পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬ •હ્ય કરાવ્યાં છે. ఫిన్డలి 33, বড় মাছ, ভালটা-মন্দটা খাওয়ানো যাবে, এই যোগাড়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ল । এরা বেশ সুথে আছে । দাদা যা চাইত, তা সে পেয়েচে । সে চিরকালই সংসারী মহিষ, ছেলেপুলে গৃহস্থালী নিয়েই ও তুর্থী, তাই নিয়েই ও থাকতে ভালবাসে । ছেলেবেলা থেকে দাদকে দেখে এসেচি, সংসার কিলে গোছালো হবে, কিলে সংসারের দুঃখ ঘুচবে, এই নিয়েই সে ব্যস্ত থাকৃত । লেখাপড়াই ছেড়ে দিলে আমাদের কু-পয়সা এনে খাওয়াবার জন্তে । কিন্তু পরের বাড়িতে পরের তৈরি ব্যবস্থার গওঁীর মধ্যে সেখানে তো কোন স্বাধীনতা ছিল মা, কাজেই দাদার সে সাধ তখন মেটে নি। ধার জন্তে ওর মন চিরকাল পিপাসিত ছিল, এত দিনে তার সন্ধান মিলেচে, তাই দাদা সুখী । দাদা ও বৌদিদি একই ধরণের মানুব । নীড় বাধবীর আগ্রহ ওদের রক্তে মেশানো রয়েচে । বৌদিদির বাপের বাড়ির অবস্থা থারাপই । একান্নবৰ্ত্তা প্রকাও পরিবারের মেয়ে সে । তার বীপের বাড়িতে সবাই একসঙ্গে কষ্ট পায়, সবাই ছেড়া কাপড় পরে, একঘরে পুরনো লেপর্কাথা পেতে শীতের রাতে তুলে-বেরুনো, ওয়াড়-বিহীন ময়লা লেপ টানাটানি ক’রে ছেলেপুলের রাত কাটায়—সব জিনিষই সকলের, নিজের ব’লে বিশেষ কোন ধরদেরও নেই, তৈজসপত্রও নেই—সেই রকম ঘরে বৌদিদি মানুষ হয়েচে । এতকাল পরে সে এমন কিছু পেয়েচে যাকে সে বলতে পারে এ আমার । এ আমার স্বামী, আমার ছেলে, আমার ধরদের— শুরি কারও ভাগ নেই এতে । এ অনুভূতি বৌদিদির জীবনে একেবারে নতুন । দাদা আমায় তার পরদিন সকালে ওর কপির ক্ষেত, শাকের ক্ষেত, দেখিয়ে বেড়ালে । বৌদিদি বললে—শুধু ওদিক দেখলে হবে না ঠাকুরপো, তুমি আমার গোয়াল দেখে যাও ভাই এদিকে । এই দ্যাথো, এই হচ্চে মুংঙ্গী । মঙ্গলবারে সন্ধেবেল ও হয়, ওই সজ্জনেগাছতলায় তখন গোয়াল ছিল । ও হ’ল, সেই রাতেই বিষম বড় ভাই । গোয়ালের চালা তো গেল উড়ে । তার পর এই নতুন গোয়াল হয়েছে এই বোশেৰ মাসে। বৌদিদি ৰুছরের গলায় হাত বুলিয়ে আদর করতে করতে বললে—বজ্ঞ পয়মস্ত বাছুর, যে-মাসে হ’ল সেই মাসেই ওঁর সেই মনিব আমায় শ"থ্য-শষ্ট্ৰী পাঠিয়ে দিলে, ওঁর দু-টাকা মাইনে বাড়ালে। দিনকতক যাবার পরে বৌদিদির একটা গুণ দেখলাম, লোককে খাওয়াতে বড় ভালবাসে । অসময়ে কোন ফকির বৈষ্ণব, কি চুড়িওয়ালী বাড়িতে এসে খেতে চাইলে নিজের মুপের ভাত তাদের খাওয়াবে। নিজে সে-বেলাটা হয়ত মুড়ি খেয়ে কাটিয়ে দিলে । এক দিন একটা ছোকরা কোথা থেকে একখানা ভাঙা খোল ঘাড়ে ক’রে এসে জুটলো। তার মুখে ও গালে কিসের ঘ, কাপড়-চোপড় আতি নোংরা, মাথায় লম্বা লম্বা চুল। ছ-সাত দিন রইল, দাদাও কিছু বলে না, বৌদিদিও না । আমি এক দিন বৌদিদিকে বললাম—বোঁদি, দেখচো না ওর মুখে কিসের ঘ1 । বাড়ির থালা-গেলাসে ওকে খেতে দিও না । ও ভাল ঘ নয়, ছেলেপূলের বাড়ি, ওকে পাতা কেটে আনতে বললেই তো হয়, তাতেই থাবে। আট দিন পরে ছোকরা চলে গেল । বোধ হয় আরও আট দিন থাকলে দাদা বৌদিদি আপত্তি করত না । বৌদিদি খাটতে পারে ভূতের মত । ঝি নেই, চাকর নেই, এক হাতে কচি ছেলে মানুষ-করা থেকে কুরু করে ধানসেদ্ধ, কাপড়-কাচ, বাসন-মজি, জল-তোলা—সমস্ত কাজই করতে হয় । কোনদিন ব্যঞ্জার হ’তে দেখলাম না সে:জন্তে বৌদিদিকে । এদের মায়ায় আমিও যেন দিনকতক জড়িয়ে গেলাম । এরকম শাস্তির সংসার কতকাল ভোগ করি নি—বোধ হয় চাবাগানেও না, কারণ সেখানে বাবা মাতাল হয়ে রাত্রে ফিরবেন, সে ভয় ছিল । ভেবে দেখলাম সত্যিকার শাস্তি ও আননাড়রা জীবন আমরা কাকে বলে কোনদিন জানি নি—স্রোতের শেওলার মত ৰাবা স্ত্রীপুত্র নিয়ে এ-চাবাগানে ও-চাৰাগানে ঘুরে ঘুরে রেঞ্জাতেন, শেষকালে না-হয় কিছুদিন উমুল্লা বাগানে ছিলেন—এতে মন আমাদের এক জায়গায় বস্তে ন-বসতেই আবার অন্ত জায়গায় উঠে যেতে হ’ত—এই সব মারা কারণে নিজের ঘর মিজের দেশ, এমন কি নিজের জাতি ৰ'লে কোন ঞ্জিনিষ আমাদের ছিল না । তার অভাব যদিও আমরা কোনদিন অনুভব করি নি—অত অল্পবয়সে করবার