পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BいこW。 হাঙ্গেরীর প্রতিনিধি বলেন, এই অভিযোগ তাদের বিপক্ষ ক্ষুদ্র মিত্রশক্তিবর্গের” ( Little Entente ) রাজনৈতিক চাল, কিন্তু পরিশেষে রাষ্ট্রসজ্যের সদস্তদের মিলিত অনুরোধে হাঙ্গেরিয়ান ও পলাতক ক্রোটিয়ানদের দোষ তদন্ত করতে এবং তার পর অপরাধীদের শাস্তি দিতে স্বীকৃত হয়েছেন । এই সিদ্ধান্তের ফলে মধ্য য়ুরোপীয় শক্তিবর্গ একটা আসন্ন বিপদের হাত হতে মুক্ত হয়েছেন। ১৯১৪ সন সাধিয়ায় অষ্ট্ৰীয়া-হাঙ্গেরীর যুবরাজ ফার্ডিস্তাণ্ডের হত্যার ফলে মহাসমরের আগুন জ্বলে ওঠে । এবার হাঙ্গেরী ও যুগোশ্লাভিয়ার বিরোধ বিশ্বরাষ্ট্রসজ আপোষে নিষ্পত্তি করেছেন ; বিশ্বরাষ্ট্রসঙ্ঘ না থাকৃলে এর ফল যে কি ভয়াবহ হত তা সহজেই অনুমেয়। লণ্ডন নেী-শক্তি সম্মেলন— विशङ भशमूकबभन्न खशrउब्र विडिग्न बाहेब अझगडाब १ठ मठ গতিতে বেড়ে উঠেছে ধে, কোন প্রকার আন্তর্জাতিক চুক্তির দ্বারা ইহা নিরোধ বা হ্রাস করার পন্থী অবলম্বন করতে সকল রাষ্ট্রই এখন উৎসুক । কিন্তু দুঃখের বিষয়, রাজনৈতিক কারণে সকলের আর্থিক অবস্থা নিরতিশয় শোচনীয় হওয়া সত্ত্বেও শক্তিবর্গের অস্ত্রসস্তার ক্রমশঃই বেড়ে উঠছে। ای --... - تمييع এাভূমিরাল ষ্ট্য।উলি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিগণর প্রধান উপদেষ্টারূপে লগুনের নেী-সম্মেলনে যোগদান করেন ১৯৩২ সনের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে জেনিভায় নিরস্ত্রীকরণ সভার আলোচনা চলে আসছে কিন্তু তার ফলে আজ পর্য্যন্ত জগতের এই ভয়াবহ অস্ত্র-সমস্তার কোনও মীমাংস হয় নি। সম্প্রতি মার্কিনের রাষ্ট্রসচিব মিঃ কর্ডেলহাল ও বৃটেলের প্রধান মগ্ৰী মিঃ র্যামজে ম্যাকডনালড়, যেরূপ মতামত প্রকাশ করেছেন তাতে মনে হয় নিরস্ত্রীকরণ-প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে । কিন্তু গত জুন মাসে জেনেভায় শেষ চেষ্টা করে এসে বৃটেন, আমেরিক, ফ্রান্স, ইটালী ও জাপান পুনৰ্ব্বার কথাবাৰ্ত্ত আরম্ভ করেন। গত জুলাই থেকে অক্টোবার পর্যন্ত উাদের নৌ-বহর সীমার মধ্যে রাখার কথাবাৰ্ত্ত বন্ধ ছিল । গত নবেম্বর মাসে লগুনে এই আলোচনা আবার আরম্ভ হয় |} ওয়াশিংটনে ১৯২২ সনে বৃটিশ সাম্রাজ্য, আমেরিকা, জাপান,

  • রুমানিয়া, যুগোশ্লাভিয়া ও চেকোশ্লোভাকিয়া।

