পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

位* যেখানে অী ছ, যেখানে আছে নানা আয়োজন, তার কথা নয়। এর রূপ নেই ভার নেই ; এর আশ্রয় চন্দ্র সুর্য্য বিশ্বকে নিয়ে নয়। এই কথা বলতে পারিনে বলেই আজ এত হানাহানি । পৃথিবী রসাতলের দিকে চলেছে, কী কলুষ তাই আজি চারদিকে রক্তে রক্তাক্ত আজ এই যুগর পৃথিবী। আত্মার মধ্যে পরমাত্মার যোগ, আশ্চৰ্য্য আমাদের এই কথাটি কবে অন্তকার বিশ্বব্যাপী স্বন্দ্বকোলাহলের উর্ধে ধ্বনিত হবে । পূজা দেব কোথায়? ছোটাে ঘর থেকে মানুষ বাইরে ২য়, কারণ সেখানে দেয়ালের মধ্যে দেহের মুক্তি-আকাজল ছাড়া পায় না, মন ক্লান্ত হয়, তাই অবারিতকে আমরা চাই।-- ঘরের মধ্যে বদ্ধ মন যেমন বৃহদাকাশকে খোজে তেমনি মহান পুরুষকে সন্ধান করে সংসারে বদ্ধ মন। কোথায় রাখব আমাদের পূজা ? এই দেশকালের সীমানায় ? উপনিষৎ বলেছেন,-ন, বাইরের সংসারে এই দেশকালের আয়তনের মধ্যে তো আত্মার মুক্তি নেই—মহান পুরুষের মধ্যে যে অসীম আশ্রয় সেই তো বড়ো আশ্রয়। বিজ্ঞান পড়ে দেশকালগত বিশ্বপ্রকৃতির বৃহত্ত্বে আমরা অভিভূত হই—কিন্তু সেও তুচ্ছ আত্মার অসীমতার কাছে সেইখানে যে মুক্তি মানুষ তারই সন্ধান করেছে, এই কথা দেখি ইতিহাসের মধ্যে । সে-পথে তার কত বিকৃতি কত পতন, কিন্তু তার মধ্যে এই অর্থই নিহিত, এই ভূমীর আকাজ। সমস্ত বিকৃতির মধ্য দিয়ে চিরদিন মানুষ এরই সন্ধান করেছে। অবশেষে দেখলে, আত্মার তৃপ্তি বস্তুরূপে না, দেশকালের মধ্যে না | আত্মার মধ্যে তাকে দেখো, সেখানে যদি তাকে পাও তবে সব সত্য হবে—এই কথাটি যেমন ক'রে ভারতবর্ষের ঋষি বলেছেন তেমন আর কোথাও কেউ বলেন নি। বাইরের অর্ঘ্যে আমাদের পুজা নয়, হওয়ার দিকেই আত্মার পূর্ণতা আমাদের চিরকালের বাঞ্ছিত। সেখানে সত্য হতে পারলে আমাদের প্রিয়ামী ప్రారి6S সব পূজা সার্থক। অন্তের আত্মায় আপনার আত্মাকে এক ক'রে দেখে—উপনিষদের এই তত্ত্বটি বুদ্ধ ব্যবহারে রূপ দিয়েছিলেন “মৈত্রীর” তত্ত্বে। বাইরের জগতে আলোক যে ঐক্য আনে অধ্যাত্মলোকে সেই আলোকই প্রেম, সেই আননা, সকলের প্রতি প্রসারিত আননা । বিজ্ঞান বলে, জ্যোতি-কণার সন্নিবেশেই অণুপরমাণু, তাতেই স্কৃষ্টি, উপনিষৎ বলেছেন আনন্দেই সৃষ্টি। বিজ্ঞানের পরীক্ষাগারে তো তার দেখা পাবার উপায় নেষ্ট, বাইরের থেকে সে প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে। আত্মার মধে তার সন্ধান করতে হবে। বাইরের সাধনা কৃত্রিম— ঘিনি আনন্মরূপমমৃত সৰ্ব্বত্র তার আনন্দ পাওয় চাই । প্রেমের দ্বারা আত্মার ঐক্যধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠা করতে হবে, সেইখানেই তো অধ্যাত্মলোক। সেইখানে পৌছতে পারে নি বলেই তো মানুষের এত দুঃখ । অস্তরে তার বেদনা, কিন্তু সে পায় নি, যেমন ক’রে সে বাইরের এই মহাবিশ্বকে পেয়েছে তেমন ক’রে আত্মাকে পায় নি। তাকে লাভ করবার জন্তই তো মহাপুরুষের আহ্বান—সে আহবান জপতপের জন্ত নয়, পরম মুক্তির জন্ত সে আহবান। কত বড়ো বিশ্বাসে বুদ্ধ আহবান করেছিলেন, বলেছিলেন “যেমন ক’রে এক পুত্রকে মাতা ভালবাসেন, তেমনি করেই মৈত্রীর সাধনা করতে হবে।” আত্মার অর্ঘ্য প্রেম। সেই বাণী ভুলি নে যেন। সংসার আজ পীড়িত। আঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে সত্যভ্রষ্ট হয়েছি এই বেদন মনে জাগা চাই—অধ্যাত্মলোকে बांटं.झत्र अङरि ताि वमिलिन शू{ इङ्ग उवं स्रशिद्र। বাঁচলুম। সেই সত্যের কামনা মনের মধ্যে রেখে সাধনাকে যেন আমরা জাগ্ৰত ক’রে রাখতে পারি /* . লগত নলীননশক্তিদনি আগদেগল।