পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

# o vఏనDBS 8>$ -- পারিলে । শাপে বর হইল-হাইড্রোক্লোরিক এসিড বিক্ৰী করিয়া কারখানাগুলি টিকিয়া রহিল । আজকালও বহু পরিমাণে হাইড্রেণী:ক্রীরিক এসিড এই ভাবে প্রস্তুত হয়। ব্লিচিং পাউডার তৈয়ারী করিতে ক্লোরিন লাগে— হাইড্রোক্লোরিক এসিড হইতে এই ক্লোরিন পাওয়া যায়। ভারতের নানা স্থানে অফুরন্ত কাচা মলি রহিয়াছে, কিন্তু সে তুলনায় কারখানার সংখ্যা অতি অল্প। ভারতবর্ষ কৃষিপ্রধান দেশ, কিন্তু আজকাল শুধু কৃষির উপর নির্ভর করিয়া কোন জাতির চলিত পারে না । দেশের ধনবৃদ্ধির উপায় ত্রিবিধ-কৃষি, পণ্যোৎপাদন ও সরবরাহ এবং যাতায়াতের উপায়-বিধান । দেশের লোকবুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অঙ্গ দ্বিবিধ উপায়ে ধনবৃদ্ধির চেষ্টা না-করিলে দেশের আর্থিক দুৰ্গতি দূর হইবার নহে। সেজন্ত সৰ্ব্বাগ্রে প্রয়োজন ফলিত-রসায়নের জ্ঞান । রসায়ন-বিদ্যার সাহায্যে অতি অল্প আয়াসে ও অল্প অর্থ ব্যয়ে অনেক ক্ষেত্রে প্রভূত ধনাগম হইতে পারে । মন্দ্রিীজের মালবার উপকূলের মৎস্ত-ব্যবসায়ীরা প্রকাও সামুদ্রিক মৎস্ত উন্মুক্ত সমুদ্রের তীরে রৌদ্রে শুকাইয়া জমির সার প্রস্তুত করিয়া বিক্ৰী করিত। এই সকল মৎস্তে তৈলের পরিমাণ অত্যধিক বলিয়া থাদ্য-হিসাবে অব্যবহার্য্য। উগ্র গন্ধও অন্ততম প্রধান কারণ বটে। ১৯৭৯ সালে মাস্ত্রীজের সরকারী মৎস্ত-বিভাগ অত্যস্ত সহজ উপায়ে মাছ হইতে তৈল নিষ্কাসন করিবার এক অভিনব প্রণালী প্রচলিত করেন । মৃবৃহৎ লৌহপাত্রে মাছের টুকরা বাষ্প দ্বারা উত্তপ্ত করিয়া তাহা থলিয়ায় পুরিয়া চাপ দিয়া তৈল বাহির করা হইতে লাগিল । যে তৈল আগে পচিয়া দুর্গন্ধে সন্নিকটস্থ অধিবাসীদিগকে অতিষ্ঠ করিয়া তুলিত, তাহার শেষবিন্দু ইংলণ্ড ও জাৰ্ম্মানীতে সাবনি, মেমবাতি প্রভৃতি প্রস্তুতের জন্ত উপযুক্ত মূল্যে রপ্তানী হইতে লাগিল । থলিয়ার অবশিষ্ট কঠিন অংশ (fish guano) জমির উৎকৃষ্ট সাররূপে সিংহল প্রেরিত হইল। গত বিশ বছরে অনুন আড়াই শত কারখানা গড়িয়া উঠিয়ছে। সে দেশের অধিবাসীদিগের আয়ের একটা নুতন পথ খুলিয়া গিয়াছে—জনসাধারণের অবস্থাও এজন্ত কথঞ্চিৎ সচ্ছল হইয়াছে। প্রতিবৎসর প্রায় ৬,••• টন তৈল প্রভত হইতেছে । ১৯১৯-২০ সালের সরকারী বিবরণ হইতে জানা যায়— ১,০৫,৩১৩ টাকার তৈল এবং ১১,৫৭,৮৮৪ টাকার সার বিদেশে রপ্তানী হইয়াছিল । ইহাতে কোন দক্ষ রাসায়নিকের প্রয়োজন হয় নাই—রসায়ন-শাস্ত্রের সীমান্ত জ্ঞান কাজে লাগান হইয়াছে মাত্র । এই মৎস্ত-তৈল কিছুদিন আগেও বিশেষ কোন কাজে লাগিত না । উগ্ৰ দুৰ্গন্ধহেতু ইহা সাবনি, মোমবাতি প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ-কার্য্যে ব্যবহৃত হইতে পারিত না । সমুদ্রতীরবর্তী দেশ প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক মৎস্ত পাওয়া যায়—নরওয়ে, সুইডেন প্রভৃতি দেশের অনেক লোকের জীবিক নিৰ্ব্বাহের উপায় মৎস্ত ধরা । সুদীর্ঘকালব্যাপী ব্যর্থ চেষ্টার পর রাসায়নিক ইহার গন্ধ দূর করিবার উপায় উদ্ভাবন করিয়াছেন । অতি সূক্ষ্ম নিকেলকণার বর্তমানে হাই ড্রাজেন-সংযোগে এই সকল তৈলের গন্ধ নষ্ট করা হয়। ঘনীভূত তৈলের কাঠিন্ত সংযুক্ত হাইড্রোজেনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে । এই আবিষ্কারের পর হইতে দুর্গন্ধযুক্ত নানা প্রকার তৈল সাবান, মোমবাতি তৈয়ারী করিতে, এমন কি খাদ্যহিসাবে ব্যবহৃত হইতেছে । এদেশে উদ্ভিজ্জ ধিয়র আবির্ভাব খুব বেশী দিনের কথা নয় । কৃত্রিম মাখন অবস্ত আমাদের দেশে প্রায় অচল । ঘনীভূত তৈল এজন্ত ব্যবহৃত হয়—খাদ্যহিসাবে এগুলি নিকৃষ্ট নয়, দামেও যথেষ্ট সস্তা । ভারতের তৈলবীজের সংখ্যা যেমন বহুল, উৎপাদনের পরিমাণও তেমনি বিপুল । অথচ অধিকাংশ তৈলবীজ বিদেশে প্রেরিত হইয় থাকে । কৃত্রিম মাখন বা খি সম্বন্ধে লোকের ভুল ধারণা ক্রমশঃ দূরীভূত হইতে ছ—এ দরিদ্রের দেশে এই স্থলভ খাদ্যের শীঘ্রই যথেষ্ট প্রচলন হইবে অtশা করা যায় । জমিতে সার দেওয়া আজকালও আমাদের দেশে | বিলাসিত বলিয়া গণ্য হয় । অথচ এদেশের শতকরা ৯০ জন কৃযক । দিন দিন লোকসংখ্যা যেমন হু হু করিয়া বাড়িতেছে তাহাতে অদূর ভবিষ্যতে এ-দেশে দুর্ভিক্ষ চিরস্থায়ী হইবে বলিয়া মনে হয়, কারণ জমির উর্বরতাও ক্রমশঃ কমিয়া আসিতেছে । অব্যবহার্য্য জিনিষ হইতে প্রস্তুত হয় বলিয়া জমির সার সাধারণতঃ খুব সস্তা। পাশ্চাত্য দেশে যুত পশু কসাইখানার রক্ত, পশুর শিঙের টুকরা, ক্ষুর, ছেড়া পশমী