+ লণ্ডন হইতে প্রেরিত গত ১২ই ডিসেম্বয়ের রয়টারের সংবাদে প্রকাশ, এই আলোচন! আবার অনির্দিষ্ট কালের জg "স্থগিত রাখা হইয়াছে। প্রবাসীয় সম্পাদফ। ఎ98ఏ ফ্রান্স ও ইটালী—এই পাঁচটা শক্তি তাদের তখনকার নেী-শক্তি অনুযায়ী প্রত্যেকের নৌবহর এক একটী বিশিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে স্বীকৃত হন। পরস্পরের নেী-শক্তি রেষারেষি কয়ে না বাড়িয়ে আপোযে এই সমস্তার মীমাংসা করার এই প্রথম চেষ্টা—এবং ইহা so -- জাপানের প্রধান মন্ত্রী এ্যাডমিরাল ওকাড আংশিক ভাবে সফল হয়। বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজগুলির সংখা ও মিলিত "টনেজ এই সম্মেলনে নিৰ্দ্ধারিত হয় । কিন্তু সকল শ্রেণীর রণপোতের সংখ্যা ও টনেজ সীমাবদ্ধ না হওয়ায় ১৯২৭ সনে যখন জেনেভায় নিরস্ত্রীকরণ বৈঠকের প্রারম্ভিক আলোচনা চলছিল তখন মার্কিন প্রেসিডেণ্ট কুলিজের আহবানে একটি নৌ-বৈঠক বসে । কিন্তু এই বৈঠক সম্পূর্ণ বিফল হয়। পর, ১৯৩০ সনে লণ্ডনে আর একটি নৌ-বৈঠক বসে। তাহাতে ১৯২৭ সনে জেনেভীয় উপস্থাপিত সমস্তাগুলির সমাধান হয় ও ক্রুজার, ডেস্ট্রয়ার ও সাবমেরিন সম্পর্কে এক চুক্তি হয়। শুধু প্রথম শ্রেণীর যুদ্ধজাহাজ সম্পর্কেই পাঁচটি শক্তি নিজেদের মধ্যে একপ্রকায় ব্যবস্থ অঙ্গুমোদন করেন। লগুন-চুক্তির নির্দেশ মত ১ম ১৫ সনে আবার মিলিত হরে এই পাঁচটি প্রধান নৌ-শক্তির আগেকার দুই চুক্তিই আলোচন করবার কথ! এই সভায় যদি কোন নুতন চুক্তি খাড়া না করা যায় তাহলে ১৯১৬ সনের শেষ দিনে লগুন নৌ-চুক্তিত্ব মেয়াদ স্বতঃই শেষ হবে। যদি একটি কিংবা একাধিক শক্তি তার বা তাদের ইচ্ছা ১৯৩৪ সাল শেষ হবার আগে জ্ঞাপন করেন তাহলে ওয়াশিংটন নৌ-চুক্তি এই সঙ্গে রদ হবে। ১৯৩৩ সনের মে মাসে নিরস্ত্রীকরণ বৈঠকে জাপান অস্তাগু স্বাক্ষরকারীদের জানায় যে, সে অন্তদের তুলনায় নিজের জন্ত বৃহত্তর নৌবহরের দাবি করবে। জলপথ আমেরিকা ও বৃটেন তার দুই প্রতিদ্বন্দ্ব। এয়া এই দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃত হয়েছে। অতএব আশা কর যায় যে, জাপান যথাসময়ে ওয়াশিংটন-চুক্তি মাকাচয় বিষয় বিজ্ঞাপিত ‘ করবে। এমন কি, এই চুক্তি স্বাক্ষরকারী ফরাসী ও ইটালীকে সে এই কার্য্যে যোগ দান করতে জাহান করেছে, কিন্তু এই দুই শক্তিই এই বিষয়ে জাপামের সঙ্গে একমত হতে পারেনি । আগেই বলা হয়েছে ষে, বিভিন্ন শক্তিৰশ্নের মধ্যে অস্ত্র-শস্ত্র সম্পর্কে প্রতিযোগিতার মূলে রাজনৈতিক কারণ বর্তমান । অতএব