পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8*b* ੋ– অামি চোথ মুছলাম, এদিক-ওদিক চাইলাম—চোথে জল দিলাম উঠে। এখনও ওর রয়েছে। ওদের সবারই চোখ দাদার থাটের দিকে । আমি ধীরে ধীরে উঠে গিয়ে পানীর কাছে দাড়ালাম। ওরা সবাই হাসিমুথে আমার দিকে চাইলে । কত কথা বলব ভাবলাম মাকে, বাবাকে, পানীকে—থাপা কবে মরে গিয়েছে জানি নে—সে এখনও তাহ’লে আমাদের ভোলে নি ?--- তাকেও কি বলব ভাবলাম—কিন্তু মুখ দিয়ে আমার কথা বেরুল না । এই সময়ে নাস এল । আমি আশ্চর্য হয়ে ভাবছি নাস কি এদের দেথতে পাবে না ? এই ত সবাই এরা এথানে দ্বাড়িয়ে । নাস কিন্তু এমন ভাবে এল যেন আমি ছাড়া সেখানে আর কেউ নেই। দাদীর মুখের দিকে চেয়ে বললে—এ ত হয়ে গিয়েছে—এ কুলি, কুলি— কুলি খাটটাকে ঘেরাটোপ দিয়ে ঢেকে দিতে এল । তখনও ওরা রয়েছে।--• তার পর আমার একটা অবসন্ন ভাব হ’ল—আমার সেই সুপরিচিত অবসন্ন ভাবটা । যখনই এরকম আগে দেখতাম, তখনই এরকম হ’ত । মনে পড়ল কত দিন পরে আবার দেখলাম আজ--বহুকাল পরে এই জিনিষটা পেয়েছি—হারিয়ে গিয়েছিল, সন্ধান পাই নি অনেক দিন, ভেবেছিলুম আর বোধ হয় পাব না—আজ দাদার শেষশষ্যার পাশে দ্বাড়িয়ে তা ফিরে পেয়েছি। আমার গা ধেন ঘুরে উঠল—পাশের চেয়ারে ধপ, ক'রে বসে পড়লাম। নাস আমার দিকে চেয়ে বললে—পুওর বয় | ૨ জীবনে নিষ্ঠুর ও হৃদয়হীন কাজ একেবারে করি নি ত নয়, কিন্তু বৌদিদিকে দাদার মৃত্যু-সংবাদটা দেওয়ার মত নিষ্ঠুর কাজ আর যে কখনও করি নি, একথা শপথ ক’রে বলতে পারি। বেলা দুটোর সময় দদার বাড়ি গিয়ে পৌঁছলাম। পথে দাদার শ্বশুর-বাড়ির এক সরিকের সঙ্গে দেখা । আমার মুখের খবর শুনেই সে গিয়ে নিজের বাড়িতে অবিলম্বে খবরটি জানালে । বোধ হয় যেন বৌদিদির ওপর আড়ি কয়েই ওদের বাড়ির মেয়া-—:রা দদার অসুখের সময় কখনও চোখের দেখাও দেখতে আসে নি-চীৎকার "প্রবাসীস্টr ఏ98S করে কান্না জুড়ে দিলে। বৌদিদি তখন অত বেলায় দুটো রে"ধে ছেলেমেয়েকে খাইয়ে আঁচিয়ে দিচ্ছে । নিজে তখনও থায় নি। পাশের বাড়িতে কল্পিীর রোল শুনে বৌদিদি বিস্ময়ের সুরে জিগ্যেস করছে—ই্যা রে বিন, ওরা কঁপিছে কেন রে ? কি খবর এল ওদের । কারও কি অমুথবিমুখ ? এমন সময়ে আমি বাড়ি ঢুকলাম । আমায় দেখে বৌদিদির মুখ শুকিয়ে গেল। বললে—ঠাকুরপো ! তোমার দাদা কোথায় ? আমি বললাম—দাদা নেই, কাল মারা গিয়েছে। বৌদিদি কঁদিলে না । কাঠ হয়ে দাড়িয়ে রইল আমার মুখের দিকে চেয়ে । পাশের বাড়িতে তখন ইনিয়ে-বিনিয়ে নানা ছন্দে ও সুরে শোকপ্রকাশের ঘটা কি ! পাড়ার অনেক মেয়ে এলেন সাস্তন দিতে বৌদিদিকে । কিন্তু একটু পরে যখন বৌদিদি পুকুরের ঘাটে নাইতে গেল সঙ্গে এক জন যাওয়া দরকার নিয়মমত—তখন একটা অজুহাতে যে যার বাড়িতে গেল চলে। আমি বিস্মিত হ’লাম এই ভেবে যে এরা তো বৌদিদির বাপের বাড়িরই লোক ! তার একটু পরে বৌদিদি থানিকটা কঁদিলে । হঠাৎ কান্না থামিয়ে বললে, শেষকালে জ্ঞান ছিল ঠাকুরপে ? আমি বললাম, বৌদিদি তুমি ভেবে না, এখানে যে-রকম গতিক দেখছি তাতে এখানে থাকলে দাদার চিকিৎসাই হ’ত না । এখানে কেউ তোমায় তো দেখে না দেখছি । হাসপাতালের লোকে যথেষ্ট করেছে। বাড়িতে সে রকম হয় না। আমাদের অবস্থার লোকের পক্ষে হাসপাতালই ভাল । বৌদিদির বাবা মা কেউ নেই—ম আগেই মারা গিয়েছিলেন—বাব মীরা গিয়েছেন আর-বছর । একথা কলকাতাতেই বৌদিদির ভাইয়ের মুখে শুনেছিলুম। বৌদিদির সে ভাইটিকে দেখে আমার মনে হয়েছিল এ নিতান্ত অপদার্থ—তার ওপর নিতান্ত গরিব, বৰ্ত্তমানে কপর্দকহীন বেকার—তার কিছু করবার ক্ষমতা নেই। বয়েসও অল্প, সে কলকাতা ছেড়ে আসে নি, সেখানে চাকুরীর চেষ্টা করছে । ভেবে দেখলাম এদের সংসারের ভার এখন আমিই