পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6の装 লেখাপড়াও শেখে নি কিছু ! চোদ্দ বছর দেশে যান নি, অনেকগুলি ছেলেমেয়ে । মিয়ং সিয়াতে এক বন্ধুর কাছে এই পাত্রের খবর পেয়ে বিয়ের ব্যবস্থা ক’রে ফেলেন । বিয়ের পর মেয়ে স্বামীর ঘর করতে গিয়ে দেখে সতীন সংসার গুছিয়ে রেখেছেন । গৃহিণী চটিয়া উঠিয়া বলেন, যত সব বাজে গল্প মেয়েকে শোনাচ্ছ! এম্‌নি মেরে ত বিয়ের নাম শুনতে চায় না । এসব শুনূলে কি আর রক্ষে আছে ? ঘা সুনন্দ, তোর কাজকৰ্ম্ম কর গিয়ে । সুনন্দা মায়ের কথায় মনোযোগ দিল না । বলিল— আচ্ছা, বাবা, এদেশে ত নানা দেশীয় লোকের বাস, বেশ মেলামেশাও চলে । অ-বাঙালীর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিলেই পারে । ইন্দুবাবু বলিলেন—অ-বাঙালীর সঙ্গে কি আমাদের খাপ খায়, মা ? এক ভাষাভাষী না-হ’লে কি মনের মিল হয় ? যাক সে কথা । আগামী সপ্তাহে আমাদের কোর্ট ছুটি হবে, দিন দশেক বন্ধ থাকবে । চল, আমরা ম্যাগুলে, মেমিও বেড়িয়ে আসি । সুননা বেড়াইতে যাইবার আনন্দে উঠিয়া পড়িল । যুড়ির দিকে চাহিয়া বলিল-“পাচটা বাজে, মিঃ সিং আজ খেলতে এল না ষে ? দেয়ালে ঝোলানো র্যাকেটটি নামইরা লইয়া বলিল--এস না বাবা, তুমি আর আমি তত ক্ষণ সিংগলসূ থেলি । ইন্দুবাৰু মেয়ের আবদারে পড়িয়া টেনিস খেলিতে আরম্ভ করিয়াছেন । গৃহিণী সরলীরও অনেক উন্নতি হইয়াছে । টেনিস-কোর্টে বসিয়া খেলা দেখেন, খেলার পর ধোলের সরবৎ, রসগোল্লা, পপির-ভাজা প্রভৃতি পরিবেশন করিয়া সকলকে আপ্যায়িত করেন । বহুকাল বৰ্ম্মাদেশের মৃফস্বলে থাকিয়া বৰ্ম্ম ভাষা বলিতে শিথিয়াছেন, আলাপ জমাইতেও পারেন তাই । ম্যাগুলের প্রসিদ্ধ উকীল শ্রীরমানাথ দাস মহাশয়ের বাড়িতে ইন্দুবাবু সপরিবারে অতিথি হইয়াছেন। দাসবাবুর ছোট ভাই সুধীন্দ্র এম-এ পাস করিয়া কলিকাতা হইতে সম্প্রতি আসিয়াছেন। ইন্দুবাবু ছেলেটির সঙ্গে কথাবার্তা {etsitzīG S$8పి. বলিয়া বেশ খুশী হইলেন। দাসবাবু বলিলেন—সুধীন্দ্র আপনাদের সঙ্গে নিয়ে মেমিওর গোটিক ব্রিজ দেখিয়ে আনৃবে। আজ বিকেলে এথানকার প্যালেসটা দেখে আঙ্গুন। আপনার মেয়েটি ত বেশ সুন্দর গান করে, মেয়েটিকে ত সব রকমেই অ্যাকমৃপ্লিশড করেছেন । - ইন্দুবাবু মেয়ের প্রশংসায় বিশেষ গৌরবান্বিত মনে করিতেছিলেন, একটু বিনয়সহকারে বলিলেন—এই ত শিক্ষার বয়েস, বেশী আর কি শিখেছে । শিক্ষার আরম্ভ হয়েছে বলতে পারেন ? আপনার ভাইটিকে দেখেও আমি বড় সুখী হয়েছি । বেশ বুদ্ধিমান, বিনয়ী ছেলেট, কি করবেন এখন ? দাসবাবু বলিলেন—বিলেত পাঠাবার ইচ্ছা বিলিতি ছাপ একটা না-মেরে আসলে কোথাও ভাল চাকরি হয় ন} | বিকালে সুধীন্দ্র ইদুবাবুদের লইয়। ম্যাণ্ডালে শহরের যা-কিছু দর্শনীয় আছে, সব দেখাইয়া অনিল । মেমিও বেড়াইয়া আসিয়া সুনন্দ বলিল—এই আপনাদের মেমিও ! এত ঘার প্রশংসা শুনতাম : এর চেয়ে শিলং দাঞ্জিলিঙ অনেক সুন্দর । সুধীন্দ্র বলিল—এইটেই বৰ্ম্মার দাৰ্জিলিঙ । পৰ্ব্বতের সৌন্দৰ্য্য এখানে কোথায় পাবেন ? ইন্দুবালুর ছুটি ফুরাইরা গেল, তাহারা ফিরিয়া আসিলন, সুধীন্দ্রও তাহদের সহিত রেসুন পর্য্যস্ত আসিল । সুধীন্দ্র কলিকাতায় অনেক মেয়ে দেখিয়াছে, তাহীদের কলেজেই ত কত মেয়ে পড়িত কিন্তু তাহদের সহিত অ’ল:প-পরিচয়ের সুযোগ হয় নাই । সুনন্দাকে দেখিয়া আীড়ে । হিমালয় এবং একত্রে বেড়াইবার সুযোগ পাইয়া সে অত্যন্ত খুণী হইয়াছিল । সুনন্দারও সুধীন্দ্রকে বেশ পছন্দ হইল । গৃহে ফিরিয়া কৰ্ত্তী গৃহিণী নিভৃতে যেন কি আলাপ করেন, সুনন্দ আসিলেই চুপ করিয়া যান। সুননা বুদ্ধিমতী মেয়ে, সে ঠিকই অনুমান করিল। গৃহিণী মুনমাকে ক্যাটালগ দেখাইয়া গহনার অর্ডার দেন, শাড়ী, ব্লাউস করান । প্রতিবেশিনী মা-চির সুন্দর পছন, তাহাকে ডাকাইয়া