পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান ঐতারাপদ মজুমদার প্রকৃপির ব্যবস্থা করিয়া কলেজ-পলায়ন করিলে ফাঁসির হুকুম হয় না ;–কিরীটি সটান হোষ্টেলে আসিয়া উপস্থিত । ঐ একঘেয়েমি কি প্রত্যেক দিন ভাল লাগে ? সংস্কৃতের ক্লাস্টার বরং একটু রসের আম্বাদ পাওয়া যায়। শাস্ত্রীমহাশয় যখন মৃত্নস্বরে সুরু করেন,—‘কাজতন্যো বদনমদিরাং—’, নীঃ, এই সমস্ত ভাবিয়া এই বাদুলার দিনে হা-হুতাশ না বাড়াইলেও চলিব। কালিদাস নিশ্চয়ই কেরানী ছিলেন এবং মুখর। গৃহিণীর মুখনড়ার চোটে, অধিকন্তু বড়বাবুর তাড়াহুড়ে খাইয়া দেশত্যাগ করিয়াছিলেন । তার পর বিক্রমাদিত্যের বদান্ততায় ভূরিভোজনে ভুড়ি পকাইয়া স্বাক্ট করিয়াছিলেন এই সমস্ত আদিরস । ...ঐ দিক্কার ছাদে সেই মেয়েটি প্রত্যহ চুল শুকাইতে আসে। সুরদৃষ্ট! সে-ও আজ আসে নাই। কি বোকামি ! আজ এই অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে চুলগুলি ভিজাইতে আসিবে না কি ? কিন্তু ঐ জানালীটির পাশে আসিয়া না দাড়াইবার জন্ত কে তাহীকে মাথার দিব্য দিয়াছিল ? বহু পূৰ্ব্বে একদিন, মাত্র একদিন তাহাকে ঐ বাতায়ন-পাশ্বে উপবিষ্ট দেখা গিয়াছিল ; মুখখানি সেদিন তাহার এই বর্ষার মেঘের মতই ছিল অন্ধকার । সুন্দর মুথে অভিমানও মানায় বেশ । সেদিন নিশ্চয়ই বাড়িতে কাহারও সহিত ঝগড়া করিয়া সে---কিন্তু আজ কি একবার ঝগড়াও করিতে নাই ? বাড়ির লোকগুলি কি তাহার কোন কাজে কোনও ক্রটি দেখিতে পাইয়া একটা ধমক দিতেও জানে না ?—খালি খালি রাগীইয়া দিতেও জানে না ? •••দেশ গেলে, বৌদিদি হাসি-ঠাট্টা করিতে খুবই মজবুত, কিন্তু কই একটি বিবাহের ব্যবস্থা ত তাহার মস্তিষ্কে আসে না ? ক্ষমতা নাই এক তিল, কেবলই মুখ-ভাগবত । বেশ, একবার রাগিয়া চটিয়া একটা গলায় ঝুলাইয়া দিন দেখি ! তবে জানা যাইবে তাহার যোগ্যতা, ইn"] • ৬১-৪ —বাবু রইছেন না কি?—ভেজানো দরজা ঈষৎ ঠেলিয়া ভূতাটি দশন-পংক্তি বিকশিত করিল। কিরীটি ভেঙাইয়া উঠিল,—লুইছেন কি রইছেন না, দেখতে পাইছ না ?--কি হুকুম শুনি ? একটু যদি ঘুমবার চেষ্টা করব, তাও আসবে বাবা বাড়া দিতে! ভূতাটি নিতান্তই ভূত, নচেৎ মেসের ঘর ঝাঁট দিতে আসিব কেন ? চিলেকোঠায় বসিয়া বুকে বই রাথিয়া কবি করিতেও ত পরিত ! অৰ্দ্ধশায়িত ভাবে জানালার বাহিরে ‘ই’ করিয়! চাহিয়া থাকিয় কিরূপে নিদ্রার চেষ্টা করা যায়, ভূতাটির ত’হ বোধগম্য হইল না ; বলিল— চিঠির বাক্সে এই পুষ্টকাড থানা ছিল, কার দেকুন দিকি ? কিরীটি হাত বাড়াইয়া কার্ডধানি লইল ; তাহীরই রুম্ মেট্ৰ অশ্বিনীর চিঠি । একেবারে বাজে ৷ অশ্বিনীর তক্তপেযের উদেশে চিঠিখানি ছুড়িয়া ফেলিয়া দিতে গিয়া, কেন বলা যায় না, চিঠিথানা একবার সে না পড়িয়া পারিল না । পড়িতে পড়িতে তাহার ললাট সঙ্কুচিত হইল, চক্ষুদ্ধয় অপেক্ষাকৃত বড় হইল ; অস্ফুট উচ্চffরল,— ছ। লাকী চাপ্ত এই অশ্বিনীটা । দুই মাসও হয় নাই, মুনারী পত্নী লাভ করিয়াছে, আর ইহারই মধ্যে বার-দুই অন্ততঃ সেই শ্ৰীধামে পাড়ি দিয়াছে। এবার আবার কোন এক দিদি-শাশুড়ীর নিমন্ত্রণ। বিবাহের সময় তাহার পশ্চিমে ছিলেন, নবজামাতাকে দেখিতে পান নাই, তাই এই আবাহন। আবার লিথিয়াছেন, শ্বশুরবাড়ির পরিবর্তে দিদি-শাশুড়ির বাড়ি গেলেও অশ্বিনীর লাভ বই লোকসান হইবে না। তার পর কি লিখিয়াছেন, কাটিয়া দিয়াছেন, পড়া যায় না ---লাভ ত ষোল আনা । দুধের তেষ্ট। ঘোলে? ফুঃ ! অধিনী যদি নিরেট, হয়, তবেই গরদের পাঞ্জাবী গায় চড়াইবে ।--কিন্তু"--অtছ, এক কাজ করিলে হয় না ? ইহার কেহই ত অশ্বিনীকে চেনেন না! •••অল রাইট, !---