতীতও সুখদান করে। কান্ট ইহাকেই সৌন্দৰ্য্যাম্বভূতি বলিতে চাহেন। বাস্তব সুবিধা বা যুক্তিতর্ক ব্যতীত সুখদান আত্মোপলন্ধিলন্ধ বা আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য্য। কিন্তু কোন বস্তুর ব্যবহারিকতা অথবা হিতকারিতার ধারণা ব্যতীত তাহার যোগ্যতার রূপদানই বাস্তব সৌন্দর্য্য। বোধ হয় কাণ্টের অনুসরণ করিয়াই শিলার বলেন দে, বাস্তব স্বষিধ ব্যতীত মুখের স্রষ্টা সৌন্দর্যই রসূকলার লক্ষ্য। শিলারের মতে নৃত্যু ক্রীড়ামাত্র, অবশ্য এই ক্রীড়া লঘু কাৰ্য নহে, শুধু রূপবিকাশের জন্তই অপর উদ্দেশ্য ব্যতীত জীবনের সৌন্দৰ্য্যপ্রদর্শন। হেগেল বলেন যে, ভগবান আপনাকে মুন্দরের রূপে প্রকৃতিতে ও শিল্পে বিকাশ করিয়াছেন। ভারতবাসীর মনের কথাই যেন এই বৈদেশিক পণ্ডিতের রসনায় ভাষা পাইয়াছে । টলষ্টয়ের মতে আধ্যাত্মিক অনুভূতিতে সৌন্দর্ঘ্য এক বিশেষ শ্রেণীর মুখ দান করে, কিন্তু বাস্তব অনুভূতিতে পদার্থের পূর্ণাঙ্গতার ধারণা জন্মে। এই ধারণাতেও একটা মুখের উপলব্ধি হয়। এক কথায় উভয় অনুভূতিতেই একই প্রকার সৌন্দর্ঘ্যের ধারণা জাগে—কিন্তু কামনা জাগে না । অনেকের নিকট ইহা ভাববিহবলতা এবং ফলে তাহারা রসকলার একমাত্র ও চরম আদর্শরূপে সৌন্দৰ্য্যকে গ্রহণ করিতে পারেন না । - বর্তমান যুগের শিল্পীর—তিনি যতই ধৰ্ম্মভীরু হউন না কেন—সম্মুখে অনতিক্রম্য বাধাৰিপত্তি। বে-শিল্পী প্রাচীন হিন্দুসূত্যের পুনরুদ্ৰাক-প্ৰয়ালী হার পক্ষে প্রাচীন পুস্তকে নির্দিষ্ট সুগঠিত সমাজের ও দর্শকমণ্ডলীর অভাবে এবং অজ্ঞতা ও মতবাদের মনৈক্য ইত্যাদির প্রাচুর্যে-এই উভয় মৃঙ্কটে বিধিনিষেধ ভঙ্গ কৰা স্ব্যতীত অন্ত উপায় নাই। প্রাচীন পুস্তকাদিতে যে বিধান আছে, সে মতে বর্তমান যুগে কোন বৃন্স প্রচলিতৃ নাই। সুতরাং প্রত্যক্ষ শিক্ষালাভের cवगनहे नखायनों नहि । भूलकांश्रेिषांब्र कि छांम' णांक সম্ভব? ভরতের নাট্যশাস্ত্র এগার্কে জাদর্শ পুস্তক; মৃত্য, সঙ্গীত ও অভিনয় সম্পর্কে অক্তি বিশদ বিকা स्राब्द