পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ళివ్రి বার ধাক সামূলান সোজা ব্যাপার নয় । আপনার মা, বাবা, আপনাকে না-পেয়ে আরও ব্যস্ত হবেন, চলুন ধাই ওখানে । সুনন্দ বলিল, “না, ন, ওখানে কিছুতেই নয়। আমি এ-বিয়ে কিছুতেই করব না। আমাকে আমার মামার বাসায় পৌছে দিন, আমি একটু বিশ্রাম চাই।” সুবিমল সুনঙ্গকে তাহদের গৃহে লইয়া গিয়া একথান সোফায় বসাইল এবং পাখাটা খুলিয়া দিল । সুনন্দ কিছু ক্ষণ মাথাটা তাকিয়ার উপর রাথিয় চোখ বুজিয়া রহিল । সুধিমল বলিল—আপনি কি অসুস্থ বোধ করছেন ? সুনল বলিল—বিশেষ নয়, মাথাটা কেমন ঝিমৃঝিমূ করছে, আপনি যাবার সময় আমার আয়াটাকে ভিতর থেকে একটু ডেকে দিয়ে যাবেন ? সুবিমল বলিল—আমি যাবার জন্ত বিশেষ ব্যস্ত নই, তবে ওঁরা আপনার জন্ত উদ্বিগ্ন হবেন, তাই ভাবছি খবরটা দিয়ে আসি । সুনন্দ বলিল-আপনি কি আমাকে ঘৃণা করছেন এরকম কেলেঙ্কারী করলাম ব’লে ? সুবিমল বলিল—তৃণা ! মোটেই না, আপনার মনের বলকে আমি শ্রদ্ধা না-ক’রে পারছি না । wiff MCA of It is never too late to mend. ভুল বুঝতে পারা মাত্রই শোধরাণের চেষ্টা করা উচিত। মনের বিরুদ্ধতা নিয়ে কোন কাজই করতে নেই, আর এ ত সীরাজীবনভর সমস্ত ! তবে আমি আশা করেছিলাম আপনার মত শিক্ষিত মেয়েরা আরও একটু সাহসী এবং বিবেচনাশীল হবেন । নিজের মতামত, নিজে বা বিচার দ্বারা সত্য বলে বুঝবেন, তা প্রকাশ করা এবং নিজ মতে দৃঢ় থাকার নৈতিক সাহস চাই । অল্প কয়েক দিন আগে আপনি যদি এ-বিষয়ে দৃঢ়তার সহিত অসম্মতি জানাতেন, তবে আজকের এই অতি অশোভন ব্যাপারটি ঘটত না । যাকৃ—আমি আবার নীতি উপদেশ দিয়ে ফেলুছি, ক্ষমা করবেন । আপনি বিশ্রাম করুন, উঠবেন ন। একেবারে, এই প্রতিশ্রুতিটুকু দাবি করতে পারি কি ? সুনন্দ কৃতজ্ঞতা-ভর করুণ কোমল দৃষ্টিতে সুবিমলের দিকে চাহিয়া বলিল—নিশ্চয়ই । আপনি আমার গুরু, ং প্রবাসী বঁটা আপনার ঋণ শুধতে পারব না । সুবিমল হাত বাড়াইয়া দিতেই মনন আগ্রহে হাতখানি ধরিয়া বলিল—আপনি আজি আমায় যা দিয়েছেন—কি বলব ? এমন বন্ধুর সহায়তা পেলে জীবনে ভুল হয় না বোধ হয় । সুবিমল কুনজর কোমল স্পর্শে রোমাঞ্চিত হইয়া উঠিল—হাতখানি একটু চাপিয়া বলিল—নেবে কি তোমার জীবনসঙ্গী ক’রে ? আমি ভ এক বৎসর আগে তোমায় যেদিন প্রথমে দেখেছি, সেদিন থেকেই তোমায় ভালবেসেছি । সুনন্দা, আজ এই সাঁজেই আমাদের মালীবদল হয়ে যাক না । সুনন্দ মালাটি খুলিয়া হাতে লইয়া বলিল-মা-বাবার আশীৰ্ব্বাদ চাও তবে । আয় এক পেয়ালা গরম কফি হাতে ঘরে প্রবেশ করিয়া সুবিমলকে ও সুনন্দাকে ঐ ভাবে দেখিয়া বিম্মিত হইল । টেবিলের উপরে পেয়ালাটি রাখিয়া ধীরে ধীরে বাহির হইয়া গেল। এমন সময় দরজায় গাড়ী থামিল । ইন্দুবাবুর গলার আওয়াঙ্গ শুনিয়া সুবিমল নীচে নামিয় গেল। ইন্দুবাবু বলিলেন—এই যে সুবিমল, সুন্ন নাকি বাড়ি এসেছে ? সুবিমল বলিল-আঞ্জে হ্যা, ঔকে রাস্তায় এক ছুটুতে দেখে আমি গাড়ী ক’রে বাড়ি এনেছি। এত ক্ষণে একটু সুস্থ হয়েছেন । সরলাকে হাত ধরিয়া নামাইয়া ইন্দুবাবু সিড়ি দিয়া উঠিতে উঠিতে বলিলেন, “বরপক্ষ ত তখুনি গালি-গালাজ ক'রে বর উঠিয়ে নিয়ে চলে গেলেন । বরের এক অস্ট্রিীয় ব’লে গেলেন, “ডিফামেশন ফুট আনবে ।” আমার ত লোকসান যা হ’ল তা বলবার নয়, মেয়েটিরও আর গতি হবে না। মুখ দেখাবে কি ক’রে সংসারে ভাই ভাবৃছি।” গৃহিণী কপাল চাপড়াইতে চাপড়াইতে বলিলেণ, “আমার পোড়া অদেষ্ট, নইলে এমন মেয়ে পেটে ধরি ? এখন রেঙ্গুন শহর ছেড়ে জঙ্গলে পালাতে পারলে বাচি । ঐ পোড়ারমুখীকে কলকাতায় পাঠিয়ে দাও, এম-এ পড়কে গিয়ে, চাকরি ক’রেই ত আজীবন খেতে হবে P কর্তী গৃহিণী ঘরে আসিয়া বসিয়া একটু শাস্ত হইলে